ক্রীড়া প্রাঙ্গণ
আইপিএল এর ফাইনালে দিল্লি ক্যাপিটাল
নিজস্ব প্রতিনিধি : অবশেষ এ আইপিএল ২০২০ এর ফাইনাল এ পৌঁছালো দিল্লি ক্যাপিটাল। কোয়ালিফায়ার ১ এ মুম্বাই এর কাছে হেরে এলিমিনটর এর থেকে জিতে আসা হায়দ্রাবাদ এর সাথে খেলা হয় দিল্লির। এর আগে কয়েকবার প্লে অফ এ কোয়ালিফাই করলেও আইপিএল জেতা হয়নি তাদের।
অন্যদিকে হায়দ্রাবাদ আর সি বিকে হারিয়ে কিছুটা আত্মবিশ্বাসী হয়েই এই কোয়ালিফায়ার পৌঁছেছিল।আবুধাবিতে টস এ জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন দেল্লির ক্যাপ্টেন শ্রিয়াস আইয়ার। বিগত বেশ কিছু ম্যাচ এ দিল্লির পৃথ্বী সও ১০ এর গণ্ডি টপকাতে পারেনি, তাই এই ম্যাচ এ তার পরিবর্তে হেটমায়ার কে খেলানো হয়।
দিল্লির ওপেনিং কম্বিনেশন ও পাল্টানো হয় , শিখর ধওয়ানের সাথে ওপেন করে স্টোইনিস। এই সিদ্ধান্তই দিল্লির জেতার পথ নির্মাণ করে। ব্যাট হাতে পাওয়ারপ্লে তে দারুন ছন্দে দেখা যায় ধাওয়াণ স্তইনিস জুটি কে। স্তইনিসের গুরুত্বূর্ণ ৩৮ (২৭) রান ও ধাওয়ানের ৭৮ (৫০) রানের ওপর ভর করে দিল্লির ব্যাটিং এর দারুন প্লাটফর্ম সেট করে ওপেনিং জুটি।
এর পর স্তইনিশ আউট হলে ২১(২০) রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলে ক্যাপ্টেন আইয়ার। এর পর হেত্ময়ার এর মাত্র ২২ বল এ ৪২ রানের দুর্দান্ত ব্যাটিং ওপর ভর করে ১৯০ রানের টার্গেট সেট করে দিল্লি ক্যাপিটাল।জবাব এ ব্যাট করতে নেমে হায়দ্রাবাদের ক্যাপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নার মাত্র ২ (৩) রান করে আউট হন রবাদার বলে। এর পর প্রিয়ম গর্গ ১৭ (১২) ও মনিশ পান্ডে ২১ (১৪) কিছুটা চেষ্টা করলেও মার্কস স্তোইনিস এর বল এর জবাব ছিলোনা তাদের কাছে।
এই চাপের ম্যাচে কিছুটা আসা জাগিয়েছিল নিউজিল্যান্ড ক্যাপ্টেন কেন উইলিয়ামসন ৬৭ (৪৫) ও আব্দুল সমদ ৩৩(১৬)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার এ ১৭২ রানেই শেষ হয়ে যায় হাইদ্রাবাদ এর ইনিংস।অবশেষ এ বহু প্রতীক্ষিত আইপিএল ফাইনাল এ মুম্বাই এর মুখোমুখি হতে চলেছে দিল্লি।
ক্রীড়া প্রাঙ্গণ
মেলবোর্নে দ্বিতীয় টেস্টে দুরন্ত জয় রাহানের নেতৃত্বাধীন ভারতের।
বিক্রম দাঁ : অ্যাডিলেড টেস্ট ম্যাচে ৩৬ রানে অল আউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়েছিল ভারতীয় দল। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে ছিলেন না প্রথম দলের চার তারকা। আর মেলবোর্নে ভারতের রেকর্ডও খুব একটা সুখকর ছিল না। কিন্তু এ হেন প্রতিকূলতার মধ্যেই অজিঙ্কে রাহানের ভারত দেখিয়ে দিয়েছে, এভাবেও ফিরে আসা যায়।
বক্সিং ডে টেস্টে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে যেন রূপকথার কাহিনি লিখে ফেলেছে টিম ইন্ডিয়া। তাই এই টেস্ট জয়ের স্বর্ণ পদক তার এই প্রাপ্য। অনবদ্য ঠান্ডা মাথার অধিনায়কত্ব হোক, কিংবা ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, দ্বিতীয় টেস্টে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন আজিংকে রাহানে । তাই এদিন টুইট করে ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলিও রানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
ম্যাচের আগে বিরাট বা সামির অনুপস্থিতি হোক বা খেলা চলাকালীন উমেশ যাদব এর ছোট হাওয়ার পরেও বোলিং ম্যানেজমেন্ট হোক সব দিকেই দারুন প্রতিভার পরিচয় দিয়েছে জিংকস। তবে এই ম্যাচ জেতার পর অধিনায়ক দলের ডেবিউ টান্টস সিরাজ আর শুভমণ এর অসাধারণ পারফরমেন্স এর কথা বলেছেন। আর বলবেননাই বা কেনো? ইশান্ত শর্মা ছিলেন না টেস্ট এ সেই জন্য তৃতীয় সিম বোলার হিসেবে যাদব সুযোগ পায়। তাতেই ভারতীয় দলের বোলিং ডিপার্টমেন্টকে দুর্বল বলেছিলেন অনেক ক্রিকেটর।
সমি দল থেকে বেরিয়ে গেলে সেখানে সিরাজ এর নতুন ও পুরনো বলে উইকেট নেওয়া র দক্ষতাই দারুন কাজে এসেছে ভারতের। এর পর গিল , আসন্ন দশ বছরে ব্যাটিং এ যে গিল এর রাজত্ব চলতে পারে এমনটা অনেক ক্রিকেটার বলছেন। যেমন টেকনিক তেমন শর্ট সিলেকশন । ভারতীয় ব্যাটিং এর ভবিষ্যত যে বেশ উজ্জ্বল তা বেশ পরিস্কার।
কোহলির নেতৃত্বেই প্রথম ম্যাচে লজ্জার সেই রেকর্ডটি করতে হয়েছে ভারতকে। তারপর আবার পিতৃত্বকালীন ছুটিতে দেশে ফিরে এসেছেন বিরাট। মেলবোর্ন টেস্টের আগে দল ছিল ছত্রভঙ্গ। ৪-০ তে হারের আশঙ্কা তাড়া করে বেড়াচ্ছিল দলকে। সেই আশঙ্কাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে মেলবোর্নে জয়ের শিরোপা উঠেছে ভারতের মাথায়। ক্যাপ্টেন কোহলি তাই বলছেন,”কী অসাধারণ জয়! গোটা দলের পারফরম্যান্স অনবদ্য। ছেলেদের জন্য অত্যন্ত খুশি। বিশেষ করে রাহানের জন্য। এর চেয়ে খুশির খবর হতে পারে না। এরপর আমাদের শুধু উপরের দিকে ওঠার পালা।