দেশ
শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ ভারতের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুরেভি’!
নিজস্ব প্রতিনিধি : শক্তি বাড়িয়ে শ্রীলঙ্কা পার করে ক্রমশ ভারতের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুরেভি’। জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে তামিলনাড়ু, দক্ষিণ কেরলের একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। ইতিমধ্যেই ওইসব জায়গায় আকাশ মেঘলা।
গত বুধবার রাত সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১১ টার মধ্যে শ্রীলঙ্কা পার করেছে ঘূর্ণিঝড়। সেইসময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগছিল ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার। এই ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রস্থল শ্রীলঙ্কায়।
পূর্বাভাস বলছে, এরপর পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে গালফ অফ মানা- এ অবস্থান করবে। সেখানে শক্তি সঞ্চয় করে আবার অভিমুখ পরিবর্তন করবে এই ঝড়। পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম অভিমুখে অগ্রসর হয়ে ঘূর্ণিঝড় তামিলনাড়ু উপকূলে আছড়ে পড়বে বৃহস্পতিবার রাত অথবা শুক্রবার সকালে।
তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীর কাছে রামনাথপুরমে এটি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সময় ঘন্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার গতিবেগ থাকবে এই ঝড়ের বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তামিলনাড়ু ও কেরলের দক্ষিণ অংশে। ভারী বৃষ্টি হবে পুদুচেরি অন্ধ্র প্রদেশ ও সংলগ্ন এলাকায়। ঝড়ের তাণ্ডবে কেরলের তিরুবন্তপুরম আল্লাপি সহ বেশ কিছু এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্ষতির সম্ভবনা তামিলনাড়ু কন্যাকুমারী রামনাথপুরয় ও শিবগঙ্গা সহ বেশকিছু জেলায়।
সতর্কতাঃ নিয়ে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকতে পারে। ইতিমধ্যে কেরল সহ একাধিক এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের তরফেও ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।