তিলোত্তমা
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিগ্রহের শিকার অধ্যাপিকা।
নিজস্ব প্রতিনিধি : অধ্যাপিকাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠলো ছাত্রীর বিরুদ্ধে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপিকা মেরুনা মুর্মুকে নেট-নিগ্রহের শিকার হতে হয়। বেথুন কলেজের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় মেরুনা দেবীকে তাঁর জাত নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। বেথুন কলেজের বাংলা বিভাগীয় প্রধান এই ঘটনার নিন্দা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে সেই ছাত্রী এবং আরও কয়েকজন তাঁকেও অপমান করেন, এবং পরে তিনি সেই পোস্ট তুলে নিতে বাধ্য হন।
বেথুন কলেজের অধ্যক্ষা কৃষ্ণা রায় জানিয়েছেন, তিনি শিক্ষিকার পাশে আছেন এবং এই ঘটনা যাতে পরবর্তীকালে আর না ঘটে সেই বিষয়ে তিনি উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন ABUTA সাধারণ সম্পাদক গৌতম মাইতি বলেছেন,“প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে সমাজের ঘৃণ্য ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছে ABUTA(All Bengal University Teachers’ Association)। এই লড়াইয়ে মেরুনার প্রতি সংহতিও জানাচ্ছেতারা।”
একবছর আগে বিকল্প হিসাবে মানব ধর্মকে ফর্মে অন্তর্ভুক্ত করে নজির গড়েছিল এই বেথুন কলেজ। সেই কলেজেরই ছাত্রীর থেকে এ হেন আচরণ সত্যিই নিন্দনীয়। খাতায় কলমে অনেক ডিগ্রিধারী হলেও বইয়ের নীতিগত শিক্ষাকে এখনও আমরা জীবনের মূলস্রোতের সঙ্গে মেশাতে পারিনি। মানবতা আজও তথাকথিত জাত-ধর্মের ভিড়ে চাপা পড়ে আছে। তবে আশা করা যায়, এই ঘটনার যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে আমাদেরনতুন প্রজন্মের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ শোনা যাবে না।
তিলোত্তমা
পোষ্যদের রক্তের তথ্য ব্যাংক তৈরি হল কলকাতায়।
নিজস্ব প্রতিনিধি : মানুষের মতো পশুরাও প্রাণী, তাদেরও বিপদ হয়, রোগ হয়, দরকার পড়ে চিকিৎসার। তবে পোষ্যদের চিকিৎসা করতে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। তার মধ্যে জরুরি ক্ষেত্রে রক্তের অভাবের সমস্যা হয়। এবার সেই সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হল কলকাতায়।
বিএই ১.১, বিএই ১.৭, বিএই ২.২, এগুলো সবই রক্তের গ্রুপ। এগুলি সারমেয়দের রক্তের গ্রুপ। তাদের শরীরে মিলেছে এমনই তেরোটি গ্রুপের রক্ত। আর এই রক্তের গ্রুপের জন্যই ডেটা ব্যাংক তৈরি হল কলকাতায়। মঙ্গলবার থেকেই এই তথ্য ব্যাংকের কাজ শুরু হয়েছে। এই অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার অনিল রায় রোডের একটি বেসরকারি পশু হাসপাতাল।
সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, “পোষ্যরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে বা অন্য কোনও কারণে “ব্লাড লস” হতে পারে, সেক্ষেত্রে ঘাটতি মেটাতে মানুষের মতোই রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু কুকুরদের ক্ষেত্রে রক্তের গ্রুপ বেশি হওয়ায় চটজলদি সঠিক গ্রুপের রক্ত খুঁজে পাওয়া কঠিন। রক্তের তথ্য ব্যংক হাতে থাকলে রক্তদাতার জন্য আর ছোটাছুটি করতে হবে না। পোষ্যের মালিককে ফোন করলেই সমাধান মিলবে। সেই চিন্তাভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, পোষ্যদের ক্ষেত্রে মান্ধাতার আমলের পদ্ধতি অবলম্বন করা হতো। অর্থাৎ দাতা ও গ্রহীতার রক্তের দু ফোঁটা স্লাইডে নিয়ে সেগুলো মিশিয়ে দেখা হতো জমাট বাঁধছে কি না। এই ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর’ পদ্ধতি সময় সাপেক্ষ।