রাজ্য
বাঙালিদের জয় জয়কার, বাংলা তথা ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সেরা প্রাপ্তি।
নিজস্ব প্রতিনিধি : শুধুই কি দুঃসংবাদ! না, দেবীর আগমনীর সাথে ২০২০ সুসংবাদের বার্তাও নিয়ে এলো। শনিবার দিল্লির বিজ্ঞান বিভাগে কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (সি এস আই আর) প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে‘শান্তি স্বরূপ ভাটনগর’ পুরস্কারটি দেশের ১২ জন বিজ্ঞানীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যার মধ্যে বেশিরভাগ জনই ছিলেন বাঙালি। তারই মধ্যে অত্যাধুনিক আবিষ্কার কোরোনা পরীক্ষার কিট ‘ফেলুদা’ র অন্যতম গবেষক ডক্টর দেবজ্যোতি চক্রবর্তীর নাম নির্বাচিত হয়েছে ইয়ং সায়েন্টিস্ট বিভাগে।
৪৫ বছরের ও কম বয়েসি জীবনবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, গণিত, রসায়নবিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা, পরিবেশ বিদ্যা বিষয়ক বিজ্ঞানীদের এই শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কারটি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মন্ত্রী ডঃ হর্ষ বর্ধন প্রসংশা সহকারে নিজের কিছু কথা ব্যক্ত করেছেন “বর্তমানে আমরা খুবই কঠিন পরিস্থিতির মুখে দাড়িয়ে আছি। বিগত কয়েক মাস ধরে কোরোনা নামক মহামারীর বিরুদ্ধে আমরা আপ্রাণ লড়াই করে যাচ্ছি। এই সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বৈজ্ঞানিক সমাজ অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। এই ‘ফেলুদা’ নামক কিট টি বানিজ্যিক প্রকাশের ছাড়পত্র পাওয়াতে আমি খুব আনন্দিত এবং আশাবাদী। আগামী ভবিষ্যৎ যেন আশা আলো দেখতে পারি তাই কাম্য”।
প্রত্যেকটি বিভাগের মধ্যে দুজন করে বিজ্ঞানীদের শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কারটি প্রদান করা হয়েছে। এই বছর জীবন বিজ্ঞান বিভাগে শুভদীপ চ্যাটার্জী এবং ভৎসালা থিরুমালাই পুরস্কৃত হয়েছেন। ডঃ চ্যাটার্জির গবেষণার বিষয় ছিল উদ্ভিদের দেহে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের দমন ও সৃষ্টির কারণ ও পদ্ধতি এবং ডঃ থিরুমালাই এর কাজ ছিল প্রাণীদের বৃদ্ধির সময় এবং প্রাপ্তবয়সে সঞ্চরণের স্নায়বিক নিয়ন্ত্রন এর উপর।
এছাড়া রসায়ন বিদ্যায় ইন্ডিয়ান এসোসিয়েশন অফ কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স এর বিজ্ঞানী ড. জ্যোতির্ময় দাস এবং জওহরলাল নেহরু সেন্টার ফর এডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চ এর বিজ্ঞানী ড. আমল আরভিন্দ্রা কুলকার্নি।পদার্থ বিদ্যায় জওহরলাল নেহরু সেন্টার ফর এডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চ এর বিজ্ঞানী ডঃ রাজেশ গণপতি এবং হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ সুরজিৎ ধারা।
চিকিৎসা বিদ্যায় আইআইটি কানপুরের বিজ্ঞানী ডঃ বুরশা আতিক এবং পিজিআইএমইআর ডঃ রিতেশ আগরওয়াল।পরিবেশ বিদ্যায় আইআইটি খড়গপুরের অধ্যাপক ডঃ অভিজিৎ মুখার্জি এবং আইআইটি বোম্বের অধ্যাপক ডঃ সুরেন্দ্র দত্ত।
গণিতে কলকাতার বিখ্যাত আইএসআই এ কর্মরত রজত শুভ্রা হাজরা এবং আইআইটি বোম্বের ডঃ অনন্দা ভার্ধনা।ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সিএসআইয়ার এর বিজ্ঞানী ডঃ অমল অরবিন্দ কুলকার্নি এবং ভাবা এটমিক রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী ডঃ কিংশুক দাশগুপ্ত এই পুরস্কারে পুরস্কৃত হচ্ছেন।
তিবছর এই পুরস্কৃত দের তালিকা বাঙালি বিজ্ঞানীদের নাম থাকলেও এই বছর প্রায় প্রত্যেক বিভাগে একজন বাঙালির নাম ইঙ্গিত দিচ্ছে বাংলায় বিজ্ঞান চর্চার মান ক্রমশ বাড়ছে যা এই দুঃসময়ে এক চিলতে আলোর মতন জ্বলজ্বল করছে।
রাজ্য
চিটফান্ড-কাণ্ডে এবার পিসি সরকার জুনিয়রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি!
নিজস্ব প্রতিনিধি : শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হাজির হলেন পিসি সরকার জুনিয়রের মুকুন্দপুরের বাড়িতে। তল্লাশি চালানোর জন্যেই তাদের ওই বাড়িতে যাওয়া। তবে কী কারণে এই তল্লাশি অভিযান, তা অবশ্য সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়নি। মুখে কুলুপ এটেছেন পিসি সরকারের পরিবারের সদস্যরাও।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্তে ৪টি জায়গায় তল্লাশি চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই ৪টি বাড়ির মধ্যে একটি হল জুনিয়র পিসি সরকারের বাড়ি।
একটি রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে জুনিয়র পিসি সরকারের ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির সময় তিনি টাওয়ার গোষ্ঠী থেকে টাকাও নিয়েছিলেন। রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে যে চুক্তি, তার বাইরে অন্য কোনও ভাবে টাকা লেনদেন হয়েছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সিবিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার মুকুন্দপুরের পূর্বালোকের বাড়িতে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। টাওয়ার গ্রুপের সঙ্গে কী ভাবে তার চুক্তি হয়েছিল, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।