জেলা
বর্ধমানের রমনাবাগানে নিজের সন্তানকেই খেয়ে ফেলল মা !
নিজস্ব প্রতিনিধি : নিজের বাচ্চাকেই খেয়ে ফেলল মা! অসম্ভব কোনও কাল্পনিক ঘটনা নয়, এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বর্ধমানের রমনাবাগান অভয় অরণ্যে। সপ্তাহ খানেক আগেই‘রমনাবাগান মিনি জু’- তে এক চিতা শাবকের জন্ম হয়। এই সদ্যোজাত চিতা শাবকটিকে নিয়ে যথেষ্ঠ উচ্ছ্বসিত ছিলেন এই বাগান বা‘মিনি জু’ এর সাথে যুক্ত কর্মচারীরা। কিন্তু এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই এই দুর্ঘটনা। মা চিতাবাঘ নিজেরই সন্তানকে খেয়ে ফেলেছে বলেই জানা যাচ্ছে। অবিশ্বাস্য হলেও এমনি ঘটনার সাক্ষী থাকতে হল শহর বর্ধমানকে।
বর্ধমান বাসীদের কাছে একটি বিশেষ আকর্ষণীয় স্থান এই রমনাবাগান। ছুটির দিনে নিজেদের ছোট ছেলমেয়েদের নিয়ে এই‘মিনি জু’ ঘুরতে যাওয়া যেন এই শহরবাসীদের একটি নিত্য অভ্যেস। ছাত্র ছাত্রীদের কাছেও আকর্ষণের এক কেন্দ্রবিন্দু এই বাগান। বাইরের শহর থেকে কেও বর্ধমানের এলে অন্তত এক বার ঢু মারে এই পার্কে। শহরের ব্যস্ততা ও দূষণ থেকে যেন বহু দূরে চলে যাওয়ার প্রবেশ দ্বার এই রমনাবাগান, যা অনেকের কাছে‘ডিয়ার পার্ক’ নামেও পরচিত।
এই স্থানকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্যোগী হয় বনদপ্তর। পরিকল্পনা নিয়ে গত বছর‘ধ্রুব’ ও‘কালী’ নামে দুটি চিতাবাঘ নিয়ে আসা হয় উত্তরবঙ্গ থেকে। এই চিত্রা যুগলের আগমনে বাগানের আকর্ষণ বৃদ্ধি পায় অনেকটাই। গত কয়েকদিন আগেই‘ধ্রুব’ ও‘কালী’র সন্তান জন্ম হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এই আনন্দ সংবাদ পেয়ে উৎসাহিত হন রমনাবাগানের সাথে যুক্ত সকল কর্মচারী ও বর্ধমানবসীরা। কিন্তু হঠাৎ করেই উধাও হয়ে যায় সেই চিতা শাবক। শোরগোল পড়ে যায় দফতরে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান মেলেনি ছোট্ট প্রাণটির। অবশেষে মা চিতাবাঘের মল পরীক্ষা করে বন দফতর নিশ্চিত হয় নিজের সন্তানকেই খেয়ে ফেলেছে সে।
জেলা
ফেসবুকে অর্মত্য সেনকে নিয়ে অসম্মানজনক পোস্ট! ABVP নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের।
নিজস্ব প্রতিনিধি : ফেসবুকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে নিয়ে অসম্মানজনক পোস্ট করার অভিযোগে বিশ্বভারতীর এক ছাত্রনেতার নামে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হল। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) বিশ্বভারতী ইউনিটের সদস্য অপূর্ব শরদের নামে বাম সমর্থিত বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী ঐক্য মঞ্চ এই অভিযোগ দায়ের করল।
এর ফলে শান্তিনিকেতন আবারও মুখ্যমন্ত্রীর বোলপুর সফর চলাকালীন এই বিষয়টি ঘিরে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল। বোলপুরের শান্তিনিকেতনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ির নাম “প্রতীচী”। এই বাড়ির একটা অংশ বিশ্বভারতীর, বারবার এমনই দাবি করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই মর্মে বিশ্বভারতীর সম্পত্তি বিভাগের তরফে রাজ্য সরকারকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে। নানা মহল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর এমন অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব।
এরকম পরিস্থিতির মাঝেই ফেসবুকে অমর্ত্য সেনকে নিয়ে অসম্মানজনক পোস্ট করেছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির নেতা অপূর্ব শরদ। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন,” অমর্ত্য সেন দীর্ঘদিন ধরে ইংল্যান্ড, আমেরিকায় বসবাস করেন, সেখানেই পড়ান। ভারতের অর্থনীতির জগতে তাঁর অবদান একেবারে শূন্য।” এরপর তিনি অর্থনীতিবীদ অমর্ত্য সেনকে সমর্থনকারীদের প্রতিও আঙুল তুলেছেন।