রাজ্য
পুজোর আগে ইলিশ প্রিয় বাঙালিদের সুখবর! রাজ্যে এল দুশো মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ!
নিজস্ব প্রতিনিধি : সারাবছর ইলিশ মাছ পাওয়া একটু মুশকিল, তবে বর্ষার মরসুমে ইলিশ মাছ খেতে ভালো লাগে না এমন বাঙালিকে খুঁজে পাওয়া ভার। কিন্তু চলতি বছরে বর্ষা ঢুকলেও কলকাতার বাজারে ইলিশের তেমন দেখা মেলেনি। অন্যদিকে বাংলাদেশে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মাছ ধরা পড়ায় দাম কমেছে অনেকটাই। উল্লেখ্য, দেশের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি বন্ধ রেখেছিলেন। তবে গতবছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্টোবর মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যবাসীদের জন্য ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির ব্যবস্থা করেছিলেন।
গত বছরের মতো এ বছরও পশ্চিমবঙ্গের বাজারে এল বাংলাদেশি ইলিশ। বাংলাদেশ সরকার এই দফায় প্রায় ২০০ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ পাঠিয়েছে। ফলে আসন্ন পুজোয় পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ পদ্মার ইলিশের স্বাদ নিতে পারবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। বাজারের অবহাওয়া বলছে দামও থাকবে আয়ত্তে। সম্প্রতি বেনাপোল-হরিদাসপুর স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ৮৭৫ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। যারমূল্য ১ কোটি ৮৭ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। ভারতীয় অর্থে যার মূল্য কয়েক কোটি টাকা। প্রতি কেজি ইলিশের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ মার্কিন ডলার। ভারতীয় অর্থে কমবেশি ১০০০ টাকা। রপ্তানিকরা প্রতিটি ইলিশের ওজন প্রায় ১ কেজি ২০০ গ্রাম মতন, ফলে স্বাদেও অমৃত হবে বললে ভুল হবে না। বৃহস্পতিবার সর্বশেষ চালানে ১৯৭ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
শার্শা উপজেলা মৎস্য আধিকারিক আবুল হাসান জানিয়েছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দুই দফায় ১৩ জন রপ্তানিকারককে মোট ১ হাজার ৮৭৫ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ১২ মেট্রিক টনের ইলিশের প্রথম চালান ভারতে রপ্তানি হয়। ৮ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় সর্বশেষ চালানে ১৯৭ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানি হয়।
এবছর বাংলাদেশে পদ্মা মেঘনা সহ সাগরে প্রচুর পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়েছে। যে মাছের দাম খুবই কম। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১,১০০ টাকার মধ্যে, আর তার কম ওজনের মাছের বাজার মূল্য ৬০০ টাকা। কাঙ্খিত দাম না পাওয়ার জন্য ওপার বাংলার মৎস্যজীবীরা খুশি হচ্ছেন না, তাই এ বছর ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্য
চিটফান্ড-কাণ্ডে এবার পিসি সরকার জুনিয়রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি!
নিজস্ব প্রতিনিধি : শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হাজির হলেন পিসি সরকার জুনিয়রের মুকুন্দপুরের বাড়িতে। তল্লাশি চালানোর জন্যেই তাদের ওই বাড়িতে যাওয়া। তবে কী কারণে এই তল্লাশি অভিযান, তা অবশ্য সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়নি। মুখে কুলুপ এটেছেন পিসি সরকারের পরিবারের সদস্যরাও।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্তে ৪টি জায়গায় তল্লাশি চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই ৪টি বাড়ির মধ্যে একটি হল জুনিয়র পিসি সরকারের বাড়ি।
একটি রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে জুনিয়র পিসি সরকারের ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির সময় তিনি টাওয়ার গোষ্ঠী থেকে টাকাও নিয়েছিলেন। রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে যে চুক্তি, তার বাইরে অন্য কোনও ভাবে টাকা লেনদেন হয়েছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সিবিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার মুকুন্দপুরের পূর্বালোকের বাড়িতে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। টাওয়ার গ্রুপের সঙ্গে কী ভাবে তার চুক্তি হয়েছিল, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।