জেলা
সাতসকালে বর্ধমানে দেখা গেল নীলগাই! জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বনদপ্তর।
নিজস্ব প্রতিনিধি : বর্ধমান শহরে দেখা পাওয়া গেল নীলগাইয়ের। এলাকায় প্রাণীটিকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বনদপ্তর ইতিমধ্যেই সেটিকে উদ্ধার করে বর্ধমানের অভয়ারণ্যে পাঠিয়েছে।
নীলগাইটির পা ও কোমড়়ে আঘাত রয়েছে। বর্ধমানের স্থানীয় লোকেরা মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান শহরের গোদা এলাকায় ২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বিরল প্রজাতির এই প্রাণীটিকে দেখতে পান। তাঁরাই বোঝেন যে, নীলগাইটির পায়ে চোট রয়েছে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পশুপ্রেমী সংগঠন ও বনদপ্তরে।
খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাণীটিকে উদ্ধার করেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। পাঠিয়ে দেন বর্ধমানের রমনাবাগান অভয়ারণ্যে। জানা গিয়েছে, নীলগাইটির পা ও কোমড়ে চোট গুরুতর। ইতিমধ্যেই তার চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে।
বিভাগীয় বনাধিকারিক দেবাশিস শর্মা বলেছেন,”এই নীলগাই পাওয়া যায় মূলত উত্তরপ্রদেশে। সেখান থেকে সুন্দরবনে চাষের কাজে লাগানোর জন্য অনেকক্ষেত্রে এই প্রাণীগুলিকে আনা হয়ে থাকে। অনুমান চাষের কাজে লাগাতে অথবা চোরা পাচারকারীরা উত্তরপ্রদেশ থেকে ট্রাকে করে নীলগাই নিয়ে যাচ্ছিল কলকাতায়। সেই সময় কোনওভাবে এটি গাড়ি থেকে পড়ে যায়, অথবা ঝাঁপ দেয়। সেই কারণেই পা ও কোমড়ে চোট লেগেছে।”
জেলা
ফেসবুকে অর্মত্য সেনকে নিয়ে অসম্মানজনক পোস্ট! ABVP নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের।
নিজস্ব প্রতিনিধি : ফেসবুকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে নিয়ে অসম্মানজনক পোস্ট করার অভিযোগে বিশ্বভারতীর এক ছাত্রনেতার নামে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হল। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) বিশ্বভারতী ইউনিটের সদস্য অপূর্ব শরদের নামে বাম সমর্থিত বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী ঐক্য মঞ্চ এই অভিযোগ দায়ের করল।
এর ফলে শান্তিনিকেতন আবারও মুখ্যমন্ত্রীর বোলপুর সফর চলাকালীন এই বিষয়টি ঘিরে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল। বোলপুরের শান্তিনিকেতনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ির নাম “প্রতীচী”। এই বাড়ির একটা অংশ বিশ্বভারতীর, বারবার এমনই দাবি করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই মর্মে বিশ্বভারতীর সম্পত্তি বিভাগের তরফে রাজ্য সরকারকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে। নানা মহল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর এমন অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব।
এরকম পরিস্থিতির মাঝেই ফেসবুকে অমর্ত্য সেনকে নিয়ে অসম্মানজনক পোস্ট করেছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির নেতা অপূর্ব শরদ। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন,” অমর্ত্য সেন দীর্ঘদিন ধরে ইংল্যান্ড, আমেরিকায় বসবাস করেন, সেখানেই পড়ান। ভারতের অর্থনীতির জগতে তাঁর অবদান একেবারে শূন্য।” এরপর তিনি অর্থনীতিবীদ অমর্ত্য সেনকে সমর্থনকারীদের প্রতিও আঙুল তুলেছেন।