দেশ
উত্তরপ্রদেশে ছোটা রাজন, মুন্না বজরঙ্গির নামে ডাকটিকিট! তদন্তের নির্দেশ।
নিজস্ব প্রতিনিধি : আবারও বিতর্কের কেন্দ্রে উত্তর প্রদেশ। উত্তরপ্রদেশের কানপুরে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা রাজন এবং মুন্না বজরঙ্গির মতো গ্যাংস্টারের নামে ডাকটিকিট। আপনার চোখ কপালে তোলার মতো এমন ডাকটিকিট কানপুরে ডাক বিভাগের সদর দফতর থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এই ডাক টিকিটের ছবি প্রকাশ হতেই শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
যোগী রাজ্যের ডাক বিভাগ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই টিকিট বেশ কয়েক দিন আগেই ছাপানো হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে আসায় হইচই বেধে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ডাকবিভাগ।
ভারতীয় ডাক বিভাগের একটি প্রকল্প ‘মাই স্ট্যাম্প’, এই প্রকল্পে নিজের নামের স্ট্যাম্প প্রকাশ করা সম্বভ। ৩০০ টাকার বিনিময়ে যে কেও এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারে। জানা যাচ্ছে সেই প্রকল্পের আওতায় কয়েক বছর আগে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ছোটা চেতন এবং নিহত গ্যাংস্টার মুন্না বজরঙ্গির নামে ১২টি করে ডাকটিকিট ছাপানো হয়েছিল। সম্প্রতি সেই ‘ভুল’ ধরা পড়েছে। এই কাণ্ডে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পোস্টমাস্টার জেনারেল ভিকে বর্মা।
কানপুর ডাকবিভাগের আধিকারিকদের মত, ‘মাই স্ট্যাম্প’ বিভাগের কর্মীদের ভুলেই এই ঘটনা ঘটেছে। তারা জানিয়েছেন, “অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি ৬০০ টাকা খরচ করে ওই দু’জনের নামে ১২টি করে ডাকটিকিট প্রকাশ করেন। ডাকটিকিটগুলির মূল্য ৫ টাকা।”
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।