বিশেষ
কৃষি আন্দোলন থেকে নজর ঘোরাতে ফের হতে পরে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক! আশঙ্কা পাকিস্থানের।
নিজস্ব প্রতিনিধি : ভারতে চলতে থাকা কৃষি আন্দোলন দিন দিন বৃহৎ রুপ ধারণ করছে। সরকাররের সাথে একাধিক বার বৈঠক হলেও সন্তুষ্ট নন কৃষকরা। কাজের বাড়ছে আন্দোলনের জোর। কৃষকদের বিক্ষোভ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মোদি সরকার। সরকারের প্রতি আক্রোশ সাধারণেরও। আগামী বছরেরই দেশের বহু রাজ্যে (বাংলা, আসাম, কেরালা, পন্ডিচেরি ও তামিলনাড়ু) বিধানসভা ভোট, তার আগে সরকারের ছবি খারাপ হচ্ছে আন্দোলনের ফলে। তাই আবারও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করতে পারে ভারত! এই মুহূর্তে এমনই আশঙ্কায় চিন্তিত পাকিস্তান।
এই আশঙ্কার কারণে ইতিমধ্যেই পাকিস্থানে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে সীমান্তে মোতায়েন সেনাও পরিমাণ। ইমরানের দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি তেমনটাই। সেখানে সংবাদ মাধ্যমের দাবিতে বলা হয়েছে, কৃষক বিক্ষোভ থেকে নজর ঘোরাতেই ফের পাকিস্তানকে আক্রমণ করার মতো পদক্ষেপ নিতে পারে মোদি সরকার।
পাকিস্তানের এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের (‘জিও নিউজ’) দাবি, ২০১৬ সালে কোনও ‘প্রমাণ’ ছাড়াই পাকিস্তানের মাটিতে ঢুকে এসে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি জানিয়েছিল ভারত। পরে ২০১৯ সালেও তারা এমনই পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সেবার তারা ব্যর্থ হয়।
সেদেশে সংবাদমাধ্যম গুলি দাবি করছে, একের পর এক বিতর্কিত নীতির ধাক্কায় কার্যত বেসামাল দিল্লি। ফলে শিখ কৃষকদের প্রতিবাদকে দুর্বল করতে মরিয়া হয়ে উঠছে মোদি সরকার। এই বেসামাল পরিস্থিতিতে আবারও সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরিকল্পনা করতে পারে ভারত। নিয়ন্ত্রণরেখায় তাই বাড়ানো হয়েছে পাক সেনা। ভারতের তরফ থেকে কোনও রকম উসকানি দেখলেই তার জবাব দেওয়ার নির্দেশও নাকি দেওয়া হয়েছে পাকিস্থানের সেনাকে।
শুধু মাত্র সংবাদমাধ্যমই নয়, এই আশঙ্কায় রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিও। তার আশঙ্কা, ভারত এমন কোনও পরিকল্পনা করতেই পারে। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে ভারত। এর ফলে তাদের অর্থনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। কৃষকরা তো বটেই, সেই সঙ্গে বিরোধী দল, আইনজীবী ও পড়ুয়াদের বিক্ষোভের সামনে পড়ে এখন হুমকির সুরে কথা বলছে দিল্লি। তাই দেশের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ থেকে নজর ঘোরাতে অন্য কোনও পথ বেছে নিতেই পারে তারা।’’
বিশেষ
টিআরপি স্ক্যাম : অর্ণব গোস্বামীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সোশ্যাল-মিডিয়ায় ভাইরাল!
নিজস্ব প্রতিনিধি : সিএএ, এনআরসি হোক বা সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলা, উদ্ধব সরকারের সঙ্গে সংঘাত হোক বা টিআরপি কেলেঙ্কারী, গত বছরেই একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে বারংবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন রিপাবলিক টিভির এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী।
বলিউড সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার তদন্ত নিয়ে মুম্বই পুলিশের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিতর্কে জড়িয়েছেন রিপাবলিক মিডিয়া নেটওয়ার্কের এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী। গত বছর অক্টোবর মাসে টিআরপি তালিকায় দেশে শীর্ষে থাকা এই নিউজ চ্যানেলের বিরুদ্ধে ভুয়ো টিআরপি রেটিং ব়্যাকেটে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছিলেন মুম্বই পুলিশ কমিশানার পরমবীর সিং।
[ আরো পড়ুন : গুগলে ‘chutiya news anchor’ লিখলেই সার্চ রেজাল্টে অর্ণব এর নাম!]
তখন মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছিল, চ্যানেলের রেটিং বাড়ানোর জন্য অনৈতিকভাবে BARC-এর প্রাক্তন CEO পার্থ দাশগুপ্তকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন অর্ণব গোস্বামী। তাও আবার একবার নয়, একাধিকবার বার্ক-প্রধান ‘ঘুষ’ নিয়েছেন বলে অভিযোগ।
গত ডিসেম্বর মাসে সংশ্লিষ্ট মামলায় এক ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে রিপাবলিক টিভির সম্পাদক অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে ‘রিমান্ড নোট’ জমা দেয় মুম্বই পুলিশ। যে অভিযোগনামায় দাবি করা হয়েছে যে, নিজস্ব পদমর্যাদার অপব্যবহার করে পার্থ দাশগুপ্ত একাধিক চ্যানেলে টিআরপি এরপর করেছেন।
[ আরো পড়ুন : গুগলে “gujarati actor” লিখলেই সার্চ রেজাল্টে ভেসে আসছে নরেন্দ্র মোদীর ছবি! ]
এবার অর্ণব গোস্বামী এবং বার্কের সিইও পার্থ দাশগুপ্তের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সোশ্যাল-মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এ অর্ণব গোস্বামীর কিছু বক্তব্যের স্কিনশর্ট টুইটারে শেয়ার করা হয়েছে। সেই চ্যাটে টিআরপি কেলেঙ্কারি সাথে সম্পর্কিত অর্নবকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সাহায্য চাইতে দেখা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল বা বার্কের সিইও পার্থ দাশগুপ্ত মুম্বাই পুলিশি জেরায় অর্ণবের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ নেওয়ার কথাও কবুল করেছেন। আর সেই টাকা নিয়েই রিপাবলিক টিভির দর্শক সংখ্যা বাড়াতে তিনি কারচুপি করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন পুলিশকে।