কলমের আঁচড়ে
আশায় বাঁচে চাষা-Thunberg এর বিরুদ্ধে FIR দিল্লি পুলিশের।
অনুপম চৌধুরী : নব্য কৃষিবিল বাতিলের দাবিতে বৃহত্তর আকার ধারণ করছে কৃষক-আন্দোলন। সরকারের টালবাহানা এবং কৃষকদের দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের মাঝে আরও জোরদার বিতর্কের সৃষ্টি করেছে কিছু বিশ্ববিখ্যাত ‘বিদেশী’ কীর্তিমান তথা কীর্তিমতী তারকাদের ট্যুইট্। অত্যন্ত সক্রিয় পরিবেশ-কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, গায়িকা তথা অভিনেত্রী রবিন রিহান্না ফেন্টি, প্রমুখ যশস্বী ব্যক্তিবর্গ ভারতবর্ষে বিগত দুই মাসের অধিক সময় ধরে চলতে থাকা এই কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে ট্যুইট্ করেছেন এবং কৃষকদের পক্ষেই নিজেদের সমর্থন জানিয়েছেন।
এমতাবস্থায় ভারতবর্ষ কিছু বিরল ঘটনার সাক্ষী হল। প্রথমত, দিল্লী পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪এ, ১৫৩এ, ১৫৩ এবং ১২০বি ধারায় কারো নাম না করেই এফ্.আই.আর্ দাখিল করেছেন। নাম না করেই এই এফ্.আই.আর্ – প্রসঙ্গে জানিয়েছেন স্পেশাল কমিশনার অফ্ পুলিশ, প্রভীর রঞ্জন, স্বয়ং। এই এফ্.আই.আর্ -এর খবর চাউর হওয়ার পরেও অবশ্য গ্রেটা জানিয়েছেন যে তিনি এখনও কৃষক-পক্ষেরই সমর্থক।
ভারতবর্ষ যে দ্বিতীয় বিরল ঘটনারটি সাক্ষী হল, সেটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিদ্বৎসমাজ। যবে থেকে কৃষকেরা নব্য কৃষিবিলের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে পথে নেমেছেন, তবে থেকে শুরু করে এযাবৎ কাল যে সমস্ত ‘স্বদেশী’ তারকাদের এই প্রসঙ্গে রা-কাড়তে দেখা যায়নি, তাঁরা হঠাৎই শীতঘুম কাটিয়ে ভারতবর্ষের সার্বভৌমত্ব নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পতিত হয়েছেন। তাঁদের মতে এটি ভারতবর্ষের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এবং এই প্রসঙ্গে ভারতীয়রাই যা করার করবেন, ‘বিদেশী’ তারকাদের এই প্রসঙ্গে ট্যুইট্ করে ভারতবর্ষের সার্বভৌমত্বের হানি করার কোনো মানেই হয় না। এই দলে রয়েছেন খেলোয়াড় শচীন রমেশ তেণ্ডুলকর, গায়িকা লতা মঙ্গেশকর, খেলোয়াড় সাইনা নেওয়াল্, ক্যানেডিয়ান সিটিজ়েনশিপধারী ভারতীয় অভিনেতা অক্ষয় কুমার, প্রমুখ যশস্বী ব্যক্তিবর্গ। এর মধ্যে সাইনা নেওয়াল্ ও অক্ষয় কুমারের ট্যুইট্ একই। তা হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা যে বহুল প্রচলিত কপি-পেষ্টের খেলায় মেতে উঠেছেন এটা মনে করার কোনো কারণ নেই – এজাতীয় আত্মপক্ষসমর্থন-মূলক মন্তব্য তাঁদের কাছ থেকে এখনও পাওয়া যায়নি। যাই হোক, এঁরা এতকাল চুপ করে থাকার পর ‘বিদেশী’ তারকাদের ট্যুইটের পরেই এদের হুড়মুড়িয়ে ট্যুইট্ করতে নামাকে মোটেই ভালো চোখে দেখছেন না বিদ্বৎসমাজ। অনেকে এমনও দাবী করছেন যে এঁরা শাসক ও শাসক দলের কথাতেই এমনটা করছেন।
তৃতীয়ত, এমনও শোনা যাচ্ছে যে সরকার নাকি ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে কৃষক-আন্দোলন প্রসঙ্গে সমস্ত ‘হ্যাশ্ ট্যাগ্’ তথা সেই সমস্ত ‘হ্যাশ্ ট্যাগ্’ ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্টগুলি সত্ত্বর বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি, ফেসবুক নামক বিখ্যাত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বহু সরকার বিরোধী ও শাসকদল বিরোধী পোষ্ট। বিষয়টি বহু দিন ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলছিল, যা সম্প্রতি ভারতবর্ষে আমদানী করা হয়েছে।
চতুর্থত, ইণ্ডিয়া টুডে নামক বিখ্যাত সংবাদ সংস্থার একটি খবর থেকে জানা যায় যে নিজের ফেরারী গাড়ি আমদানির করের উপর মোটা টাকার ছাড় পেয়েছেন খেলোয়াড় শচীন রমেশ তেণ্ডুলকর, যিনি সম্প্রতি মনে করেছেন যে ভারতের সার্বভৌমত্ব ‘বিদেশী’ তারকাদের ট্যুইটের মাধ্যমে লঙ্ঘিত হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বহু বিদ্বৎজন এই ঘটনার কথা স্মরণ করছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার থাকাকালীন যে “হাউডি মোদী” অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল, তাতে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান, অর্থাৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ট্রাম্পের হয়ে আসন্ন নির্বাচনের প্রচার করে এসেছিলেন “আবকি বার, ট্রাম্প সরকার” এই কথা বলে।
পঞ্চমত, উল্লেখ্য যে শাসক দলের অধিকাংশের মতে আন্দোলনরত কৃষকেরা প্রকৃতপক্ষে কৃষকই নয়। দেশদ্রোহীগণ কিছু মানুষকে টাকার লোভ দেখিয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার জন্য রাস্তায় নামিয়েছেন। কিন্তু শাসক দলের এইরূপ বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন বুদ্ধিজীবী মহল। তাঁরা বলছেন যে, এত মানুষকে এত টাকা ‘খাওয়াচ্ছে’ কে? তাদেরই বা এত টাকা এল কোত্থেকে? বিশ্ব-নিন্দিত কিন্তু স্বজন-বন্দিত পদক্ষেপ ‘নোটবাতিল’ নামক মাষ্টারস্ট্রোকের পরেও কি এদের কালো টাকা রয়ে গেছে, যা খরচা করেই তারা মেকি কৃষক জোগাড় করছে যারা শীতে রাতের পর রাত খোলা আকাশের নীচে কাটিয়ে দিচ্ছে? তবে কি নোটবাতিল ব্যর্থ? কী উদ্দেশ্যে নিয়েই বা তারা এত বড় ইনভেষ্টমেণ্টের ঝুঁকি নিয়েছে? যদি এঁরা কৃষকভিন্ন অন্য কিছু হন, তবে সরকার কি এদের কর্মসংস্থানে অক্ষম, নাকি এঁরাই সরকারের দ্বারস্থ হননি? আর, এঁরা যদি ‘এমপ্লয়েড্’ হন, তবে কী জাতীয় পেশার সাথে যুক্ত? এছাড়াও সবথেকে বড় প্রশ্ন – মোদী পরিচালিত সরকারের আমলে দেশদ্রোহীদের এত বাড়বাড়ন্ত কীভাবে হল? এইসব প্রশ্নের সদুত্তর অবশ্য শাসকদলের অফিসের চৌকাঠ পেরিয়ে সংবাদমাধ্যম অব্দি এসে পৌঁছায়নি।
কলমের আঁচড়ে
পৃথিবীর বুকে মেনে চলা কিছু বিস্ময়কর এবং ভয়ঙ্কর সত্কার-রীতি!
বিশ্বজিৎ দাস : কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বলে গেছেন “জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে?” অর্থাৎ জন্মগ্রহণ করলে আমাদের মৃত্যু অনিবার্য। মানুষের মৃত্যুর পর সৎকার করা হয়। সভ্যতার প্রথম দিক থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে। এই সৎকারের সময় টা খুবই কঠিন, বিশেষত নিকটজনের কাছে। সে সব আঁকড়ে থাকে, কারণ একবার ছেড়ে দিলে আর পাওয়া যাবে না। এই ভাবাবেগ থেকেই স্মৃতি রক্ষার ভাবনা শুরু। মৃতের ব্যবহৃত জিনিস রেখে দেওয়া, যেমন চুল কিছুটা কেটে যত্ন করে রেখে দেওয়া ছিল পুরনো প্রথা। অনেকে দাঁত সংরক্ষন করত। বুদ্ধের দাঁত কলকাতার জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে আজও।
কিন্তু পৃথিবীর প্রত্যেক জাতির মধ্যেই মৃত্যুর পর কিছু বিশেষ নিয়ম পালন করার রীতি আছে। কিছু নিয়ম বিজ্ঞানসম্মত আবার কিছু একেবারে অদ্ভুত। মৃতদেহ সত্কারের জন্য কেউ যেখানে মৃতদেহটি পুড়িয়ে ফেলেন, আবার কেউ বা মাটিতে কবর দেন। আবার কেউ বা সযত্নে সেটিকে কফিনজাত করেন। কিন্তু এসবের বাইরেও এমন অনেক রীতিনীতি আছে যেগুলি আমার আপনার স্বাভাবিক ভাবনা চিন্তার বাইরে।
সাধারণ মানুষের কাছে মৃত ব্যক্তিকে মাটিতে কবর দিয়ে রাখা বা আগ্নিদাহ করা পরিবেশগত কারণে মোটামুটি স্বাভাবিক মনে হলেও কিছু কিছু সংস্কৃতিতে মৃত ব্যক্তি সমাহিত করার পদ্ধতি অবাক করার মতো।
পৃথিবী জুড়ে চলা এই আশ্চর্য ও কিছুটা ভয়ঙ্কর মৃত্যু অনুষ্ঠান গুলি হল :
১. মমিফিকেশন :
এই ঘটনা আমার আপনার কিছুটা জানা। প্রাচীন মিশরের ফারাওদের মরদেহ মমি করে সমাহিত করা হতো। এই পদ্ধতিতে প্রথমে দেহের অভ্যন্তরীণ সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বের করা হয়। এরপরে দেহের সব আর্দ্রতা অপসারিত করা হয়। শেষে লম্বা আকৃতির লিনেন কাপড় দিয়ে দেহ মুড়ে ফেলা হয়।
তবে আধুনিক মমিফিকেশন পদ্ধতি আলাদা।বর্তমানে মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য কিছু রাসায়নিক তরল ভর্তি পাত্রে দেহ ডুবিয়ে রাখা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এটি মৃতদেহ সৎকারের কোনো রীতি নয়; এটি মৃতদেহ সংরক্ষণ পদ্ধতি।
২. মৃতের পুনর্জাগরণ :
এই অদ্ভুত প্রথাটি পালন করা হয় মাদাগাস্কায়। প্রতি পাঁচ থেকে সাত বছর পর পর। তার নিকটাত্মীয়রা কবর খুঁড়ে মৃত ব্যক্তির দেহাবশেষ বের করে আনে। এরপর মৃত ব্যক্তিকে নতুন পোশাক পরানো হয় এবং পারিবারিক ভোজে তাকে বসিয়ে রাখা হয়।এদিন মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে গানের তালে তালে নাচতেও দেখা যায়। পারিবারিক পুনর্মিলন হিসেবে প্রথাটিকে দেখা হয়।
৩. এন্ডোক্যানিবালিজম (Endocannibalism) :
এই বিশেষ মৃত্যু অনুষ্ঠানটি দেখতে পাওয়া যায় আমাজন রেইন ফরেস্টের ইয়ানোমমি উপজাতি, পাপুয়া নিউ গিনির মেলানসিয়ানস উপজাতি এবং ব্রাজিলের ওয়ারীরা উপজাতির মধ্যে।এখানে একটি মৃতদেহকে বা দেহাংশকে ভক্ষণ করা হয়। তাদের বিশ্বাস এই প্রথার মধ্যে দিয়ে মৃত ব্যাক্তির আত্মা স্বর্গে যাবে।
এই জাতির মানুষেরা বিশ্বাস করেন, মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। উপরন্তু তারা ভাবেন যে, তাদের প্রতিদ্বন্দী গোষ্ঠী কোনো অশুভ আত্মাকে প্রেরণ করেছে। সেই কারণে এই ঘটনা রোধ করার জন্য তারা এই অনুষ্ঠানটি করে থাকেন। যাতে মৃত ব্যাক্তির আত্মা জীবিত থাকে এবং তার পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করতে পারে।
এই অনুষ্ঠানটি করার জন্য প্রথমে তারা মৃতদেহটিকে পাতা দিয়ে মুড়ে বাড়ি (যেখানে তিনি মারা গেছেন) থেকে অল্প দূরে জঙ্গলে রেখে আসেন। এর পর মোটামুটি ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মাথায় সেই পঁচাগলে যাওয়া মৃতদেহ থেকে হাড় সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। এরপর কলা দিয়ে বানানো একধরণের সুপের মধ্যে মৃতদেহের ছাই মিশিয়ে গোষ্ঠীর সকলে সেটি পান করে। তবে এই নিয়ম শুধুমাত্র গোষ্ঠীর শিশু ও মহিলারা পালন করেন।
৪. তিব্বত বৌদ্ধ মহিমা কবর/ তিব্বতের আকাশ সৎকার (Tibetan Buddhist Celestial Burials or Sky burial) :
এই সৎকার অনুষ্ঠানটি তিব্বতি ঐতিহ্যের প্রতীক। এই অনুষ্ঠানে মৃতদেহকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে পাহাড়ের মাথায় রেখে আসা হয় এবং পাখিদের (বিশেষত শিকারী পাখিদের) ওই দেহাংশ ভক্ষণ করতে দেওয়া হয়। অনেক সময় অক্ষত মৃতদেহও রেখে দেওয়া হয় এই পাখিদের খাদ্য হওয়ার জন্য।
বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে মৃতদেহকে খালি জাহাজ মনে করা হয় যা সংরক্ষনের কোনো দরকার নেই।মূলত, তিব্বতের কঠিন জলবায়ু ও পাথরে ভরা জমিতে কবর দেওয়া এক পক্ষে অসম্ভব।৫. সাসপেন্ড কবরস্থান (Suspended Burials) : এই সৎকার অনুষ্ঠানটি প্রাচীন চীন বংশের মধ্যে দেখা যায়। এখানে তারা মৃতদেহকে কফিনে পুড়ে উঁচু পাহাড়ের গায়ে অবস্থিত শিলার উপর ঝুলিয়ে রেখে দেয়। সাধারণের বিশ্বাস, মৃতদেহকে আকাশের কাছাকাছি রাখা উচিত যাতে তারা বন্য প্রাণীদের নাগালের বাইরে এবং ভগবানের নাগালের মধ্যে বা কাছাকাছি থাকতে পারে।
৫. সতী :
উপযুক্ত কারণেই হিন্দু ধর্মে সতীদাহ প্রথার প্রচলন বর্তমানে নিষিদ্ধ। তবুও একটা সময়ে এই নিষ্ঠুর ও অমানবিক সৎকার হিন্দু ধর্মের এক সনাতনী ঐতিহ্য হিসাবেই মানা হত। এই রীতি অনুযায়ী, মৃত ব্যাক্তির স্ত্রী কে বধূবেশে সাজিয়ে একই চিতায় মৃত্যু বরণ করতে হত। সেই সময় দাবি করা হত, সতীদাহ প্রথার মাধ্যমে মৃত স্ত্রী সতিরূপে স্বর্গলাভ করবে।
৬. ভাইকিং ফিউনারেল (The Viking Funeral) :
এটি একটি অন্যতম নৃশংস সৎকার অনুষ্ঠান। এই রীতি অনুযায়ী মৃতদেহকে একটি অস্থায়ী কবরে দশ দিনের জন্য রাখা হত। পাশাপাশি চলত মৃতের জন্য নতুন জামাকাপড় তৈরির কাজ। অন্যদিকে একজন ক্রীতদাসীকে বেছে নেওয়া হত, যে ওই মৃত মানুষটির পরবর্তী জীবনের সঙ্গিনী হবে। এরপর সেই মেয়েটি ওই গ্রামের সকলের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতো। তাদের মতে এই বর্বরতায় নাকি ছিল মৃতব্যাক্তির প্রতি প্রেম নিবেদন। তারপর ওই দাসীর গলায় ফাঁস দিয়ে এবং সবশেষে ছুরি মেরে হত্যা করা হতো।
এরপর একটি কাঠের জাহাজে মৃত ব্যাক্তির সাথে তাকেও রেখে দিয়ে অগ্নি সংযোগ করা হত।
৭. আঙুলের আবৃততা (Ritual Finger Amputation) :
এই মৃতদেহ সৎকারের নিয়মটি পাপুয়া নিউ গিনির দানি জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত।
এই নিয়ম অনুযায়ী বাড়ির কোনো প্রিয় ব্যক্তি মারা গেলে তার সঙ্গে সম্বন্ধিত মহিলা ও শিশুরা তাদের আঙুলের কিছু অংশ কেটে ফেলত। এরপর কাদা ও ছাই মুখে মেখে মৃতব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশ করত।
৮. টোটেম পোলস (Mortuary Totem Poles) :
স্থানীয় সভ্যতার বিভিন্ন গল্প তুলে ধরার জন্য টোটেম পোল তৈরি করা হয়। হায়দা উপজাতির মধ্যে এই রীতি দেখতে পাওয়া যায়। এই রীতি অনুযায়ী মৃতব্যাক্তির শরীরকে পেটানো হবে যতক্ষন না এটি একটি ছোট বাক্সে এঁটে যায়।এরপর এই বাক্সটি একটি টোটেম পোল এর উপর রেখে মৃত ব্যাক্তির বাড়ির সামনে রেখে আসা হয়।
৯. বারিড ইন ফ্যান্টাসি কফিন (Buried in a fantasy Coffin) :
এই রীতি অনুযায়ী মৃতদেহকে এমন একটি কফিনে রাখা হয় যেটি তার জীবনকে অথবা পেশাকে উপস্থাপনা করে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো বিমান চালক কে বিমানরূপী কফিনে, কোনো জেলেকে মাছরূপী কফিনে আবার কোনো ধনী ব্যাবসায়ীকে একটি দামি গাড়ীরূপী কফিনে রাখা হয়।
১০. অন্ধ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া (Blindfolded funeral) :
এই মৃতদেহ সৎকারের রীতি অনুযায়ী মৃতদেহের চোখ বেঁধে তাকে বাড়ির মুখ্য দরজার সামনে রেখে দেওয়া হয়। এটি দেখা যায় উত্তর পশ্চিম ফিলিপিনেসে।
এছাড়াও সারা পৃথিবী জুড়ে আরও নানান ধরনের অদ্ভুত এবং ভয়ংকর সৎকার অনুষ্ঠান দেখতে পাওয়া যায়।