বিশেষ
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজত থেকে ‘উধাও’ ১০৩ কেজি সোনা! CID তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত।
![Social Update Bengali News Image](https://socialupdate.in/wp-content/uploads/2020/12/gold-prices.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি : কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI এর হেফাজত থেকেই বেমালুম উধাও হয়ে গেল ১০৩ কেজি বাজেয়াপ্তো সোনা। এই সোনার বাজারমূল্য প্রায় ৪৩-৪৫ কোটি টাকা।
ইতিমধ্যে এই ঘটনায় মাদ্রাজ হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI এর বিরুদ্ধে CID তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ভাবুন CBI এর তদন্ত করবে CID! আদালতের এই নির্দেশ কে সিবিআই নিজেদের জন্য অসম্মানজনক বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ২০১২ সালে সুরানা কর্পোরেশন নামের চেন্নাইয়ের এক সংস্থা থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা বাজেয়াপ্ত করেছিল। এই সংস্থাটি বিদেশ থেকে সোনা-রুপা আমদানি করত। এদের বিরুদ্ধে ৮ বছর আগে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে প্রচুর অলঙ্কার আমদানির অভিযোগ ওঠে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে সেই সংস্থার মোট ৪০০ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। CBI সেই সোনা তাদের সংস্থারই বিভিন্ন ভল্টে সংরক্ষিত রাখে। এই চারশো কেজি সোনা মূলত গয়না এবং সোনার বারের রূপে সংরক্ষিত ছিল। তৎকালীন সময় সিবিআই দাবি করেছিল, এই বিপুল পরিমাণ সোনা তাদের হেফাজতে নিরাপদ আছে। যে সমস্ত ভল্ট গুলিতে সোনা রাখা হয়েছিল, সেসব ভল্ট এর চাবি চেন্নাইয়ে সিবিআইয়ের এক বিশেষ আদালতে জমা দেওয়া আছে বলে সে সময় CBI এর দিক থেকে জানানো হয়েছিল।
উল্লেখযোগ্য, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই ঠিক কবে সেই চাবি সিবিআই আদালতে জমা দিয়েছিল, তার সঠিক তারিখ জানাতে পারেনি সংস্থার আধিকারিকরা।
গত কয়েক বছরে ওই সোনা নিয়ে প্রচুর মামলা-মোকদ্দমা হয়ে গিয়েছে। তবে আদৌ সেই ঠিক আছে কিনা, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রয়োজন বোধ করেনি কেউই। অবশেষে ২০১৯ এর ডিসেম্বর মাসে ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল ওই সোনা ওই সংস্থার ঋণ পরিশোধ করার জন্য SBI সহ ৬টি ব্যাংক এর মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের পর ব্যাংক আধিকারিকদের সামনে ওই ভল্ট গুলি খুলতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হয় CBI কর্তাদের। তারা দেখে, প্রায় ১০৩ কেজি সোনা কম।
বিশেষ
টিআরপি স্ক্যাম : অর্ণব গোস্বামীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সোশ্যাল-মিডিয়ায় ভাইরাল!
![Social Update Bengali News Image](https://socialupdate.in/wp-content/uploads/2020/12/republic-TV.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি : সিএএ, এনআরসি হোক বা সুশান্ত সিং মৃত্যু মামলা, উদ্ধব সরকারের সঙ্গে সংঘাত হোক বা টিআরপি কেলেঙ্কারী, গত বছরেই একাধিক বিতর্কে জড়িয়ে বারংবার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন রিপাবলিক টিভির এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী।
বলিউড সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলার তদন্ত নিয়ে মুম্বই পুলিশের সঙ্গে প্রকাশ্যে বিতর্কে জড়িয়েছেন রিপাবলিক মিডিয়া নেটওয়ার্কের এডিটর ইন চিফ অর্ণব গোস্বামী। গত বছর অক্টোবর মাসে টিআরপি তালিকায় দেশে শীর্ষে থাকা এই নিউজ চ্যানেলের বিরুদ্ধে ভুয়ো টিআরপি রেটিং ব়্যাকেটে জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছিলেন মুম্বই পুলিশ কমিশানার পরমবীর সিং।
[ আরো পড়ুন : গুগলে ‘chutiya news anchor’ লিখলেই সার্চ রেজাল্টে অর্ণব এর নাম!]
তখন মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছিল, চ্যানেলের রেটিং বাড়ানোর জন্য অনৈতিকভাবে BARC-এর প্রাক্তন CEO পার্থ দাশগুপ্তকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন অর্ণব গোস্বামী। তাও আবার একবার নয়, একাধিকবার বার্ক-প্রধান ‘ঘুষ’ নিয়েছেন বলে অভিযোগ।
গত ডিসেম্বর মাসে সংশ্লিষ্ট মামলায় এক ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে রিপাবলিক টিভির সম্পাদক অর্ণব গোস্বামীর বিরুদ্ধে ‘রিমান্ড নোট’ জমা দেয় মুম্বই পুলিশ। যে অভিযোগনামায় দাবি করা হয়েছে যে, নিজস্ব পদমর্যাদার অপব্যবহার করে পার্থ দাশগুপ্ত একাধিক চ্যানেলে টিআরপি এরপর করেছেন।
[ আরো পড়ুন : গুগলে “gujarati actor” লিখলেই সার্চ রেজাল্টে ভেসে আসছে নরেন্দ্র মোদীর ছবি! ]
এবার অর্ণব গোস্বামী এবং বার্কের সিইও পার্থ দাশগুপ্তের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সোশ্যাল-মিডিয়ায় ভাইরাল। সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এ অর্ণব গোস্বামীর কিছু বক্তব্যের স্কিনশর্ট টুইটারে শেয়ার করা হয়েছে। সেই চ্যাটে টিআরপি কেলেঙ্কারি সাথে সম্পর্কিত অর্নবকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সাহায্য চাইতে দেখা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ব্রডকাস্ট অডিয়েন্স রিসার্চ কাউন্সিল বা বার্কের সিইও পার্থ দাশগুপ্ত মুম্বাই পুলিশি জেরায় অর্ণবের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ নেওয়ার কথাও কবুল করেছেন। আর সেই টাকা নিয়েই রিপাবলিক টিভির দর্শক সংখ্যা বাড়াতে তিনি কারচুপি করেছিলেন বলে জানিয়েছিলেন পুলিশকে।