Connect with us

দেশ

চলে যেতে চাই এই গ্ৰাম ছেড়ে, বললেন হাথরসের অভিযোগকারী।

Published

on

Social Update Bengali News Image
Image Source TOI

নিজস্ব প্রতিনিধি : ঘরটাই তাদের এখন একমাত্র ঠিকানা। বেরোননা তারা আর বাড়ি থেকে। চেক ছাড়া কেউই আসে না, এমনকি তিন মাস ধরে তারা গ্রামের অন্য কারোর সাথে ঠিক মতো কথাও বলেছেন না। এই ঘটনা হল ১৯ বছর বয়সী দলিত মেয়ে হাথ্রাসে যাকে গণধর্ষণ করে, খুন করা হয়েছিল তার পরিবারের।

“আমরা আগেও বলেছিলাম এবং আমরা এটি আবার বলছি যে, আমরা আমাদের এই গ্ৰাম ছেড়ে যেতে চাই”, ভুক্তভোগীর ছোট ভাই শনিবার এমনটাই বলেছেন। দিল্লিতে স্থানান্তরিত করার জন্য মেয়েটির পরিবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের কাছে আবেদন করে, যাতে তারা “নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে”। তবে, এখনও অবধি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি তাদের।

“চার আসামির পরিবার হল গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং আমরা হলাম দলিত পরিবার। তাই আমরা আশঙ্কা করছি আমাদের ক্ষতি হতে পারে,” তিনি বলেছিলেন।

অক্টোবরে, তারা একটি চিঠি পেয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, “আপনাকে আমি পরামর্শ দিচ্ছি আপনি সত্যকে স্বীকার করুন, নাহলে এই দেশের সমস্ত ভূমি আপনার লোকানোর জন্য যথেষ্ট হবে না। তাকে হত্যার জন্য আমি তোমাকে এবং তোমার মাকে জেলে পাঠিয়ে দেব।” অভিযোগকারী বার্তাটি দেখে পুলিশকে জানিয়েছেন এবং সিবিআই কেও জানানো হয়েছে।

তবে বার্তাটি প্রেরণের সময়, পরিবারটি তাদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল এবং তাদের একটি সুরক্ষা কভার প্রদান করা হয়েছিল। তার দু-সপ্তাহ পরেই, তাদের পরিবার দিল্লিতে স্থানান্তর করার আর্জি জমা দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্টে।

প্রথমে সন্তান হারা তারপর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অত্যাচারের জন্য বাসস্থান ছাড়ার সিদ্ধান্ত। একের পর এক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে হাথ্রাসের এই দলিত পরিবারকে।

প্রশ্ন তো এখানেই, তাহলে কী প্রভাবশালী ও উচ্চবিত্ত হওয়ার ফলে শাস্তি হবে না অভিযুক্তদের? পুনরায় বর্গের ভেদাভেদের দরুন মুক্ত থাকবে ধর্ষণকারী।

দেশ

কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ‌্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!

Published

on

Social Update Bengali News Image
Image Source Twitter

নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।

কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।

মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ‌্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।

Continue Reading
Advertisement
Advertisement
Advertisement e

আমাদের ফেসবুকে পেজ লাইক করুন

Advertisement
Advertisement

জনপ্রিয় পোস্ট