দেশ
কৃষি আইন কোনওভাবেই প্রত্যাহার করা হবে না! সাফ জানালো কেন্দ্র।
নিজস্ব প্রতিনিধি : কেন্দ্রীয় সরকার সপ্তম বৈঠকও করেও কৃষকদের মন ভরাতে পারল না। তবে এত আলোচনা শেষেও বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতে নারাজ কেন্দ্র। আবার নিজেদের অবস্থান থেকেও সরতে নারাজ প্রতিবাদী চাষীরা।কৃষকদের সঙ্গে ফের বৈঠক ডাকা হয়েছে ৮ জানুয়ারি।কৃষক সংগঠনের নেতারা বলেছেন, তাঁরা বৈঠকে যোগ দেবেন কী না, পরে তা জানাবেন।
এদিন দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে কৃষক নেতা ও কেন্দ্রের প্রতিনিধিদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা হয়। কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সোমপ্রকাশ। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকের শেষেও, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য -সহ কোনও বিষয়েই তেমন জট কাটেনি। তবে, বৈঠকের পর কিষান মজদুর সংঘর্ষ কমিটির তরফে সরওয়ান সিং পান্ধের বলেন, “কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জানিয়েছেন, কৃষি আইন কোনওভাবেই প্রত্যাহার করা হবে না। তার জন্য চাইলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন কৃষকরা।”
যদিও কৃষক নেতাদের সাফ কথা, “বিতর্কিত তিনটি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।”ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ টিকাইতের কথায়, ‘আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ফিরব না আমরা।’
তিনটি কৃষি আইন আজকের আলোচনায় প্রত্যাহার না-হলে এই আন্দোলন চলবে, এমনটাই জানিয়ে দিয়েছিল ওই সংগঠন। আর বৈঠকের পর সেই আন্দোলন চলবে তা স্পষ্ট হল।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।