দেশ
এবার কৃষকদের আন্দোলন সমর্থনে পদত্যাগ করলেন পঞ্জাবের ডিআইজি।
নিজস্ব প্রতিনিধি : সারা দেশ জুড়ে কৃষি আন্দোলনের সমর্থন বাড়তেই আছে। তাঁরা কৃষক, তাঁরা আমাদের অন্নদাতা। এই কঠিন সময়ে তাদের পাশে না দাড়ালে নিজেদের মানুষ বলে পরিচয় দেব কী করে? এই যুক্তিতেই তাঁদের পাশে আজকে দেশের বৃহদাংশ। নিজেদের সামর্থ মত আট থেকে আশি সকলেই এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন নিজেদের দাবিতে অনড় থাকা কৃষকদের দিকে।
কৃষি আন্দোলনের সামিল কৃষকদের একটা বড় অংশ পঞ্জাবের। তাই পাঞ্জাব প্রদেশের সমর্থন প্রথম থেকেই পেয়ে আসছে এই আন্দোলন। বহু ক্রীড়াবিদ নিজেদের সম্মান পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন কৃষকদের সমর্থনে। এবার তাঁদের সমর্থনে পদত্যাগ করলেন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল ক্যাপ্টেন লক্ষমিন্দর সিং জাখার। (Capt. Lakhminder Singh Jakhar)
তিনি তাঁর পদত্যাগপত্রে জানিয়েছেন যে নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে চলতে থাকা আন্দোলনে শামিল হওয়া কৃষক ভাইদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি পদত্যাগ করছেন। এই আইন কৃষক এবং তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ক্ষতিকারক।
ক্যাপ্টেন লক্ষমিন্দর সিং এর পোস্টিং চণ্ডীগড় এ। তিনি আগামী ২০২২ সালে অবসর গ্রহণ করতেন। তবে দেশ জুড়ে চলতে থাকা কৃষি আন্দোলনের সমর্থনেই তিনি তাঁর সময়ের আগেই পদত্যাগ করছেন বলে তিনি এক ইংরেজি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।