দেশ
“মুসলমানদের নামে রাস্তার নামকরণ ‘দ্বি-জাতি’ মানসিকতার সৃষ্টি করবে”- বিজেপি সাংসদ
নিজস্ব প্রতিনিধি : জাতি-বর্ণ ও ধর্মের বিভেদ বহুকাল ধরেই চলে আসছে। তবে এবার রাস্তার নামকরণেও দ্বি-জাতি মানসিকতা তুলে ধরা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর বেশ কিছু অঞ্চলে মুসলমান ব্যক্তিত্বের নামে রাস্তার নামকরণ করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে।
বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর সংখ্যালঘু অধ্যুষিত অঞ্চলে মুসলমানদের “দ্বি-জাতি তত্ত্বের সাম্প্রদায়িক মানসিকতা” হিসাবে কয়েকটি রাস্তার নামকরণের কথিত পদক্ষেপের বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বেঙ্গালুরু পৌর কর্তৃপক্ষকে রাস্তা নামকরণের তালিকাটি পুনরায় সংশোধন করার জন্য অনুরোধ করেছেন।
বেঙ্গালুরুর দক্ষিণ এমপি ব্রুহাত বেঙ্গালুরু মহানগর পালেকের (সিটি কর্পোরেশন) কমিশনার এন মঞ্জুনাথ প্রসাদকে একটি চিঠি লিখে বলেছেন যে, রাস্তাগুলির নামকরণের জন্য কেবলমাত্র মুসলিম নাম বেছে নেওয়া হয়েছিল। যা হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিভেদের সৃষ্টি করতে পারে।
বিবিএমপি কর্তৃক প্রদত্ত নামের তালিকায় কেবলমাত্র মুসলিম নাম রয়েছে দাবি করে তেজস্বী সূর্য বলেছিলেন, “দ্বি-জাতীয় তত্ত্বের একই সাম্প্রদায়িক মানসিকতা এবং মুসলিম লীগের পৃথক ভোটারদের দাবিতে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে রাস্তাগুলির নামকরণ ধর্মের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করবে। এটি বিপজ্জনক, তাই অবশ্যই নিন্দা করা উচিত।”
২৯ বছর বয়সী এই সাংসদ বলেছিলেন, ‘অমুসলিম জনসাধারণ এবং দেশপ্রেমিকদের কোনও অভাব নেই যার উপরে রাস্তার নামকরণ করা যেতে পারে’।
তিনি কমিশনারকে তার সিদ্ধান্তের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠিতে বলেন,”আমি আপনাকে অনুরোধ করছি তাৎক্ষণিকভাবে তালিকাটি সংশোধন করুন এবং বিস্তৃত জনগণের আলোচনার পরেই ব্যক্তিত্বদের নাম অনুসারে রাস্তার তালিকা চূড়ান্ত করুন।”
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।