দেশ
নেতাজি জয়ন্তীর দিন জাতীয় ছুটি চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি রাজ্যের।
নিজস্ব প্রতিনিধি : “নেতাজি জয়ন্তীর দিন ঘোষণা করা হোক জাতীয় ছুটি” মূলত এই দাবি রেখে ১৮ই নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দিন নবান্ন থেকে মোট ২ পাতার একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে।
সেই চিঠিতে ২৩শে জানুয়ারি জাতীয় ছুটির আবেদন জানানোর সাথে সাথে কড়া ভাষায় প্রধান মন্ত্রীকে নেতাজির অন্তর্ধান সংক্রান্ত তথ্য জনসাধারণের সামনে নিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন “…You are also aware about the mystery surrounding the disappearance of Netaji. People of the country and especially of Bengal, have the right to know the truth about this matter…”
গত বছরই নেতাজির মৃত্যুবার্ষিকী ১৮ অগস্ট বলে টুইট করে দেশজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)। পিআইবি এমন বিতর্কিত টুইট করায় নেতাজির দাদা শরৎ বসুর পৌত্র চন্দ্র বলেছিলেন, ‘ভারত সরকার যখন বলছে ১৮ অগস্ট নেতাজি মারা গিয়েছেন, তা হলে তাঁদের কাছে কী প্রমাণ রয়েছে, তা প্রকাশ করুন। নেতাজিকে নিয়ে তিনটি তদন্ত কমিশন ও কমিটি তৈরি হয়েছে। যদিও কোনও নথিতে নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই যে, ১৮ অগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজি মারা যান।’
উল্লেখযোগ্য, রাজ্যে তৃণমূল সরকার আসার পর নেতাজি সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য জনসাধারণের সামনে নিয়ে এসেছে সরকার। একইভাবে কেন্দ্রীয় কিছু কিছু তথ্য জনসাধারণের উন্মুক্ত করেছে।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।