দেশ
বিনা অনুমতিতে হোটেল পরিবর্তনের পরিকল্পনা, সনু সুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিনিধি : কোভিড ১৯ এর ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে হতাশা, দারিদ্রতাই যেখানে বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল , সেখানে বেশ কিছু সহযোগিতার হাত এগিয়ে আসতে কিন্তু পিছু পা হয়নি। অভিনেতা সোনু সুদ তাদের মধ্যেই একজন। ২০২০ র এই সংকটময় পরিস্থিতি উপেক্ষা করে হাজারো অভিবাসী শ্রমিকদের আশার আলো দেখিয়েছেন। তাদের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছেন সাথে বিভিন্ন যানবাহনে তাদের বাড়ি পৌঁছে দিতেও দ্বিধা বোধ করেননি।
দেবতা রূপে দীনহীন মানুষদের কাছে ২০২০ সালে অভিনেতার সুআগমন, খ্যাতি নিমেষের মধ্যে চুরমার করে দিতে ২০২১ এর আগমন। সম্প্রতি বৃহনমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন এর অভিযোগ থেকে জানা গেছে যে তিনি একটি আবাসিক বাসভবন বিনা অনুমতিতে হোটেলে পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করছেন।
সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানা গেছে যে, স্বয়ং সোনু সুদ তার ওপর আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মহারাষ্ট্রে কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (M CZMA) এর থেকে যথাযথ অনুমতি সোনু সুদ নিয়েছেন সাথে তাদের ছাড়পত্র আসার অপেক্ষায় তিনি আছেন।
পুলিশি অভিযোগ আসার পর টাইমস্ অফ্ ইন্ডিয়ার একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা সোনু সুদ জানান যে, “কোভিড ১৯ চলকালিন এখনো পর্যন্ত লিখিত অনুমতি আমার কাছে আসে নি। দেশের আইন কানুন কে সর্বদা আমি মেনে চলেছি, আজও চলবো। করোনার ভয়াবহতা চলাকালীন কোভিড জয়ী বহু জনতার আশ্রয় ছিল এই জায়গাটি। অনুমতি যদি আমায় না দেওয়া হয় তাহলে আমি এখান থেকে পিছনে সরে যাবো”।
এএনআই অনুযায়ী, “মহারাষ্ট্র বৃহানমুম্বাই মিউনিসিপ্যাল করপরেশন (BMC) অভিনেতা সোনু সুদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযোগ উঠিয়েছেন যে তিনি জুহু তে থাকা একটি ছয় – তলা আবাসিক বাসভবন বি এম সির অনুমতি ছাড়াই হোটেলে পরিবর্তন করার আর্জি জানিয়েছেন”।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।