রাজ্য
কুলপিতে দিনমজুরের বাড়িতে প্রচুর বোমা!
নিজস্ব প্রতিনিধি : দক্ষিণ ২৪ পরগনার চামনামুনি গ্রামে পেশায় দিনমজুর এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার ৩৩ টি তাজা বোমা। ওই ব্যক্তির বাড়ি থেকে এই বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধারের পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাতে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওই বাড়ির মালিককে।
ঘটনার পর সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি জানিয়েছেন, গোপনসূত্রে খবর পেয়ে সোমবার গভীর রাতে কুলপিতে অভিযান চালায় পুলিশ। তল্লাশি চালানো হয় বছর পঁয়ত্রিশের ওই দিনমজুরের বাড়িতেও। অভিযুক্তের নাম আলি হোসেন পাইক বলে জানা যাচ্ছে।
ওই বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি চালা কালীন এক ধাতব পাত্রের ভিতরে মেলে ২১ টি তাজা বোমা ও ১২ টি সুতলি বোমা। উদ্ধারের পরেই বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মীরা। গ্রেপ্তার করা হয় আলি হোসেনকে। তাকে মঙ্গলবার ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম আদালতে তোলা হয়। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে সে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য, এই ঘটনায় ধৃত ব্যক্তি জানিয়েছে, কিভাবে তার বাড়িতে বোমাগুলি এল তা তার জানা নেই। সামনে ভোট, তবে কি ভোটের আগে সন্ত্রাস ছড়াতে এই বোমা? নাকি বড়সড় কোন ডাকাতির ছক? তবে কী কারণে এত বোমা মজুত করে ছিল তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি, এ বিষয়ে তদন্ত করছে পুলিশ।
রাজ্য
চিটফান্ড-কাণ্ডে এবার পিসি সরকার জুনিয়রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি!
নিজস্ব প্রতিনিধি : শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হাজির হলেন পিসি সরকার জুনিয়রের মুকুন্দপুরের বাড়িতে। তল্লাশি চালানোর জন্যেই তাদের ওই বাড়িতে যাওয়া। তবে কী কারণে এই তল্লাশি অভিযান, তা অবশ্য সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়নি। মুখে কুলুপ এটেছেন পিসি সরকারের পরিবারের সদস্যরাও।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্তে ৪টি জায়গায় তল্লাশি চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই ৪টি বাড়ির মধ্যে একটি হল জুনিয়র পিসি সরকারের বাড়ি।
একটি রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে জুনিয়র পিসি সরকারের ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির সময় তিনি টাওয়ার গোষ্ঠী থেকে টাকাও নিয়েছিলেন। রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে যে চুক্তি, তার বাইরে অন্য কোনও ভাবে টাকা লেনদেন হয়েছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সিবিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার মুকুন্দপুরের পূর্বালোকের বাড়িতে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। টাওয়ার গ্রুপের সঙ্গে কী ভাবে তার চুক্তি হয়েছিল, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।