রাজ্য
বিপাকে দিলীপ ঘোষ, ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের জেরে জারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবারও বিপাকে পড়লেন। বর্ধমান আদালত মেদিনীপুরের এই সাংসদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল। প্রায় বছরখানেক আগে দিলীপের বিরুদ্ধে পুলিশকে নিয়ে আপত্তিকর এবং উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছিল। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সেই মামলাতেই এবার গ্রেপ্তারির খাঁড়া ঝুলছে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ গতবছর ৪ নভেম্বর বর্ধমানের রায়না এলাকায় একটি সভায় পুলিশের বিরুদ্ধে রীতিমতো বিষোদ্গার করেন। ওই সভায় তিনি বলেছিলেন, ‘রাজ্যের পুলিশকর্মীরা আকন্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে। টাকা না দিলে পুলিশের চাকরি মেলে না। প্রমোশনের জন্যও পুলিশকে টাকা দিতে হয়। এসপি থেকে ওসি সকলকে টাকা তুলতে হয় এবং সেই টাকা যায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে।”
দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্যই অভিযোগ দায়ের করেন রায়নার সেহারাবাজার ফাঁড়ির এক পুলিশকর্মী। তাঁর অভিযোগ ছিল, ‘দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য পুলিশের ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সাধারণ মানুষের মনে পুলিশের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে, এবং পুলিশকর্মীদের মনোবলে চিড় ধরিয়েছে।’ সেই পুলিশকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতেই দিলীপের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই এই মামলার চার্জশিট পেশ করে পুলিশ।
রাজ্য
চিটফান্ড-কাণ্ডে এবার পিসি সরকার জুনিয়রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি!
নিজস্ব প্রতিনিধি : শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হাজির হলেন পিসি সরকার জুনিয়রের মুকুন্দপুরের বাড়িতে। তল্লাশি চালানোর জন্যেই তাদের ওই বাড়িতে যাওয়া। তবে কী কারণে এই তল্লাশি অভিযান, তা অবশ্য সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়নি। মুখে কুলুপ এটেছেন পিসি সরকারের পরিবারের সদস্যরাও।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্তে ৪টি জায়গায় তল্লাশি চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই ৪টি বাড়ির মধ্যে একটি হল জুনিয়র পিসি সরকারের বাড়ি।
একটি রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে জুনিয়র পিসি সরকারের ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির সময় তিনি টাওয়ার গোষ্ঠী থেকে টাকাও নিয়েছিলেন। রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে যে চুক্তি, তার বাইরে অন্য কোনও ভাবে টাকা লেনদেন হয়েছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সিবিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার মুকুন্দপুরের পূর্বালোকের বাড়িতে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। টাওয়ার গ্রুপের সঙ্গে কী ভাবে তার চুক্তি হয়েছিল, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।