Connect with us

তিলোত্তমা

পোষ্যদের রক্তের তথ্য ব্যাংক তৈরি হল কলকাতায়।

Published

on

Social Update Bengali News Image
Image Source Getty Images

নিজস্ব প্রতিনিধি : মানুষের মতো পশুরাও প্রাণী, তাদেরও বিপদ হয়, রোগ হয়, দরকার পড়ে চিকিৎসার। তবে পোষ্যদের চিকিৎসা করতে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। তার মধ্যে জরুরি ক্ষেত্রে রক্তের অভাবের সমস্যা হয়। এবার সেই সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হল কলকাতায়।

বিএই ১.১, বিএই ১.৭, বিএই ২.২, এগুলো সবই রক্তের গ্রুপ। এগুলি সারমেয়দের রক্তের গ্রুপ। তাদের শরীরে মিলেছে এমনই তেরোটি গ্রুপের রক্ত। আর এই রক্তের গ্রুপের জন্যই ডেটা ব্যাংক তৈরি হল কলকাতায়। মঙ্গলবার থেকেই এই তথ্য ব্যাংকের কাজ শুরু হয়েছে। এই অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার অনিল রায় রোডের একটি বেসরকারি পশু হাসপাতাল।

সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, “পোষ্যরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে বা অন্য কোনও কারণে “ব্লাড লস” হতে পারে, সেক্ষেত্রে ঘাটতি মেটাতে মানুষের মতোই রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু কুকুরদের ক্ষেত্রে রক্তের গ্রুপ বেশি হওয়ায় চটজলদি সঠিক গ্রুপের রক্ত খুঁজে পাওয়া কঠিন। রক্তের তথ্য ব্যংক হাতে থাকলে রক্তদাতার জন্য আর ছোটাছুটি করতে হবে না। পোষ্যের মালিককে ফোন করলেই সমাধান মিলবে। সেই চিন্তাভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

উল্লেখ্য, পোষ্যদের ক্ষেত্রে মান্ধাতার আমলের পদ্ধতি অবলম্বন করা হতো। অর্থাৎ দাতা ও গ্রহীতার রক্তের দু ফোঁটা স্লাইডে নিয়ে সেগুলো মিশিয়ে দেখা হতো জমাট বাঁধছে কি না। এই ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর’ পদ্ধতি সময় সাপেক্ষ।

তিলোত্তমা

কলকাতায় ফিরছে ‘নস্টালজিক’ দোতলা বাস, কাল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

Published

on

Social Update Bengali News Image
Image Source Twitter

নিজস্ব প্রতিনিধি : বাঙালির কাছে কলকাতা মানে‘নস্টালজিয়া’। পুরনো বিল্ডিং, ট্রাম ও দোতলা বাস যেন এই নস্টালজিয়ার প্রধান কেন্দ্র। তিলোত্তমার রাস্তায় প্রথম দোতলা বাস নামে ১৯২৬ সালে। সেই বাস কালীঘাট থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত চলেছিল। সেইসময় এই ডাবল ডেকার খুব সহজেই জুড়ে গিয়েছিল কলকাতার ঐতিহ্য সঙ্গে, হয়ে ওঠে ছিল শহরের অন্যতম পরিচয়। স্বাধীনতার পরে রাজ্য সরকার, জনপরিবহন পরিষেবা দিতে‘কলকাতা স্টেট ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন’ (Kolkata State Transport Corporation) তৈরি করে। দোতলা বাসের দায়িত্ব পায় এই সংস্থায়। রয়েল বেঙ্গল বাঘের মুখ সম্বলিত লাল রঙের দোতলা বাসে চড়ার আনন্দই ছিল আলাদা। তারপর বহুদিন ধরেবন্ধ থাকে এই বাস, অবশেষে ২০০৫ সালে সরকারিভাবে তুলে দেওয়া হয় এই বাস পরিষেবা।

পুরনো দিনের সেই নস্টালজিয়া ফিরিয়ে আনতে এবার ফের কলকাতার পথে ফিরতে চলেছে দোতলা বাস। তবে এখন এই বাস জনপরিবহণের জন্য নয়, ফিরছে পর্যটনের আকর্ষণ হিসেবে এই দোতলা বাস। একদম সম্পূর্ণ নতুন চেহারায়, নতুন রূপে। অবশ্য এই দোতলা বাস কোথা থেকে ছাড়বে, কোথায় যাবে, সেই সব সবিস্তারে এখনও জানানো হয়নি। কিন্তু পুজোর আগেই যে এই পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে দুটি বাসের যাত্রার সূচনা করবেন। এই নতুন রূপে অনেক কিছুই পরিবর্তন ঘটবে। এই অত্যাধুনিক বাসগুলিতে থাকছে সিসিটিভি, প্যানিক বাটন, অটোম্যাটিক দরজা, ডেস্টিনেশন বোর্ড। অনেকটা লন্ডন সিটি ট্যুরের আদলে কলকাতায় ঘোরার জন্য আসছে হুড খোলা দোতলা বাস। বসে আগের মত আর বাঘ-মুখ আঁকা লোগোআর লাল রং থাকবে না। এবার থেকে দোতলা বাস ফিরছে নীল-সাদা রঙে। অনেকের মতে তাতে হয়তো পুরনো নস্টালজিক আমেজ একটু ফিকে হলেও হতে পারে।

আগে পুরানো দোতলা বাসে দুটি দরজা থাকত, একটি নীচে এবং একটি উপরে ওঠার জন্য। এই বাসে এখন একটিই দরজা থাকবে। বাসের ভিতরে থাকছে ছাদে ওঠার সিঁড়ি। মোট আসন ৫১টি, এর মধ্যে দোতলায় ১৭টি আসন থাকবে। ভারত স্টেজ ফোর গোত্রের এই নতুন বাস নির্মাণ করেছে জামশেদপুরের সংস্থা বেবকো। এছাড়া বাসের ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ রোড ট্রান্সপোর্ট। দুটি বাসেরজন্য খরচ পড়েছে মোট ৯০ লক্ষ টাকা। পুজোয় এই বাস পথে নামলে বাসের ভাড়া কত হবে, কোথায় চালানো হবে, সে বিষয়ে পর্যটন উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফ থেকে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

Continue Reading
Advertisement
Advertisement
Advertisement e

আমাদের ফেসবুকে পেজ লাইক করুন

Advertisement
Advertisement

জনপ্রিয় পোস্ট