জেলা
ফেসবুকে অর্মত্য সেনকে নিয়ে অসম্মানজনক পোস্ট! ABVP নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের।
নিজস্ব প্রতিনিধি : ফেসবুকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে নিয়ে অসম্মানজনক পোস্ট করার অভিযোগে বিশ্বভারতীর এক ছাত্রনেতার নামে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হল। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) বিশ্বভারতী ইউনিটের সদস্য অপূর্ব শরদের নামে বাম সমর্থিত বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী ঐক্য মঞ্চ এই অভিযোগ দায়ের করল।
এর ফলে শান্তিনিকেতন আবারও মুখ্যমন্ত্রীর বোলপুর সফর চলাকালীন এই বিষয়টি ঘিরে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল। বোলপুরের শান্তিনিকেতনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ির নাম “প্রতীচী”। এই বাড়ির একটা অংশ বিশ্বভারতীর, বারবার এমনই দাবি করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই মর্মে বিশ্বভারতীর সম্পত্তি বিভাগের তরফে রাজ্য সরকারকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে। নানা মহল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর এমন অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব।
এরকম পরিস্থিতির মাঝেই ফেসবুকে অমর্ত্য সেনকে নিয়ে অসম্মানজনক পোস্ট করেছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির নেতা অপূর্ব শরদ। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন,” অমর্ত্য সেন দীর্ঘদিন ধরে ইংল্যান্ড, আমেরিকায় বসবাস করেন, সেখানেই পড়ান। ভারতের অর্থনীতির জগতে তাঁর অবদান একেবারে শূন্য।” এরপর তিনি অর্থনীতিবীদ অমর্ত্য সেনকে সমর্থনকারীদের প্রতিও আঙুল তুলেছেন।
জেলা
গরু পাচারের প্রতিবাদে ‘শাস্তি’, দুষ্কৃতীদের হাতে প্রাণ গেল মালদহের কৃষকের!
নিজস্ব প্রতিনিধি : গরু পাচারের প্রতিবাদে করার জন্য স্থানীয় দুষ্কৃতীদের হাতে প্রাণ গেল বছর ৪৮-এর কৃষকের। মালদহের কালিয়াচকের দুইশতবিঘি এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। পরিবারের লোকজন অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন।
গরু পাচারকারী দুষ্কৃতীদের হাতে মৃত কৃষকের নাম শ্যামাচরণ মণ্ডল। স্ত্রী অনিতা ও চার সন্তানকে নিয়ে তাঁর সংসার। পরিবার সূত্রে খবর, বিগত কয়েকবছর ধরে এলাকারই বাসিন্দা গৌরচাঁদ সিংহ, জয়রাম সিংহ, অনুপ সিংহ, অমর সিংহ-সহ বেশ কয়েকজন তাঁদের বাড়ি পাশ দিয়ে কখনও গরু কখনও ফেনসিডিল পাচার করত। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও তারা কোনও কথা শোনেনি।
গত বুধবার রাতেও তাঁদের বাড়ির পাশ দিয়ে এলাকারই দুষ্কৃতীরা গরু পাচার করছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় তাঁদের বাধা দেন সেই কৃষক। বাধা দেওয়ার পরই তাঁর উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। তাঁকে ইট, পাথর, বাঁশ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।
আশেপাশের লোকজন চিৎকার শুনে ছুটে এলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপর আহত অবস্থায় শ্যামচরণকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। সেখানে যেতেই জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শ্যামচরণকে মৃত বলে ঘোষণা করে। রাতেই কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মৃতের পরিবার। পুলিশ এখনও পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছে।