তিলোত্তমা
“পায়ে হেঁটে হসপিটাল চলে যান” – করোনা পজেটিভ ছাত্রকে পুলিশের ‘উপদেশ’ ।
• করোনা আক্রান্তকে পায়ে হেঁটে হাসপাতালে যাওয়ার উপদেশ
• দায় এড়ালো স্বাস্থ্য ভবন
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা : কলকাতার একজন আইসা কর্মী করোনা পজিটিভ হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি করতে গিয়ে হয়রানি। আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য কোনও এম্বুলেন্স না পেয়ে প্রায় তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় যাদবপুর থানার সামনে। যাদবপুর থানার তরফ থেকেও কোনও রকম সাহায্য মিলেনি উল্টে তাদের হেঁটে চলে যেতে বলা হয় বলেই অভিযোগ। অবশেষে কোনোক্রমে এম্বুলেন্স যোগার হওয়ার পর আক্রান্তকে বাঙ্গুরে ভর্তি করা হয়।
আক্রান্তের নাম সাহারেজা আলম, বঙ্গবাসী কলেজের কেমিস্ট্রি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনা সূত্রে গরফা তে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। গত বুধবার তার করোনা পরীক্ষা করা হয়, বৃহস্পতিবার তার রিপোর্ট আসে। রিপোর্টে জানা যায় সে করোনা পজিটিভ। তার পরেই শুরুহয় তাকে হসপিটালে ভর্তি করার চেষ্টা, সেদিন সন্ধে প্রায় ৬.৩০ থেকে এই চেষ্টা চলতে থাকে। আক্রান্তের এক বান্ধবীর অভিযোগ সাস্থভবন এই বিষয়ে সমস্তরকম দায়িত্ব এড়িয়ে গিয়েছে। এর পর সন্ধ্যে ৭ টা নাগাদ যাদবপুর থানায় জানানো হয় যে একটা অ্যাম্বুলেন্সের ব্যাবস্থা করে দিতে, কারণ রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। এক অভিযোগকারী জানিয়েছেন, ওসির কাছে বার বার সহজ্য চাইলেও কোনরকম সহযোগীতা মেলেনি।
এই ধরনের ঘটনা প্রশ্নের মুখে ফেলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে। যখন রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার করে বলছেন করোনা রোগীদের যাতে কোন রকম অসুবিধা না হয় তার জন্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা সব সময় তাদের পাশে আছেন, সব রকম সহযোগিতা পাওয়া যাবে, তার পরেও এই ধরনের ঘটনা নিন্দনীয় বলে মত জন সাধারণের।
তিলোত্তমা
পোষ্যদের রক্তের তথ্য ব্যাংক তৈরি হল কলকাতায়।
নিজস্ব প্রতিনিধি : মানুষের মতো পশুরাও প্রাণী, তাদেরও বিপদ হয়, রোগ হয়, দরকার পড়ে চিকিৎসার। তবে পোষ্যদের চিকিৎসা করতে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। তার মধ্যে জরুরি ক্ষেত্রে রক্তের অভাবের সমস্যা হয়। এবার সেই সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হল কলকাতায়।
বিএই ১.১, বিএই ১.৭, বিএই ২.২, এগুলো সবই রক্তের গ্রুপ। এগুলি সারমেয়দের রক্তের গ্রুপ। তাদের শরীরে মিলেছে এমনই তেরোটি গ্রুপের রক্ত। আর এই রক্তের গ্রুপের জন্যই ডেটা ব্যাংক তৈরি হল কলকাতায়। মঙ্গলবার থেকেই এই তথ্য ব্যাংকের কাজ শুরু হয়েছে। এই অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার অনিল রায় রোডের একটি বেসরকারি পশু হাসপাতাল।
সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, “পোষ্যরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে বা অন্য কোনও কারণে “ব্লাড লস” হতে পারে, সেক্ষেত্রে ঘাটতি মেটাতে মানুষের মতোই রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু কুকুরদের ক্ষেত্রে রক্তের গ্রুপ বেশি হওয়ায় চটজলদি সঠিক গ্রুপের রক্ত খুঁজে পাওয়া কঠিন। রক্তের তথ্য ব্যংক হাতে থাকলে রক্তদাতার জন্য আর ছোটাছুটি করতে হবে না। পোষ্যের মালিককে ফোন করলেই সমাধান মিলবে। সেই চিন্তাভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, পোষ্যদের ক্ষেত্রে মান্ধাতার আমলের পদ্ধতি অবলম্বন করা হতো। অর্থাৎ দাতা ও গ্রহীতার রক্তের দু ফোঁটা স্লাইডে নিয়ে সেগুলো মিশিয়ে দেখা হতো জমাট বাঁধছে কি না। এই ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর’ পদ্ধতি সময় সাপেক্ষ।