ক্রীড়া প্রাঙ্গণ
আইপিএলের এলিমিনেটারে আরসিবি কে হারালো সান রাইসার হায়দ্রবাদ ।
নিজস্ব প্রতিনিধি : এবারের আইপিএল সিজন বেশ জমজমাট হয়েছে, পর পর ৩ টি ম্যাচ হেরে প্লে অফ এ জায়গা করেছে বিরাট কোহলির আরসিবি, অন্যদিকে মুম্বাই এর মত শক্তিশালী দল কে হারিয়ে নক আউট ম্যাচ এ হারিয়ে প্লে অফ এ এসেছে হায়দ্রাবাদ।
আবুধাবিতে এই দুই দলের এলিমাইনটর ম্যাচ এ হেরে বিদায় নিলো বিরাট কোহলির আরসিবি। আবুধাবিতে রান চেজ করেছে যেই টিম তাদের জেতার হার সবচেয়ে বেশি, তাই টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় হায়দ্রাবাদের ক্যাপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে দুই দলেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসে চোটের কারণে। ইনফর্ম সাহা বাদ যায় হায়দ্রবদের দল থেকে, উল্টোদিকে আরসিবির ক্রিস মরিস এর পরিবর্তে টিম এ যায়গা পায় মঈন আলী, ফিঞ্চ ফিরে আসে ফিলিপের পরিবর্তে ও অ্যাডাম জাম্পা আসে উদানার জায়গায়।
ব্যাট করতে এসে হোল্ডার এর দুরন্ত বল এ প্রথমেই ফিরতে হয় ক্যাপ্টেন বিরাট ৬ (৭) কে, এর কিছু পর এই ইনফর্ম দেবদত্ত প্যাডিকাল ১(৬) ক্যাচ আউট হলে আরসি বির রানের গতি কমে আসে প্রথমেই, অ্যারন ফিঞ্চের ৩২ (৩০) রান সেই আঘাত এ কিছুটা প্রলেপ দিতেই, একটি সহজ ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়ন ফিরতে হয় ফিঞ্চ কে। এর পর একহাতে লড়াই করতে থাকেন ডিভিলিয়ার্স, তবে তাকে সঙ্গ দিতে এসে ফ্রী হিট বলেও রান আউট হতে হয় মঈন আলী কে।
হায়দ্রবাদ এর দুরন্ত বোলিং এর সামনে কিছুটা লড়াই চালায় শিভম দুবে ৮(১৩) ও ডিভিলিয়ার্স ৫৬(৪৩) । তবে রান এর গতি বাড়াতে গিয়ে বড়ো শর্ট লাগানোর চেষ্টা করে উভয় ব্যাটসম্যান কিন্তু ব্যর্থ হয় দুবে। এর কিছু পরেই নটরাজন এর দুরন্ত ইয়োর্কের কোনো উত্তর ছিলোনা ডিভিলিয়ার্স এর কাছে, এর পর সাইনি ও সিরাজ স্কোরবোর্ড এ কিছু রান যোগ করলে ২০ ওভার শেষে আরসিবির রান দাড়ায় ১৩১।
মরিস হীন ব্যাঙ্গালোরের বোলিং লাইন আপ মোটেই ১৩১ রান ডিফেন্ড করতে পারবে না এমনটা ভাবা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু তাও চাহাল ও জাম্পা হায়দ্রাবাদ ব্যাটসম্যান দের বেশ প্রেসার এ রেখেছিল।
পওয়ার প্লে তে নতুন বল এ সিরাজ গোস্বামী কে পাভিলআয়ন ফেরত পাঠায় ০ রান এ। এর পর দারুন স্পেল করে সাইনী ও। এর পর জাম্পা মনিস পান্ডে এর উইকেট পেলে কিছুক্ষন প্রেসার এ রাখলেও হোল্ডার ২৪(২০) ও উইলিয়ামসন ৫০(৪৪) রান এ ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় কোয়ালিফয়ার এর দিকে পা বাড়ায় ওয়াড়নার বাহিনী।
ক্রীড়া প্রাঙ্গণ
মেলবোর্নে দ্বিতীয় টেস্টে দুরন্ত জয় রাহানের নেতৃত্বাধীন ভারতের।
বিক্রম দাঁ : অ্যাডিলেড টেস্ট ম্যাচে ৩৬ রানে অল আউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়েছিল ভারতীয় দল। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে ছিলেন না প্রথম দলের চার তারকা। আর মেলবোর্নে ভারতের রেকর্ডও খুব একটা সুখকর ছিল না। কিন্তু এ হেন প্রতিকূলতার মধ্যেই অজিঙ্কে রাহানের ভারত দেখিয়ে দিয়েছে, এভাবেও ফিরে আসা যায়।
বক্সিং ডে টেস্টে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে যেন রূপকথার কাহিনি লিখে ফেলেছে টিম ইন্ডিয়া। তাই এই টেস্ট জয়ের স্বর্ণ পদক তার এই প্রাপ্য। অনবদ্য ঠান্ডা মাথার অধিনায়কত্ব হোক, কিংবা ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, দ্বিতীয় টেস্টে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন আজিংকে রাহানে । তাই এদিন টুইট করে ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলিও রানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
ম্যাচের আগে বিরাট বা সামির অনুপস্থিতি হোক বা খেলা চলাকালীন উমেশ যাদব এর ছোট হাওয়ার পরেও বোলিং ম্যানেজমেন্ট হোক সব দিকেই দারুন প্রতিভার পরিচয় দিয়েছে জিংকস। তবে এই ম্যাচ জেতার পর অধিনায়ক দলের ডেবিউ টান্টস সিরাজ আর শুভমণ এর অসাধারণ পারফরমেন্স এর কথা বলেছেন। আর বলবেননাই বা কেনো? ইশান্ত শর্মা ছিলেন না টেস্ট এ সেই জন্য তৃতীয় সিম বোলার হিসেবে যাদব সুযোগ পায়। তাতেই ভারতীয় দলের বোলিং ডিপার্টমেন্টকে দুর্বল বলেছিলেন অনেক ক্রিকেটর।
সমি দল থেকে বেরিয়ে গেলে সেখানে সিরাজ এর নতুন ও পুরনো বলে উইকেট নেওয়া র দক্ষতাই দারুন কাজে এসেছে ভারতের। এর পর গিল , আসন্ন দশ বছরে ব্যাটিং এ যে গিল এর রাজত্ব চলতে পারে এমনটা অনেক ক্রিকেটার বলছেন। যেমন টেকনিক তেমন শর্ট সিলেকশন । ভারতীয় ব্যাটিং এর ভবিষ্যত যে বেশ উজ্জ্বল তা বেশ পরিস্কার।
কোহলির নেতৃত্বেই প্রথম ম্যাচে লজ্জার সেই রেকর্ডটি করতে হয়েছে ভারতকে। তারপর আবার পিতৃত্বকালীন ছুটিতে দেশে ফিরে এসেছেন বিরাট। মেলবোর্ন টেস্টের আগে দল ছিল ছত্রভঙ্গ। ৪-০ তে হারের আশঙ্কা তাড়া করে বেড়াচ্ছিল দলকে। সেই আশঙ্কাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে মেলবোর্নে জয়ের শিরোপা উঠেছে ভারতের মাথায়। ক্যাপ্টেন কোহলি তাই বলছেন,”কী অসাধারণ জয়! গোটা দলের পারফরম্যান্স অনবদ্য। ছেলেদের জন্য অত্যন্ত খুশি। বিশেষ করে রাহানের জন্য। এর চেয়ে খুশির খবর হতে পারে না। এরপর আমাদের শুধু উপরের দিকে ওঠার পালা।