দেশ
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বকেয়া টাকা মেটাতে ১০০ দিনের কাজ করছেন এই ছাত্রী!
নিজস্ব প্রতিনিধি : ওড়িশার পুরী জেলার পিপলি ব্লকে রোজি বেহরার বাড়ি। রোজি বেহরার বয়স ওই ২০ বছর হবে, অভাবের সংসার। পরিবারের লোকেদের পড়াশোনার খরচ চালানোর সামর্থ্য নেই। তবু কোনক্রমে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন। ভেবেছিলেন শিক্ষিত হয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন। তবে তা হয়ে ওঠেনি।
দরিদ্র পরিবার, কলেজের ফি সম্পূর্ণ পরিশোধ করা হয়ে ওঠেনি এখনও। তাই কলেজের বকেয়া মেটাতে এখন মনরেগা প্রকল্পের কাজ করছেন এই কলেজ ছাত্রী। স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকরা অবশ্য এই ঘটনা সামনে আসতেই ওই ছাত্রীর পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
২০ বছর বয়স্ক রোজি দলিত পরিবারের রোজি গত ২০ দিন ধরে মনরেগা প্রকল্পের অধীনে মাটি কাটা, রাস্তা তৈরির কাজ করছেন। তার এই কাজ করে রোজ ২০৭ টাকা রোজগার হয়। রোজি তা দিয়ে পরিবারকে সাহায্য করার পাশাপাশি কলেজের বকেয়া মেটানোর চেষ্টা করছেন।
রোজির ৫ বোন রয়েছে। বেসামাল পরিস্থিতে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে তার সঙ্গে মনরেগার কাজে যোগ দিয়েছেন রোজির অন্য দুই বোনও। রোজির ৩ বোন দ্বাদশ, সপ্তম এবং পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে রোজি বলেছেন, ‘‘সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা শেষ করছি। কিন্তু কলেজের ৪৪ হাজার টাকা ফি এখনও বাকি রয়েছে। আমার বাবা ২০ হাজার টাকা অবধি জোগাড় করেছে। বাকি টাকা জোগাড়ের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।