দেশ
‘একা গলা টিপে, পোশাক খুলে ধর্ষণ অসম্ভব’, বিতর্কিত রায় বম্বে হাইকোর্টের!

নিজস্ব প্রতিনিধি : বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা আবারও বিতর্কিত রায় দিলেন। এবার তিনি পকসো আইনে এক যুবককে ধর্ষণের অভিযোগ থেকে বেকসুর খালাস দিলেন।
নিজের রায়ের পক্ষে বিচারপতি গানেদিওয়ালার যুক্তি শুনে অবাক হচ্ছে গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। বিচারকের মতে, কোনও ধ্বস্তাধ্বস্তি ছাড়া, কোনও একজন একা ব্যাক্তির পক্ষে একটি মেয়ের গলা টিপে, তার এবং নিজের পোশাক খুলে ধর্ষণ করা সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তিনি যে মামলাটির রায় দেন সেটি ২০১৩ সালের, অর্থাৎ একটি ধর্ষনের মামলা নিষ্পত্তি করতে দেশের আইন ব্যাবস্থার সময় লেগে গেল প্রায় ৮ বছর। যবতমালের বাসিন্দা তরুণীর মায়ের অভিযোগ করেছিলেন, প্রতিবেশী যুবক সূরজ কাসারকার তার অনুপস্থিতিতে তাদের বাড়িতে ঢুকে তার ১৫ বছরের মেয়েক ধর্ষণ করে।
সেসময় আক্রান্ত মেয়েটি বয়ান দিয়েছিল, সূরজ মদ্যপ অবস্থায় ঘরে ঢুকে তার গলা টিপে ধরে। এর পরেই তার এবং নিজের পোশাক খুলে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে ওই যুবক। তবে মেয়েটির মা বাড়ি ফিরে আসায় তড়িঘড়ি নিজের জামাকাপড় নিয়ে পালায় সূরজ। সম্পূর্ণ ঘটনা মেয়েটি টা মায়ের কাছে জানালে তারা পুলিশে কাছে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবকের বিরুদ্ধে।
অবশ্য অভিযুক্তের আইনজীবীর মতে, ছেলে ও মেয়ে উভয়ের সম্মতিতেই তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। তার দাবি ওই ঘটনার সময় অভিযোগকারী ও অভিযুক্ত দু’জনেই প্রাপ্তবয়স্ক ছিল।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!

নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।