দেশ
রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎকারে বাঁধা পুলিশের, হেফাজতে কংগ্ৰেস নেতা-নেত্রী।
নিজস্ব প্রতিনিধি : রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সাথে কৃষির আইনের বিরুদ্ধে দুই কোটি স্বাক্ষর নিয়ে সাক্ষাত করতে যাওয়ার সময়ে, দিল্লি পুলিশ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সহ কংগ্রেসের অন্যান্য নেতাদের হেফাজতে নিয়েছিল।
অতিরিক্ত ডিসিপি (নয়াদিল্লি) দীপক যাদব বলেছেন যে, ‘রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে যাত্রা করা কিছু কংগ্রেস নেতাকে আটক করা হয়েছিল এবং তারা নিশ্চিত করেছিলেন যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তাদের মধ্যে ছিলেন। তবে আটককৃত অন্য নেতাদের পরিচয় সনাক্ত করতে কিছুটা সময় লাগবে বলেও জানান তিনি’।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছিলেন, “আমরা গণতন্ত্রে বাস করছি এবং তারা নির্বাচিত সংসদ সদস্য। রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করার অধিকার তাদের রয়েছে এবং তাদের অনুমতি দেওয়া উচিত। তাতে সমস্যা কী? সরকার সীমান্তে শিবির স্থাপন করে কয়েক লক্ষ কৃষকের আওয়াজ শোনার জন্য প্রস্তুত নয়,তাই সরকার এই পদক্ষেপ গ্ৰহণ করছে।”
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আরও বলেন যে,“এই সরকারের বিরুদ্ধে যে কোনও মতবিরোধকে সন্ত্রাসবাদের উপাদান হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। কৃষকদের জন্য আমাদের সমর্থন জানাতে আমরা এই পদযাত্রা করছি।”
বিক্ষোভের পরে এই পদযাত্রা বিজয় চক থেকে সকাল দশটা ৪৫ মিনিটে শুরু হয়েছিল, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং অন্যান্য প্রবীণ নেতারা রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের সাথে দেখা করেছিলেন এবং ২ কোটি স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেন।
রাহুল গান্ধী সভার পরে বলেছিলেন, “আমি রাষ্ট্রপতিকে বলেছি যে এই ফার্ম আইনগুলি কৃষক বিরোধী। দেশটি দেখেছে যে কৃষকরা এই আইনগুলির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন।”
“আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই যে, ‘এই খামার আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এই কৃষকরা দেশে ফিরবেন না। সরকারের উচিত সংসদের একটি যৌথ অধিবেশন ডেকে এই আইনগুলি ফিরিয়ে নেওয়া। বিরোধী দলগুলি কৃষক ও শ্রমিকদের সাথে দাঁড়িয়ে আছে’।
কংগ্রেস সাংসদ কেসি ভেনুগোপাল রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত সচিবকে লিখিত একটি চিঠিতে বলেছেন, ‘কেবলমাত্র তিন নেতা, রাহুল গান্ধী, গোলাম নবী আজাদ এবং অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল’।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।