রাজ্য
ট্যাব কেনার টাকা একাউন্টে ঢুকতেই ডিজে বাজিয়ে নাচ রামগঞ্জের পড়ুয়াদের।
নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনার ফলে গত বছরের মার্চ মাস থেকে স্কুল-কলেজ বন্ধ। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণে আশঙ্কার কারণে এখনও স্কুল-কলেজ বন্ধ আছে। যেহেতু ছাত্র ছাত্রীরা এখন স্কুলে যেতে পারছে না, তাই অনলাইনে সমস্ত ক্লাস করতে হচ্ছে। কিন্তু অনলাইনে ক্লাস না করতে পারা পড়ুয়াদের সংখ্যা বেশি। সবাই যাতে অনলাইনে ক্লাস করতে পারে সেজন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা দিয়েছেন।
এবার ট্যাব কেনার জন্য অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢুকতেই আনন্দে মেতে উঠল ছাত্ররা। তারা ডিজে বাজিয়ে নাচতে নাচতে এলাকা ঘুরে মুখ্যমন্ত্রীর নামে জয়ধ্বনি দিল ।
উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের প্রত্যন্ত এলাকা রামগঞ্জে শুক্রবার সন্ধ্যায় এমনই ছবি দেখা গিয়েছে। টাকা পাওয়ার আনন্দে রামগঞ্জ হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা আওয়াজ তুলেছে, ‘‘রাজ্যে দিদি আরও এক বার।’’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি যাতে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনের মাধ্যমে নিতে পারে, সে জন্য রাজ্যের সমস্ত স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার জন্য টাকা পাঠানো শুরু হয়েছে।
রাজ্য
চিটফান্ড-কাণ্ডে এবার পিসি সরকার জুনিয়রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি!
নিজস্ব প্রতিনিধি : শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হাজির হলেন পিসি সরকার জুনিয়রের মুকুন্দপুরের বাড়িতে। তল্লাশি চালানোর জন্যেই তাদের ওই বাড়িতে যাওয়া। তবে কী কারণে এই তল্লাশি অভিযান, তা অবশ্য সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়নি। মুখে কুলুপ এটেছেন পিসি সরকারের পরিবারের সদস্যরাও।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্তে ৪টি জায়গায় তল্লাশি চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই ৪টি বাড়ির মধ্যে একটি হল জুনিয়র পিসি সরকারের বাড়ি।
একটি রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে জুনিয়র পিসি সরকারের ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির সময় তিনি টাওয়ার গোষ্ঠী থেকে টাকাও নিয়েছিলেন। রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে যে চুক্তি, তার বাইরে অন্য কোনও ভাবে টাকা লেনদেন হয়েছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সিবিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার মুকুন্দপুরের পূর্বালোকের বাড়িতে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। টাওয়ার গ্রুপের সঙ্গে কী ভাবে তার চুক্তি হয়েছিল, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।