দেশ
বিজেপি নেতার বাড়ির দোরগোড়ায় গোবরের স্তূপ! অভিনব প্রতিবাদ কৃষকদের।
নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লিতে কৃষকেরা আন্দোলন চালাচ্ছেন কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে। দেশের প্রধানমন্ত্রী বারবার দাবি করেছেন নতুন আইন কৃষকদের ভালোর জন্য। কিন্তু দিল্লি সীমান্তে কৃষক আন্দোলনের জট এখনো কাটেনি। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বারবার আলোচনা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান করা যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে এক প্রতিবাদকারীর বিরুদ্ধে পাঞ্জাবের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা তিকশান সুদের বাড়ির দোরগোড়ায় গোবর বোঝাই ট্রাক খালি করে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠল। এমনকি তাদেরকে সেই সঙ্গে দল বেঁধে ওই নেতার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে নয়া কৃষি আইনবিরোধী স্লোগান দিতেও দেখা যায়।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে ঘটনাটি ভিডিও। ভাইরাল ভিডিও টিতে দেখা যাচ্ছে ওই বিজেপি নেতার বাড়ির ঠিক সামনেই গোবরের স্তূপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। হোশিয়ারপুরের ওই বিজেপি নেতা পরে রায়বাহাদুর জোধামল রোডে ধরনায় বসেন।
এই ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত একশন নেওয়ার দাবি করেছেন ওই নেতা। পাঞ্জাবের বিজেপি সভাপতি অশ্বিনীকুমার শর্মা এই ঘটনার নিন্দা করে বলেন, “এই ধরনের ঘটনা যাঁরা ঘটালেন তাঁরা কি কৃষক, নাকি কৃষক সেজে আসা দুষ্কৃতী?” তার দাবি, “রাজ্যের সম্প্রীতি নষ্ট করতেই এমনটা করা হয়েছে।”
এই ঘটনার নিন্দা করেছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা অমরিন্দর সিংও। সকলকে অনুরোধ করে তিনি বলেন, “নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার নামে কেউ যেন আইন নিজের হাতে না তুলে নেন।”
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।