রাজ্য
আগামী বুধবার থেকে লোকাল ট্রেন চালু। পুরোদমে চলছে স্যানিটাইজেশন।
নিজস্ব প্রতিনিধি : রেল কর্তৃপক্ষ আগামী বুধবার থেকে লোকাল ট্রেন চালাতে জোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। লোকাল ট্রেনের কামরা গুলি হাওড়া ও শিয়ালদহের কারশেডে স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু হয়েেে গিয়েছে ইতিমধ্যে।
রেল সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ ট্রেন। রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে রবিবার পর্যন্ত যাত্রীদের জন্য গাইডলাইনের বিশদ কিছু জানায়নি। তবে এ দিন শুধু একটি আসন ফাঁকা রেখে বসার আর্জি জানানো হয়েছে যাত্রীদের।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে রেল কর্তৃপক্ষ, রাজ্য প্রশাসন-সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কয়েক দফা বৈঠকের পর লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। ঠিক হয়, বুধবার থেকে রাজ্যে করোনাকালের আগের তুলনায় ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ লোকাল ট্রেন হাওড়া, শিয়ালদহ ও খড়গপুর শাখায় চালানো হবে। রেল কর্তৃপক্ষ এবার সেই অনুযায়ী মাঠে নামার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
ট্রেন চললেও কয়েকটা জিনিস ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। ট্রেন চালু হলেও স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিওর বা এসওপি কী হবে, সে বিষয়ে এখনও রেল কর্তৃপক্ষ বিশেষ কিছু জানায়নি। সূত্রের খবর, রাজ্য ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে টিকিট যে কাউন্টার থেকেই মিলবে, সে বিষয়টি আগেই জানিয়েছিল রেল।
রবিবার তার সঙ্গে জানানো হল, মেট্রোর মতোই একটি আসন ছেড়ে বসতে হবে যাত্রীদের। তার জন্য ট্রেনের নির্দিষ্ট আসনগুলিতে ‘ক্রস’ চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যাত্রীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, সঙ্গে রাখতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
রাজ্য
চিটফান্ড-কাণ্ডে এবার পিসি সরকার জুনিয়রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি!
নিজস্ব প্রতিনিধি : শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হাজির হলেন পিসি সরকার জুনিয়রের মুকুন্দপুরের বাড়িতে। তল্লাশি চালানোর জন্যেই তাদের ওই বাড়িতে যাওয়া। তবে কী কারণে এই তল্লাশি অভিযান, তা অবশ্য সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়নি। মুখে কুলুপ এটেছেন পিসি সরকারের পরিবারের সদস্যরাও।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্তে ৪টি জায়গায় তল্লাশি চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই ৪টি বাড়ির মধ্যে একটি হল জুনিয়র পিসি সরকারের বাড়ি।
একটি রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে জুনিয়র পিসি সরকারের ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির সময় তিনি টাওয়ার গোষ্ঠী থেকে টাকাও নিয়েছিলেন। রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে যে চুক্তি, তার বাইরে অন্য কোনও ভাবে টাকা লেনদেন হয়েছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সিবিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার মুকুন্দপুরের পূর্বালোকের বাড়িতে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। টাওয়ার গ্রুপের সঙ্গে কী ভাবে তার চুক্তি হয়েছিল, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।