দেশ
হরিয়ানার ৬০টিরও বেশি গ্রামে বিজেপির প্রবেশ নিষিদ্ধ করল কৃষকেরা!
নিজস্ব প্রতিনিধি : কিছুদিন আগে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। কিন্তু সেই স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর কৃষকদের বিক্ষোভ কমার বদলে এবার আরও তীব্রতর হল। সুপ্রিম কোর্টের নতুন কমিটিতে রাখা হয়েছে অশোক গুলাটি, প্রমোদকুমার যোশী, অনিল ঘানওয়াত এবং ভূপিন্দর মান সিংকে। ঘটনা হলো, এই চারজনই বিভিন্ন সময়ে নয়া কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করেছেন।
কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশ্যে আসার পরেই বৈঠকে বসে নয়াদিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের যৌথ সংগঠন অল ইন্ডিয়া কিষান সংঘর্ষ কো-অর্ডিনেশন কমিটি। সিদ্ধান্ত হয়, সুপ্রিম কোর্ট গঠিত কমিটির সঙ্গে আলোচনা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা হবে না। আন্দোলন যেমন চলছিল, তেমনই চলবে। মূল দাবি, অর্থাৎ তিন কৃষি আইন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা।
দিল্লি সীমান্তে বিক্ষোভরত কৃষকরা বুধবার লোহরি উপলক্ষে বিতর্কিত তিন আইনের প্রতিলিপি পুড়িয়ে প্রতীকী বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।এছাড়া কৃষক সংগঠগুলির নেতারা দাবি করছেন, এক-আধটা নয়, কৃষকেরা এদিন বিতর্কিত কৃষি আইনের লক্ষ লক্ষ প্রতিলিপি পুড়িয়ে দিয়েছেন।
২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর র্যালির প্রস্তুতিও পুরোদমে চলছে। তাদের দাবি, শাসক দলের উপর এই প্রতীকী প্রতিবাদ চাপ আরও বাড়াবে। কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রের শাসক দল তথা বিজেপির জোট শরিকরা এমনিতেই বেশ চাপে রয়েছেন। কৃষক আন্দোলনের তীব্রতা পাঞ্জাব তো বটেই হরিয়ানাতেও বাড়ছে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, হরিয়ানার ৬০টিরও বেশি গ্রামে বিজেপি নেতাদের প্রবেশই করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপি তথা জেজেপি বিধায়ক এবং নেতারা যাতে প্রবেশ করতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে গ্রামের বাইরে রীতিমতো নোটিশ ঝোলানো হয়েছে। স্থানীয় কৃষক সংগঠনগুলি নেতাদের উপর চাপ বাড়াচ্ছে। যা হরিয়ানার জোট সরকারকে রীতিমতো চাপে ফেলে দিয়েছে।
ইতিমধ্যেই একাধিক বিধায়ক সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ চাপে পড়ে গতকালই আসরে নেমেছেন। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বৈঠক করেছেন তিনি।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।