শিক্ষা
ট্যাব কিনতে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজারের পরিবর্তে ২০ হাজার টাকা!
নিজস্ব প্রতিনিধি : রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ। তার ফলে সশরীরে ক্লাস করা কার্যত সম্ভব নয়। এই সময়ে পড়ুয়াদের অনলাইন ক্লাসই ভরসা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পড়াশোনার সুবিধার জন্য দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
তবে এই পরিস্থিতে এত বিপুল সংখ্যক ট্যাবের অর্ডার কোন ঠিকাদার নিতে না চাওয়ায় দিনকয়েক পরে ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে দেওয়ার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি স্কুলে ঘটল বিপত্তি। পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজারের পরিবর্তে ২০ হাজার টাকা ঢুকল।
কীভাবে এমন কাণ্ড ঘটল তা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। গত ২১ জানুয়ারির দিন কেশপুরের ধলহারা পাগলীমাতা উচ্চবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ভোকেশনাল বিভাগের ২৪ জনের অ্যাকাউন্টে পরপর দু’বার ১০ হাজার অর্থাৎ মোট কুড়ি হাজার টাকা ঢোকে।
এই আশ্চর্যকর ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের সাফায়ে জানিয়েছে, স্কুলের ই-মেল আইডিতে ভুল বানান টাইপ করা হয়ে গিয়েছিল। সেভাবেই তালিকা আপলোড করে ই-মেল ড্রাফট করা হয়। তবে সফটওয়্যারের কোনওরকম সমস্যায় ড্রাফটে থাকা ইমেইলের ওই তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে যায়।
তাদের দাবি, তালিকা সংশোধন করে পরে সঠিক তালিকাও আপলোড করা হয়। তবে ততক্ষণে দু’টি তালিকা অনুযায়ী পরপর দু’বার ১০ হাজার টাকা পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাপে পড়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই স্কুলের প্রধানশিক্ষক সমস্ত পড়ুয়াদের অনুরোধ জানিয়েছেন অতিরিক্ত ১০,০০০ টাকা ফিরিয়ে দিতে।
শিক্ষা
ICSE দশম ও ISC দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার দিন ঘোষণা করলো বোর্ড।
নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা পরিস্থিতির জন্য প্রায় একবছর বন্ধ বিদ্যালয়, তবে একে বারে বন্ধ হয়ে যায়নি পঠন পাঠন। ভার্চুয়াল ভাবেই চলছিল শিক্ষার আদান-প্রদান। এবার পরীক্ষা নেওয়ার পালা। কিন্তু বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন থাকায় কবে কিভাবে পরীক্ষা নেওয়া হবে তা নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। গত সপ্তাহে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ায় সেই জট কেটেছে। কাজেই আর দেরি না করে প্রকাশ করা হল বোর্ডের পরীক্ষার সূচি।
গত সোমবার সন্ধ্যায় আইসিএসই বোর্ড কর্তৃপক্ষ আগামী পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। ভার্চুয়াল মাধ্যমে না বরং লিখিত মাধ্যমেই হবে এই পরীক্ষা গুলি। মে মাসের ৫ তারিখেই শুরু হচ্ছে দশম শ্রেণির লিখিত পরীক্ষা, চলবে জুন মাসের ৭ তারিখ পর্যন্ত। অন্য দিকে আইএসসি, অর্থাৎ দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ৮ এপ্রিল, পরীক্ষা শেষ হচ্ছে ১৬ জুন।
দ্বাদশ শ্রেণির প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষার মধ্যে কম্পিউটার সায়েন্স পেপার-২ প্র্যাক্টিক্যাল প্ল্যানিং সেশন হবে ৮ এপ্রিল, হোম সায়েন্স পেপার-২ প্র্যাক্টিক্যাল প্ল্যানিং সেশন এবং ইন্ডিয়ান মিউজ়িক কর্নাটকি পেপার-২ প্র্যাক্টিক্যাল হবে ৯ এপ্রিল। বাকি প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষা গুলোর ক্ষেত্রে বিদ্যালয় গুলিকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে মে মাসের ৩১ তারিখের মধ্যে নিজেদের সুবিধামতো সেই সমস্ত পরীক্ষা নিতে পারবে স্কুলগুলি। পরীক্ষার বিস্তারিত সূচি জানা যাবে বোর্ডের ওয়েবসাইটে (www.cisce.org)।
আইসিএসই বোর্ডের সচিব জেরি অ্যারাথুন জানিয়েছিলেন, এ বার পরীক্ষা হবে কোভিড-বিধি মেনে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে মাস্ক ও নিজস্ব স্যানিটাইজ়ার সঙ্গে আনতে হবে। তবে পরীক্ষার্থীরা দস্তানা পড়বেন কি না সেই বিষয়ে কোন নির্দিষ্ট বিধি জানায়নি বোর্ড। এ বিষয়ে ছাত্র ছাত্রীদের স্বাধীনতা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সঙ্গে রাখতে হবে জলের বোতলও। এই সমস্ত নিয়ম ছাড়াও আরও বেশকিছু বিধি ঘোষণা করেছে বোর্ড। এবার বন্ধু বান্ধবী মিলে আর টিফিন ভাগ করে খাওয়া যাবে না। পরীক্ষার সরঞ্জাম তথা পেন, স্কেল প্রভৃতি নেওয়া যাবে না অন্যের কাছ থেকে। মূলত করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়িয়ে যেতেই ব্যবস্থা।
দশম শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১১টা থেকে। প্রশ্ন পত্র দেওয়া হবে ১০টা ৪৫ মিনিটে। উত্তর লেখা শুরু করতে হবে ১১টা থেকে। অন্য দিকে, দ্বাদশ শ্রেণির লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ২টো থেকে। পরীক্ষা শুরুর ১৫ মিনিট আগে অর্থাৎ ১টা ৪৫ মিনিটে দিয়ে দেওয়া হবে প্রশ্নপত্র। লেখা শুরু করা যাবে দুপুর ২টোয়।