দেশ
বিহারের জয়ী বিধায়কদের ৬৮ শতাংশের বিরুদ্ধেই রয়েছে ফৌজদারি মামলা !
নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিহারের ‘জঙ্গলরাজ’ নিয়ে জনসভায় বারবার সরব হয়েছিলেন। কিন্তু বিহার বিধানসভার ভোটের ফলাফল ঘোষিত হওয়ার পর দেখা গেল, বিহার রয়েছে আগের বিহারেই।
এই বছরের বিহারের বিধানসভা ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দুই তৃতীয়াংশের বিরুদ্ধেই রয়েছে ফৌজদারি মামলা।একাধিক বিজয়ী বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ থেকে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতাও তথৈবচ। তবে সে সব বিধায়কদের টাকার জোর অনেক।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের (এডিআর) এক রিপোর্টে বলছে, বিজয়ীদের ৮১ শতাংশই কোটিপতি।সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনী যজ্ঞে ২৪৩ জন বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। এডিআরের রিপোর্ট বলছে, ১৬৩ জন বিধায়ক হলফনামা দিয়ে জানিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অর্থাৎ মোট বিধায়কের ৬৮ শতাংশের বিরুদ্ধেই এই ধরণের মামলা রয়েছে। এঁদের মধ্যে ৫১ শতাংশের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, অপহরণ, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের মতো গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগ রয়েছে। জনপ্রতিনিধিরাই হলফনামা প্রকাশ করে সে কথা স্বীকার করেছেন।
রিপোর্ট বলছে, গতবারের তুলনায় এবার এই ধরনের নির্বাচিত প্রতিনিধির সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। আগের বার ৫৮ শতাংশ বিধায়ক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।