রাজ্য
বাড়িতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন, করোনায় মৃত ব্যক্তি শ্রাদ্ধের আগে ফিরলেন বাড়ি!
নিজস্ব প্রতিনিধি : হ্যাঁ এমনি ঘটনা ঘটলো আমাদের রাজ্যে, খাতায়-কলমে মৃত করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি। কিন্তু শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আগে ফিরলেন গৃহে। গত ১৩ নভেম্বর পরিবার জানতে পারেন করোনার জেরে মারা গিয়েছেন পরিবারের প্রধান। করোনার কারণে গত হওয়ায় দেহের সৎকার করা হয় হাসপাতালের তরফ থেকে।
শনিবার মৃতের শ্রাদ্ধ। কিন্তু গত শুক্রবার গভীর রাতে গোটা পরিবারের চক্ষু চড়কগাছ। অ্যাম্বুলেন্সে চেপে বাড়ি এলেন ‘করোনা জয়ী’ শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক শোরগোল গোটা এলাকাজুড়ে।
এই ঘটনায় খড়দার কোভিড হাসপাতালের কর্মীদের গাফিলতিকেই দায়ী করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। তাদের দাবি, কোভিড হাসপাতালের নথিতে অদলবদলের জেরে এই বিপত্তি। এ বিষয়ের তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত গত ৩ নভেম্বর। খড়দার বাসিন্দা মোহিনীমোহন মুখোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বলরাম বসু সেবামন্দির কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হন। এদিকে একই দিনে বিরাটির বাসিন্দা শিবদাস বাবুও ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। রাতে ২ জনকেই রেফার করা হয় বারাসাতের কোভিড হাসপাতালে।
হাসপাতালের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, মোহিনীমোহন বাবুর অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় শেষপর্যন্ত বারাসাতে স্থানান্তরিত করা হয় তাকে। তখনই অসাবধানতাবশত তার সঙ্গে চলে যায় শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভর্তি সংক্রান্ত নথি। শিবদাস পরিচয়ে বারাসাতের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহিনীমোহন। সেই অনুযায়ী, ১৩ নভেম্বর তাঁর মৃত্যুসংবাদ পায় শিবদাসের পরিবার। দেহ সৎকারও হয়ে যায়। অন্যদিকে, গতকাল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান করোনা মুক্ত ‘আসল’ শিবদাস।
রাজ্য
চিটফান্ড-কাণ্ডে এবার পিসি সরকার জুনিয়রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি!
নিজস্ব প্রতিনিধি : শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হাজির হলেন পিসি সরকার জুনিয়রের মুকুন্দপুরের বাড়িতে। তল্লাশি চালানোর জন্যেই তাদের ওই বাড়িতে যাওয়া। তবে কী কারণে এই তল্লাশি অভিযান, তা অবশ্য সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়নি। মুখে কুলুপ এটেছেন পিসি সরকারের পরিবারের সদস্যরাও।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্তে ৪টি জায়গায় তল্লাশি চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই ৪টি বাড়ির মধ্যে একটি হল জুনিয়র পিসি সরকারের বাড়ি।
একটি রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে জুনিয়র পিসি সরকারের ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির সময় তিনি টাওয়ার গোষ্ঠী থেকে টাকাও নিয়েছিলেন। রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে যে চুক্তি, তার বাইরে অন্য কোনও ভাবে টাকা লেনদেন হয়েছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সিবিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার মুকুন্দপুরের পূর্বালোকের বাড়িতে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। টাওয়ার গ্রুপের সঙ্গে কী ভাবে তার চুক্তি হয়েছিল, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।