দেশ
কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনের পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট!
নিজস্ব প্রতিনিধি : দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট দিল্লিতে প্রায় ২ মাস ধরে চলা কৃষকদের আন্দোলনকে অবশেষে স্বীকৃতি দিল।নতুন কৃষি আইনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্র সরকারকে এই মামলার পরবর্তী রায় দেওয়ার আগে পর্যন্ত এই আইন রূপায়ণ করতে বারণ করেছেন।পাশাপাশি আদালত নতুন কৃষি আইন পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছে।
সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার নয়া আইনে স্থগিতাদেশ দিলেও আলোচনার মাধ্যমেই তারা কৃষকদের আন্দোলন থামানোর সবরকম চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে। দেশের প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় একথাই পরিষ্কার বুঝিয়ে দিন।
একটি নতুন কমিটি কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন পর্যালোচনা করে দেখার জন্য তৈরি করা হল। প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে পাশাপাশি কৃষকরা যাতে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ না করে, রামলীলা ময়দানে তাঁদের আন্দোলন চালানোর জন্য নয়াদিল্লির পুলিশ কমিশনারের কাছে অনুমতি চান এবং তার পরামর্শও দেন।
বিচারপতি এসএ বোবদে মামলাকারী ও সরকারপক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল শোনার পর বলেন, একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।