দেশ
ঘৃণার রাজনীতি, ধর্মান্ধতার কেন্দ্র হচ্ছে উত্তর প্রদেশ! যোগী সরকারকে শতাধিক IAS এর চিঠি।
![Social Update Bengali News Image](https://socialupdate.in/wp-content/uploads/2020/12/yogi-adityanath_socialupdate.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি : উত্তর প্রদেশে নতুন ‘লাভ জিহাদ’ আইন নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত ঘটনা ঘটে চলেছে। উত্তরপ্রদেশে লাভ জিহাদ ইস্যু নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসন মুখে কুলুপ আঁটলেও, যোগীর রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে এ বার সরব হলেন শতাধিক প্রাক্তন আইএএস অফিসার।
তাঁরা অভিযোগ করছেন, উত্তর প্রদেশ এই মুহূর্তে ঘৃণার রাজনীতি, বিভাজন এবং ধর্মান্ধতার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে নতুন এই ধর্মান্তরণ প্রতিরোধী আইন।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের উদ্দেশ্যে অবিলম্বে ধর্মান্তরণ আইন তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার একটি চিঠি দেন দেশের ১০৪ জন প্রাক্তন আইএএস অফিসার। এঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন, প্রাক্তন বিদেশ সচিব নিরুপমা রাও এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের একসময়ের উপদেষ্টা টিকেএ নায়ার।
রীতিমতো কড়া ভাষায় সেখানে বলা হয়, ‘যে সংবিধানে হাত রেখে শপথগ্রহণ করেছিলেন, তার সম্পর্কে নিজেদের জ্ঞান ঝালিয়ে নেওয়া উচিত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ-সহ সমস্ত রাজনীতিকদের’।
চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘একদা যে গঙ্গা-যমুনার তীরে সভ্যতার বিকাশ ঘটেছিল, সেই উত্তরপ্রদেশ এখন ঘৃণার রাজনীতি, বিভাজন এবং ধর্মান্ধতার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলির গায়ে সাম্প্রদায়িকতার প্রলেপ পড়েছে।”
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
![Social Update Bengali News Image](https://socialupdate.in/wp-content/uploads/2021/02/farmers-protest-image.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।