ক্রীড়া প্রাঙ্গণ
ধাওয়ান পান্ডিয়ার লড়াই কাজে এলো না, হার দিয়ে সিরিজ শুরু করলো ভারত।
নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রায় ৩০০ দিন পর ওয়ান ডে সিরিজ এ খেলতে দেখা গেলো ম্যান ইন ব্লু দের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বড়ো সিরিজ দিয়ে আবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট শুরু হলো। করোনা এর প্রকপ কম থাকায় অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫০ শতাংশ সিট এ ক্রাউড অ্যালাও করেছিলো অস্ট্রেলিয়া গভ্নমেন্ট। এই ম্যাচ এ দারুন চমক ছিল টিম ইন্ডিয়ার রেট্রো জার্সি। ভারতীয় সময় সকাল ৯.৩০ মিনিট এ ম্যাচ শুরু হয়।
টস এ জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন অজি ক্যাপ্টেন ফিঞ্চ। ওয়ারণার ও ফিঞ্চ ওপেন করতে এলে তারা ভারতীয় বোলিং লাইন আপ কে দারুন পরীক্ষার মুখে ফেলে দেয় । সামি বা বুমড়া কেউ এই প্রথম দশ ওভার এ উইকেট নিতে পারেনি, আবার ক্যাপ্টেন কোহলির হতে কোনো সিক্সথ বোলিং অপশন ও ছিল না। হার্দিক পান্ডিয়া বোল করতে পারলেও এখন তিনি বল করার মত ফিট নন। ছোট ছোট স্পেল এ সায়নি সমি বা বুমরাহ বোলিং করেও উইকেট এনে দিতে ব্যর্থ হয় তারা। এদিকে আইপিএল এ অফ ফর্ম এ থাকা ফিঞ্চ অস্ট্রেলিয়াতে দারুন ছন্দে রয়েছেন। ১২৪ বল ১১৪ রান করেন তিনি। ডেভিড ওয়ার্নার ও দারুন সঙ্গ দেন তার, ৭৬ বল এ ৬৯ রান করেন তিনি। এর পর ম্যাক্সওয়েল ও স্মিথ হতে উইকেট থাকার সুযোগ নিয়ে দারুন প্রহার করে ইন্ডিয়ার বোলারদের। স্মিথ করে ৬৬ বল এ ১০৫ রান ও ম্যাক্সওয়েল করে ১৯ বল এ ৪৫ রান। আজিরা ৩৭৫ রানের টার্গেট দিয়ে প্রথমেই ব্যাকফুট এ করে দেয় ইন্ডিয়াকে।
ধাওয়ান ও আগরওয়াল ওপেন করতে নামলে প্রথম এ দারুন ইন্টেন্ট দেখায় ইন্ডিয়ার ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু হ্যাজেলাউড এর বাউন্সার এর সামনে বিদ্ধস্ত হতে হয় ময়নক কে। এর পর খেলতে টিকে থাকতে ভারত এর প্রয়োজন ছিল ক্যাপ্টেন কোহলির দারুন ইনিংস কিন্তু ব্যর্থ হতে হয় তাকেও। এর পর আইয়ার ও কে এল রাহুল কোনো পার্টনারশিপ তৈরি করতে পারেনি। হার্দিক পণ্ডিয়া ও ধাওয়ন কিছুক্ষন লড়াই চালিয়ে গেলেও ভারত এর জেতার সম্ভবনা আর ছিল না। ৮৬ বল এ ৭৪ রান করে ধাঁওয়ান ও পান্ডিয় করে ৭৬ বল এ ৯০ রান। তারা আউট হলে ৩০৮ রানেই শেষ হয় ভারত এর ইনিংস।
প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজ এ এগিয়ে থাকলো অস্ট্রেলিয়া।
ক্রীড়া প্রাঙ্গণ
মেলবোর্নে দ্বিতীয় টেস্টে দুরন্ত জয় রাহানের নেতৃত্বাধীন ভারতের।
বিক্রম দাঁ : অ্যাডিলেড টেস্ট ম্যাচে ৩৬ রানে অল আউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়েছিল ভারতীয় দল। মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে ছিলেন না প্রথম দলের চার তারকা। আর মেলবোর্নে ভারতের রেকর্ডও খুব একটা সুখকর ছিল না। কিন্তু এ হেন প্রতিকূলতার মধ্যেই অজিঙ্কে রাহানের ভারত দেখিয়ে দিয়েছে, এভাবেও ফিরে আসা যায়।
বক্সিং ডে টেস্টে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে যেন রূপকথার কাহিনি লিখে ফেলেছে টিম ইন্ডিয়া। তাই এই টেস্ট জয়ের স্বর্ণ পদক তার এই প্রাপ্য। অনবদ্য ঠান্ডা মাথার অধিনায়কত্ব হোক, কিংবা ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া, দ্বিতীয় টেস্টে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন আজিংকে রাহানে । তাই এদিন টুইট করে ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলিও রানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
ম্যাচের আগে বিরাট বা সামির অনুপস্থিতি হোক বা খেলা চলাকালীন উমেশ যাদব এর ছোট হাওয়ার পরেও বোলিং ম্যানেজমেন্ট হোক সব দিকেই দারুন প্রতিভার পরিচয় দিয়েছে জিংকস। তবে এই ম্যাচ জেতার পর অধিনায়ক দলের ডেবিউ টান্টস সিরাজ আর শুভমণ এর অসাধারণ পারফরমেন্স এর কথা বলেছেন। আর বলবেননাই বা কেনো? ইশান্ত শর্মা ছিলেন না টেস্ট এ সেই জন্য তৃতীয় সিম বোলার হিসেবে যাদব সুযোগ পায়। তাতেই ভারতীয় দলের বোলিং ডিপার্টমেন্টকে দুর্বল বলেছিলেন অনেক ক্রিকেটর।
সমি দল থেকে বেরিয়ে গেলে সেখানে সিরাজ এর নতুন ও পুরনো বলে উইকেট নেওয়া র দক্ষতাই দারুন কাজে এসেছে ভারতের। এর পর গিল , আসন্ন দশ বছরে ব্যাটিং এ যে গিল এর রাজত্ব চলতে পারে এমনটা অনেক ক্রিকেটার বলছেন। যেমন টেকনিক তেমন শর্ট সিলেকশন । ভারতীয় ব্যাটিং এর ভবিষ্যত যে বেশ উজ্জ্বল তা বেশ পরিস্কার।
কোহলির নেতৃত্বেই প্রথম ম্যাচে লজ্জার সেই রেকর্ডটি করতে হয়েছে ভারতকে। তারপর আবার পিতৃত্বকালীন ছুটিতে দেশে ফিরে এসেছেন বিরাট। মেলবোর্ন টেস্টের আগে দল ছিল ছত্রভঙ্গ। ৪-০ তে হারের আশঙ্কা তাড়া করে বেড়াচ্ছিল দলকে। সেই আশঙ্কাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে মেলবোর্নে জয়ের শিরোপা উঠেছে ভারতের মাথায়। ক্যাপ্টেন কোহলি তাই বলছেন,”কী অসাধারণ জয়! গোটা দলের পারফরম্যান্স অনবদ্য। ছেলেদের জন্য অত্যন্ত খুশি। বিশেষ করে রাহানের জন্য। এর চেয়ে খুশির খবর হতে পারে না। এরপর আমাদের শুধু উপরের দিকে ওঠার পালা।