দেশ
বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে সরকার বদলে দিল ‘ড্রাগন ফ্রুট’এর নাম!
![Social Update Bengali News Image](https://socialupdate.in/wp-content/uploads/2021/01/dragon-fruit.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি : এবার ড্রাগন ফলের নতুন পরিচিতি হলো ‘কমলম’। গুজরাট সরকার ড্রাগন ফ্রুটের নতুন নামকরণ করল ‘কমলম’।
গত বুধবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি বলেন যে, “রাজ্য সরকার ড্রাগন ফলের নতুন নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ফলের সাথে চেহারায় পদ্মফুলের সাথে অনেকটা সাদৃশ্য রয়েছে, এবং নামের মধ্যে ‘ড্রাগন’ শব্দের সঙ্গে চিনের যোগ রয়েছে। তাই এই নাম পরিবর্তন।”
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, “সংস্কৃত ভাষায় ‘কমলম’ শব্দের অর্থ পদ্মফুল। সম্প্রতি ড্রাগন ফলের চাষ অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। অনন্য চেহারা, স্বাদ এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর ফলটি প্রধানত গ্রীষ্ম প্রধান অঞ্চলে চাষ হয়।”
মনে রাখা প্রয়োজন, জিনিসের নাম পরিবর্তনে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা লক্ষ্যনীয়। বিশেষ করে যোগী শাসিত উত্তর প্রদেশ এই নাম পরিবর্তনের দিকে প্রথম স্থান অর্জন করে। এই নাম পরিবর্তনের ফলে দেখা দিয়েছে অনেক বিভ্রান্তি। তবু এই নাম পরিবর্তনের যে ধারা বিজেপি সরকার বয়ে নিয়ে যাচ্ছে, তা যেন থামবার নাম নিচ্ছে না।
মাঝেমধ্যেই পুরোনো নামের পরিবর্তন করতে দেখা যায় রাজ্যগুলিতে। তবে গোটা দেশ গুজরাট সরকারের এই ফলের নামে চীনা যোগসূত্র খুঁজে ‘ড্রাগন ফ্রুট’ থেকে ‘কমলম’ নাম পরিবর্তনে তাজ্জব বনে গিয়েছে।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
![Social Update Bengali News Image](https://socialupdate.in/wp-content/uploads/2021/02/farmers-protest-image.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।