দেশ
বিয়েতে গিফট এর পরিবর্তে কৃষকদের জন্য ডোনেশন বক্স, অনন্য নজির পাঞ্জাবের দম্পতির!
নিজস্ব প্রতিনিধি : ভারতে কৃষি আন্দোলনের রেস বাড়তেই আছে। অনেক চেষ্টা করেও সরকার কৃষকদের দমাতে পারেনি। কোনও রকম সমঝোতা তে নারাজ কৃষকেরা। তাঁদের দাবি না মানলে আন্দোলন আরও বড়ো করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। কৃষকদের পাশে দাড়িয়েছে আমাদের দেশের বৃহদাংশ। গায়ক থেকে নায়ক সকলেই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
তাঁদের সহযোগিতার জন্য অভিনব উদ্যোগ পঞ্জাবের এক দম্পত্তির। তাঁরা তাঁদের বিয়েতে কোনও রকম গিফট নিতে অস্বীকার করে। পরিবর্তে তাঁরা কৃষকদের সাহায্যার্থে এক ডোনেশন বক্স এর ব্যবস্থা করেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের রাজধানী থেকে ২০৫ কিলোমিটার দূরে মুক্তসার -এ।
ঘটনাটি জন প্রকাশ্যে আসে একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর। সেই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে নব্য বিবাহিত এই দম্পতি তাঁদের বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের উপহার দিতে বারণ করছেন। পরিবর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন কৃষি আইন বাতিল করার দাবিতে চলতে থাকা কৃষি আন্দোলনে সামিল হতে বলছেন। সেই সমর্থনেই তাঁদের থেকে কৃষকদের জন্য চেয়ে নিচ্ছেন কিছু অনুদান।
এই উদ্দেশে তাঁরা একটি অনুদান বাক্স’র ব্যবস্থা করেন। তাঁরা আবেদন করেন কৃষকদের জন্য বিশেষ অনুদানটি যেন এই অনুদান বাক্সে ফেলা হয়। এই অর্থ সাহায্য দেওয়া হবে নিজেদের দাবিতে অনড় থাকা কৃষি আন্দোলনে শামিল কৃষকদের।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।