দেশ
বিপাকে ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’ কর্তৃপক্ষ, উধাও টিকিটের ৫ কোটি টাকা!
নিজস্ব প্রতিনিধি : ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’র নাম জড়িয়ে পড়ল অর্থ নয়-ছয় এর সঙ্গে। গুজরাটে অবস্থিত সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তিটির ভিজিট টিকিটের অর্থ সংগ্রহকারী সংস্থার বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকারও বেশি অর্থ তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এই মূর্তি তৈরি করা নিয়ে বিতর্ক আজকের নয়, দেশের অর্থনৈতিক সংকটের সময় এই মূর্তি নির্মাণের জন্য সরকারের সমালোচনা করেছে এদেশের একাংশ। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ট্রোল হতে হয়েছিল ভারত সরকারকে। এবার অভিযোগ, যে সংস্থাকে পর্যটকদের থেকে টিকিটের অর্থ সংগ্রহ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাদেরই কয়েকজন কর্মী ৫.২৪ কোটি টাকার অর্থ তছরুপ করেছে।
এই মূর্তির কর্তৃপক্ষ যে ব্যাংকে দু’টি অ্যাকাউন্ট খুলেছিল, সে ব্যাংকের তরফেই এই সংস্থাটিকে টিকিটের অর্থ সংগ্রহের বরাত দেওয়া হয়। ওই সংস্থার কাজ ছিল, পর্যটকদের থেকে টিকিট বাবদ আগের দিনের জমা পড়া অর্থ, পরেরদিন ব্যাংকে গিয়ে জমা করা।
সম্প্রতিক ওই বেসরকারি ব্যাংকের একটি অডিটে দেখা যায়, ব্যাঙ্কের ডিপোজিট স্লিপের সঙ্গে জমা পড়া অর্থের কোনও মিল পাওয়া যাচ্ছে না। এই ঘটনার পরই গত সোমবার রাতে ওই ব্যাংকের ম্যানেজার স্থানীয় থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেন।
তিনি জানিয়েছেন, নভেম্বর ২০১৮ থেকে এই বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত নাকি কোনও অর্থ জমাই পড়েনি। সবমিলিয়ে এই অর্থের পরিমাণ পাঁচ কোটি ২৪ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৭৫ টাকা। ডেপুটি সুপারিন্টেন্ড্যান্ট বাণী দুধাত এই প্রসঙ্গে বলেছেন, এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ৪০৬ এবং ১২০–বি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।