দেশ
উত্তরপ্রদেশে লাভ জেহাদ আইনে গ্রেপ্তার মহিলা, জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ!
নিজস্ব প্রতিনিধি : ভারতের প্রথম মহিলা হিসেবে লাভ জেহাদ চালু হওয়ার পর এই আইনে আটক হয়েছিলেন মুসকান জাহান নামে ২২ বছরের যুবতী।উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে জোর করে মুসকান জাহানের গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠল। মোরাদাবাদ জেলার একটি সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটেছে।
বিষয়টি সামনে আসার পর, যোগী সরকারের সমালোচনা করছেন বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মোরাদাবাদের ২৬ বছরের যুবক বছর খানেক আগে রশিদ সেলুনের কাজের জন্য উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে উত্তরপ্রদেশেরই এক হিন্দু যুবতী পিঙ্কির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। আস্তে আস্তে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠার পর বিয়ে করে দু’জনে। আর তার পরেই হিন্দু ধর্ম ছেড়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে পিঙ্কি থেকে মুসকান জাহান নাম নেন ২২ বছরের ওই যুবতী। কয়েকমাস আগে দেরাদুন থেকে ফের মোরাদাবাদে ফিরে এসে স্থানীয় একটি সেলুনে কাজ নেন রশিদ। আর বাবা ও মায়ের সঙ্গে স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সম্প্রতি বিষয়টি জানতে পেরে রশিদ ও মুসকানকে আটক করে। রশিদকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখা হলেও মুসকানকে মোরাদাবাদের একটি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই যুবতীর শরীরে ইঞ্জেকশন দিয়ে তাঁর গর্ভজাত সন্তানকে খুন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।