দেশ
দলিত হওয়ায় কি অপরাধ? মারধরের পর যুবকের উপর মূত্রত্যাগ!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বৈষম্যমূলক মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় ১৮ বছরের দলিত কিশোরকে ‘শাস্তি’। বচসার পর মারধরের পাশাপাশি তার গায়ে মূত্রত্যাগও করল চার অভিযুক্ত। তামিলনাড়ুর পুদুক্কোট্টাই জেলায় এই অমানবিক ঘটনাটি হয়েছে। ইতিমধ্যেই চার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনায় তামিলনাড়ুর পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্ত দলিত কিশোরটি তার আত্মীয়দের সঙ্গে পুকুরে মাছ ধরছিল। সেই সময়ই সেখানে হাজির হয় প্রদিপ নামের এক ব্যক্তি। তার সঙ্গে কোনও একটা বিষয় নিয়ে কিশোরের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। তবে খুব শীগ্রই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকে। অভিযোগ, ওই কিশোরের উদ্দেশে বৈষম্যমূলক মন্তব্য করে মূল অভিযুক্ত প্রদীপ। কিশোর প্রতিবাদ করতেই তাকে মারধর করতে শুরু করে ওই ব্যক্তি।
াাময়িক ভাবে এই বিবাদ মিটলেও নতুন করে ঝামেলা করার ফন্দি আঁটে মূল অভিযুক্ত। এরপর তিন সঙ্গীকে নিয়ে একটি গাড়িতে দলিত ওই কিশোরকে অপহরণ করে প্রদিপ। দলিত কিশোরকে এক ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায় ওই চার অভিযুক্ত। সেখানে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে প্রবল মারধর করা হয় আক্রান্তকে।
এখানেই শেষ নয়, এর পর ওই কিশোরের গায়ে অভিযুক্তরা সকলে মিলে মূত্রত্যাগও করে বলে অভিযোগ। সেখান থেকে শেষে কোনও মতে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বাঁচে নির্যাতিত কিশোর। পরে তাকে জখম অবস্থায় এক সরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পুলিশের কাছে সেখান থেকেই খবর যায়। পুলিশ কিশোরের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত প্রদীপ ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।