জেলা
মুর্শিদাবাদে বোমা বানাতে গিয়ে মৃত দুই, আহত পাঁচ….।
• মুর্শিদাবাদে বোম বাঁধতে গিয়ে মৃত দুই
• বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে পড়ে বাড়ি
নিজস্ব প্রতিনিধি, মুর্শিদাবাদ : আবারও বোমা বাঁধতে গিয়ে দুর্ঘটনা, বিস্ফোরণে মৃত্যু হল দুই ব্যাক্তির। আহত হয়েছেন পাঁচ জন। গত শুক্রবার রাতে, মুর্শিদাবাদের সুতিতে এই বিস্ফোরণ হয়। পুলিশ জানিয়েছে, দেশি বোমা বানাবার সময় তা ফেটে গিয়েই এই দুর্ঘটনা।
পুলিশ মৃতদের শনাক্ত করেছে। মাহারুল শেখ ও তাইফুল শেখ নামের দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের দু’জনেরই বয়স প্রায় তিরিশ থেকে পঁয়ত্রিশ এর মধ্যে। আহত পাঁচ জনকে সাবডিভিশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে দুই জনের পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক।
মুর্শিদাবাদ জেলার বরিষ্ঠ এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্ততে উঠে এসেছে যে আক্রান্তরা সুতির স্থানীয় বাসিন্দা নন। তাদেরকে বোমা বানানোর কাজের জন্যই এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। এই বোমা চক্রের মূল আসামী কে তা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। আক্রান্তরা কিছুটা সুস্থ হলে তাদেরকে এই নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। উল্লেখযোগ্য, যে বাড়িতে বোমা বানানো হচ্ছিল, বিস্ফোরণের তীব্রতায় সেটা কার্যত ভেঙে পড়েছে। বিশদ তথ্যাদির জন্য পুলিশকর্তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের ও এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
জেলা
ফেসবুকে অর্মত্য সেনকে নিয়ে অসম্মানজনক পোস্ট! ABVP নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের।
নিজস্ব প্রতিনিধি : ফেসবুকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে নিয়ে অসম্মানজনক পোস্ট করার অভিযোগে বিশ্বভারতীর এক ছাত্রনেতার নামে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করা হল। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) বিশ্বভারতী ইউনিটের সদস্য অপূর্ব শরদের নামে বাম সমর্থিত বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী ঐক্য মঞ্চ এই অভিযোগ দায়ের করল।
এর ফলে শান্তিনিকেতন আবারও মুখ্যমন্ত্রীর বোলপুর সফর চলাকালীন এই বিষয়টি ঘিরে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল। বোলপুরের শান্তিনিকেতনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ির নাম “প্রতীচী”। এই বাড়ির একটা অংশ বিশ্বভারতীর, বারবার এমনই দাবি করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই মর্মে বিশ্বভারতীর সম্পত্তি বিভাগের তরফে রাজ্য সরকারকে একটি চিঠিও দেওয়া হয়েছে। নানা মহল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে বিশ্বভারতীর এমন অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব।
এরকম পরিস্থিতির মাঝেই ফেসবুকে অমর্ত্য সেনকে নিয়ে অসম্মানজনক পোস্ট করেছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপির নেতা অপূর্ব শরদ। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন,” অমর্ত্য সেন দীর্ঘদিন ধরে ইংল্যান্ড, আমেরিকায় বসবাস করেন, সেখানেই পড়ান। ভারতের অর্থনীতির জগতে তাঁর অবদান একেবারে শূন্য।” এরপর তিনি অর্থনীতিবীদ অমর্ত্য সেনকে সমর্থনকারীদের প্রতিও আঙুল তুলেছেন।