দেশ
ছিঃ! ৬ বছরের শিশুকে গণধর্ষণের পর লিভার কাটলো অভিযুক্তরা।
নিজস্ব প্রতিনিধি : উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও এক নারকীয় ঘটনা সামনে এল।কুসংষ্কার-গণধর্ষণ-শিশু হত্যা। নারকীয়তার সমস্ত নজির ছাপিয়ে গেল এই শিশু খুন। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের কানপুরে।
৬ বছরের শিশুকে গণধর্ষণ খুনের পর বের করে নেওয়া হল যকৃৎ। পুলিশের মতে, শিউড়ে ওঠার মতো এই খুনের সঙ্গে তুক-তাকের ভ্রান্ত বিশ্বাসও জড়িয়ে আছে।
স্ত্রীর সন্তানধারণের জন্য দরকার একটি শিশুর যকৃৎ। এমনই নারকীয় কুসংষ্কার থেকে অপহরণের ছক কষেছিল পরশুরাম কুরিল নামে এক ব্যক্তি। এই কুখ্যাত দুষ্কৃতীর কথা মতো, দিওয়ালির রাতে ঘাতমপুর এলাকা থেকে ওই শিশুটিকে অপহরণ করে অনকূল কুরিল ও বীরেন নামে দুজন। জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তারা শিশুটিকে গণধর্ষণ করে। প্রথমে অনকূল ও বীরেনকে গ্রেফতার করে পুলিস। পরে সোমবার মূলচক্রী পরশুরামকে গ্রেফতার করা হয়। পরশুরামের স্ত্রীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে সব জেনেও চুপ করে থাকার অপরাধে।
অভিযুক্তদের জেরা করে জন্য গেছে, প্রথমে মদ্যপ অবস্থায় তারা ঐ শিশুকন্যাটিকে ধর্ষণ করে। তারপর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।