কলমের আঁচড়ে
পৃথিবীর বৃহত্তম জীব, ওজন ৬,৬০০ টন! বেঁচে আছে আজও, তবে আর কতদিন?
বিশ্বজিৎ দাস : বাঙালি বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু গাছের প্রাণ আছে তা প্রমাণ করেছিলেন। আজ সকলের জানা গাছ উত্তেজনায় সাড়া দেয়। গাছ তাদের মূল দিয়ে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ সাধন করে। মানুষের বয়স কোন রকমে ১০০’র কোটা পার করতে পারলে বড়াই করে বলি আমরা পৃথিবীর সব থেকে উন্নত। উন্নত তো আমরা, তবে এখনও আমাদের শেখার সমাপ্তি হয়ে যায়নি। কিছু গাছের থেকে যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকা শেখা আজও আমাদের বাকি রয়েছে। বাকি রয়েছে নিজেদের ক্লোনের মাধ্যমে অমরত্ব লাভ করা।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা’তে বর্তমান একটি গাছের নাম পান্ডো। এটি অ্যাস্পেন প্রজাতির যা এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া পৃথিবীর সব থেকে বেশি দিন বেঁচে থাকা জীবিত জীব। গাছের কাণ্ডের বয়সরেখা থেকে গাছের বয়স নির্ধারণ করা হয়।কিন্তু এর ক্ষেত্রে ব্যাপারটি একটু আলাদা। এই গাছ রয়েছে ক্লোনের মাধ্যমে নিজেদের একটি কলোনির তৈরি করে নেয়। এমনই এক গাছ বা গাছের কলোনি হল ‘পান্ডো’। একই গাছের ক্লোন থেকে এই কলোনি সৃষ্টি, কাজের প্রায় সব গাছগুলির জিনগত গঠন এক। তাই এটিকে একক জীব বলে বিবেচিত করা হয়।
‘পান্ডো’ একটি লাতিন শব্দ যার অর্থ “আমি ছড়িয়ে পড়েছি”। ইউটা’তে পান্ডো গাছটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রায় ৪৩.৬ হেক্টরের অর্থাৎ ১০৮ একরের এক উপনিবেশ তৈরি করেছে, যা রীতিমতো ইতিহাসে নজির স্থাপন করেছে। অ্যাস্পেন প্রজাতির পান্ডো গাছের কাণ্ডগুলি লম্বায় ৫০ থেকে ৮০ ফুট অবধি হয়ে থাকে আর বেড়ে ১ থেকে ২ ফুট। গাছের পাতাগুলি সবুজ হলেও বসন্তের সময় হলুদ বর্ণ ধারণ করে। একটু হাওয়াতেই পাতাগুলি ঝিরি ঝিরি করে কাঁপতে থাকে বলে একে কম্পমান দৈত্য (Trembling Giant) বলা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ইউটা এর ১০০ একর জমিতে বিস্তৃত বেত গাছের এক বিরাট কলোনি হল এই পান্ডো। একই গাছের প্রায় ৪৭,০০০ কাণ্ড (ক্লোন) নিয়ে গঠিত এই পৃথিবীর বৃহত্তম জীব। এর ওজন ৬,৬০০ টন, যা এটি বিশ্বের সবচেয়ে ভারী জীবে পরিণত করে। গাছটির কাণ্ডের গড় বয়স প্রায় ১৩০ বছর বয়স সত্ত্বেও পাণ্ডোর বয়স ইতিমধ্যে প্রায় ৮০,০০০ বছরের গণ্ডি ছাড়িয়ে চলেগেছে।
পান্ডো গাছ মাটির উপরে নতুন নতুন কান্ড ছড়িয়ে দিয়ে তার বিশাল উপনিবেশ বানালেও মাটির নিচে তার মূল থাকে একই। শুধু উপরে নেটওয়ার্কের মতো কাণ্ডের জাল ছড়িয়ে পড়লেও গাছটির জেনেটিক সিকোয়েন্স একইরকম। এই কান্ড নতুন হলেও মূল যেহেতু অপরিবর্তিত থাকে তাই এর বয়স নির্ধারণ করা হয় মূলের মাধ্যমে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা এই গাছের মূলের বয়স অন্তত ৮০ হাজার বছর। পান্ডোর কান্ড ১০০ থেকে ১৩০ বছর বাঁচে এবং সেই কাণ্ডের মৃত্যুর পর একই জায়গাতেই আবার নতুন কান্ডের জন্ম হয়। ৮০ হাজার বছর ধরে দক্ষিণ-মধ্য ইউটা’র ফিসলেক ন্যাশনাল পার্কে পুরো এলাকা জুড়ে পান্ডোর একটি গাছেরই এক উপবন রয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এত কাল ধরে ‘পান্ডো’কে সময় বা প্রকৃতি কোনটাই টলাতে পারেনি। তবে একে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে মানব সভ্যতা। পৃথিবীব্যাপী উষ্ণতা ও দূষণ তো আছেই, সাথে মানুষ সেই অঞ্চলে খচ্চর হরিণ নিয়ে আসে যা পাণ্ডোর অস্বিত্ব বিপন্ন করে তুলেছে। ২০০০ সালে করা এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, এই সব কারণেই গত ৩০-৪০ বছরে পান্ডো আকারে তেমন বেড়ে ওঠেনি।
গুটিকয়েক মানুষের সেচ্ছাচারিতায় শুধু জীবজন্তুই নয় সমগ্র পৃথিবী এক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। আমরা ‘মানুষ’ হয়ে এইধরনের ভুল কাজ করলে অর্থাৎ না শোধরালে পৃথিবী তার কড়া শাসনে আমাদের শুধরাতে জানে। সেই শুধরানো যে আমাদের পক্ষে খুব একটা সুখকর হবে না তা এই করোনা মহামারীর আবহে প্রতিটা মানুষ প্রতিমুহূর্তে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।
কলমের আঁচড়ে
পৃথিবীর বুকে মেনে চলা কিছু বিস্ময়কর এবং ভয়ঙ্কর সত্কার-রীতি!
বিশ্বজিৎ দাস : কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বলে গেছেন “জন্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে?” অর্থাৎ জন্মগ্রহণ করলে আমাদের মৃত্যু অনিবার্য। মানুষের মৃত্যুর পর সৎকার করা হয়। সভ্যতার প্রথম দিক থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে। এই সৎকারের সময় টা খুবই কঠিন, বিশেষত নিকটজনের কাছে। সে সব আঁকড়ে থাকে, কারণ একবার ছেড়ে দিলে আর পাওয়া যাবে না। এই ভাবাবেগ থেকেই স্মৃতি রক্ষার ভাবনা শুরু। মৃতের ব্যবহৃত জিনিস রেখে দেওয়া, যেমন চুল কিছুটা কেটে যত্ন করে রেখে দেওয়া ছিল পুরনো প্রথা। অনেকে দাঁত সংরক্ষন করত। বুদ্ধের দাঁত কলকাতার জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে আজও।
কিন্তু পৃথিবীর প্রত্যেক জাতির মধ্যেই মৃত্যুর পর কিছু বিশেষ নিয়ম পালন করার রীতি আছে। কিছু নিয়ম বিজ্ঞানসম্মত আবার কিছু একেবারে অদ্ভুত। মৃতদেহ সত্কারের জন্য কেউ যেখানে মৃতদেহটি পুড়িয়ে ফেলেন, আবার কেউ বা মাটিতে কবর দেন। আবার কেউ বা সযত্নে সেটিকে কফিনজাত করেন। কিন্তু এসবের বাইরেও এমন অনেক রীতিনীতি আছে যেগুলি আমার আপনার স্বাভাবিক ভাবনা চিন্তার বাইরে।
সাধারণ মানুষের কাছে মৃত ব্যক্তিকে মাটিতে কবর দিয়ে রাখা বা আগ্নিদাহ করা পরিবেশগত কারণে মোটামুটি স্বাভাবিক মনে হলেও কিছু কিছু সংস্কৃতিতে মৃত ব্যক্তি সমাহিত করার পদ্ধতি অবাক করার মতো।
পৃথিবী জুড়ে চলা এই আশ্চর্য ও কিছুটা ভয়ঙ্কর মৃত্যু অনুষ্ঠান গুলি হল :
১. মমিফিকেশন :
এই ঘটনা আমার আপনার কিছুটা জানা। প্রাচীন মিশরের ফারাওদের মরদেহ মমি করে সমাহিত করা হতো। এই পদ্ধতিতে প্রথমে দেহের অভ্যন্তরীণ সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বের করা হয়। এরপরে দেহের সব আর্দ্রতা অপসারিত করা হয়। শেষে লম্বা আকৃতির লিনেন কাপড় দিয়ে দেহ মুড়ে ফেলা হয়।
তবে আধুনিক মমিফিকেশন পদ্ধতি আলাদা।বর্তমানে মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য কিছু রাসায়নিক তরল ভর্তি পাত্রে দেহ ডুবিয়ে রাখা হয়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এটি মৃতদেহ সৎকারের কোনো রীতি নয়; এটি মৃতদেহ সংরক্ষণ পদ্ধতি।
২. মৃতের পুনর্জাগরণ :
এই অদ্ভুত প্রথাটি পালন করা হয় মাদাগাস্কায়। প্রতি পাঁচ থেকে সাত বছর পর পর। তার নিকটাত্মীয়রা কবর খুঁড়ে মৃত ব্যক্তির দেহাবশেষ বের করে আনে। এরপর মৃত ব্যক্তিকে নতুন পোশাক পরানো হয় এবং পারিবারিক ভোজে তাকে বসিয়ে রাখা হয়।এদিন মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে গানের তালে তালে নাচতেও দেখা যায়। পারিবারিক পুনর্মিলন হিসেবে প্রথাটিকে দেখা হয়।
৩. এন্ডোক্যানিবালিজম (Endocannibalism) :
এই বিশেষ মৃত্যু অনুষ্ঠানটি দেখতে পাওয়া যায় আমাজন রেইন ফরেস্টের ইয়ানোমমি উপজাতি, পাপুয়া নিউ গিনির মেলানসিয়ানস উপজাতি এবং ব্রাজিলের ওয়ারীরা উপজাতির মধ্যে।এখানে একটি মৃতদেহকে বা দেহাংশকে ভক্ষণ করা হয়। তাদের বিশ্বাস এই প্রথার মধ্যে দিয়ে মৃত ব্যাক্তির আত্মা স্বর্গে যাবে।
এই জাতির মানুষেরা বিশ্বাস করেন, মৃত্যু কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। উপরন্তু তারা ভাবেন যে, তাদের প্রতিদ্বন্দী গোষ্ঠী কোনো অশুভ আত্মাকে প্রেরণ করেছে। সেই কারণে এই ঘটনা রোধ করার জন্য তারা এই অনুষ্ঠানটি করে থাকেন। যাতে মৃত ব্যাক্তির আত্মা জীবিত থাকে এবং তার পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করতে পারে।
এই অনুষ্ঠানটি করার জন্য প্রথমে তারা মৃতদেহটিকে পাতা দিয়ে মুড়ে বাড়ি (যেখানে তিনি মারা গেছেন) থেকে অল্প দূরে জঙ্গলে রেখে আসেন। এর পর মোটামুটি ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মাথায় সেই পঁচাগলে যাওয়া মৃতদেহ থেকে হাড় সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। এরপর কলা দিয়ে বানানো একধরণের সুপের মধ্যে মৃতদেহের ছাই মিশিয়ে গোষ্ঠীর সকলে সেটি পান করে। তবে এই নিয়ম শুধুমাত্র গোষ্ঠীর শিশু ও মহিলারা পালন করেন।
৪. তিব্বত বৌদ্ধ মহিমা কবর/ তিব্বতের আকাশ সৎকার (Tibetan Buddhist Celestial Burials or Sky burial) :
এই সৎকার অনুষ্ঠানটি তিব্বতি ঐতিহ্যের প্রতীক। এই অনুষ্ঠানে মৃতদেহকে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে পাহাড়ের মাথায় রেখে আসা হয় এবং পাখিদের (বিশেষত শিকারী পাখিদের) ওই দেহাংশ ভক্ষণ করতে দেওয়া হয়। অনেক সময় অক্ষত মৃতদেহও রেখে দেওয়া হয় এই পাখিদের খাদ্য হওয়ার জন্য।
বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে মৃতদেহকে খালি জাহাজ মনে করা হয় যা সংরক্ষনের কোনো দরকার নেই।মূলত, তিব্বতের কঠিন জলবায়ু ও পাথরে ভরা জমিতে কবর দেওয়া এক পক্ষে অসম্ভব।৫. সাসপেন্ড কবরস্থান (Suspended Burials) : এই সৎকার অনুষ্ঠানটি প্রাচীন চীন বংশের মধ্যে দেখা যায়। এখানে তারা মৃতদেহকে কফিনে পুড়ে উঁচু পাহাড়ের গায়ে অবস্থিত শিলার উপর ঝুলিয়ে রেখে দেয়। সাধারণের বিশ্বাস, মৃতদেহকে আকাশের কাছাকাছি রাখা উচিত যাতে তারা বন্য প্রাণীদের নাগালের বাইরে এবং ভগবানের নাগালের মধ্যে বা কাছাকাছি থাকতে পারে।
৫. সতী :
উপযুক্ত কারণেই হিন্দু ধর্মে সতীদাহ প্রথার প্রচলন বর্তমানে নিষিদ্ধ। তবুও একটা সময়ে এই নিষ্ঠুর ও অমানবিক সৎকার হিন্দু ধর্মের এক সনাতনী ঐতিহ্য হিসাবেই মানা হত। এই রীতি অনুযায়ী, মৃত ব্যাক্তির স্ত্রী কে বধূবেশে সাজিয়ে একই চিতায় মৃত্যু বরণ করতে হত। সেই সময় দাবি করা হত, সতীদাহ প্রথার মাধ্যমে মৃত স্ত্রী সতিরূপে স্বর্গলাভ করবে।
৬. ভাইকিং ফিউনারেল (The Viking Funeral) :
এটি একটি অন্যতম নৃশংস সৎকার অনুষ্ঠান। এই রীতি অনুযায়ী মৃতদেহকে একটি অস্থায়ী কবরে দশ দিনের জন্য রাখা হত। পাশাপাশি চলত মৃতের জন্য নতুন জামাকাপড় তৈরির কাজ। অন্যদিকে একজন ক্রীতদাসীকে বেছে নেওয়া হত, যে ওই মৃত মানুষটির পরবর্তী জীবনের সঙ্গিনী হবে। এরপর সেই মেয়েটি ওই গ্রামের সকলের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতো। তাদের মতে এই বর্বরতায় নাকি ছিল মৃতব্যাক্তির প্রতি প্রেম নিবেদন। তারপর ওই দাসীর গলায় ফাঁস দিয়ে এবং সবশেষে ছুরি মেরে হত্যা করা হতো।
এরপর একটি কাঠের জাহাজে মৃত ব্যাক্তির সাথে তাকেও রেখে দিয়ে অগ্নি সংযোগ করা হত।
৭. আঙুলের আবৃততা (Ritual Finger Amputation) :
এই মৃতদেহ সৎকারের নিয়মটি পাপুয়া নিউ গিনির দানি জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রচলিত।
এই নিয়ম অনুযায়ী বাড়ির কোনো প্রিয় ব্যক্তি মারা গেলে তার সঙ্গে সম্বন্ধিত মহিলা ও শিশুরা তাদের আঙুলের কিছু অংশ কেটে ফেলত। এরপর কাদা ও ছাই মুখে মেখে মৃতব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশ করত।
৮. টোটেম পোলস (Mortuary Totem Poles) :
স্থানীয় সভ্যতার বিভিন্ন গল্প তুলে ধরার জন্য টোটেম পোল তৈরি করা হয়। হায়দা উপজাতির মধ্যে এই রীতি দেখতে পাওয়া যায়। এই রীতি অনুযায়ী মৃতব্যাক্তির শরীরকে পেটানো হবে যতক্ষন না এটি একটি ছোট বাক্সে এঁটে যায়।এরপর এই বাক্সটি একটি টোটেম পোল এর উপর রেখে মৃত ব্যাক্তির বাড়ির সামনে রেখে আসা হয়।
৯. বারিড ইন ফ্যান্টাসি কফিন (Buried in a fantasy Coffin) :
এই রীতি অনুযায়ী মৃতদেহকে এমন একটি কফিনে রাখা হয় যেটি তার জীবনকে অথবা পেশাকে উপস্থাপনা করে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো বিমান চালক কে বিমানরূপী কফিনে, কোনো জেলেকে মাছরূপী কফিনে আবার কোনো ধনী ব্যাবসায়ীকে একটি দামি গাড়ীরূপী কফিনে রাখা হয়।
১০. অন্ধ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া (Blindfolded funeral) :
এই মৃতদেহ সৎকারের রীতি অনুযায়ী মৃতদেহের চোখ বেঁধে তাকে বাড়ির মুখ্য দরজার সামনে রেখে দেওয়া হয়। এটি দেখা যায় উত্তর পশ্চিম ফিলিপিনেসে।
এছাড়াও সারা পৃথিবী জুড়ে আরও নানান ধরনের অদ্ভুত এবং ভয়ংকর সৎকার অনুষ্ঠান দেখতে পাওয়া যায়।