রাজ্য
‘মুখ নয়, প্রয়োজনে হাত চালাতে পারি’, হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের!
নিজস্ব প্রতিনিধি : পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাপ। রাজ্য তৃণমূল ভাঙন অব্যাহত। নন্দীগ্রামের পরিচিত মুখ শুভেন্দু অধিকারী যোগ দিয়েছেন বিরোধী দলে। আর এই সিঙ্গুর তৃণমূলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা রাজ্যবাসীর অজানা নয়। কাজেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের প্রার্থী তিনি নিজেই।
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণার পরই বিজেপি তাকে নিশানা করেছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কার্যত চ্যালেঞ্জের সুরে জানিয়েছেন, “সেফ সিট খুঁজতে নন্দীগ্রামে দাঁড়াচ্ছেন। আমাদের কোনও মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করার দরকার নেই। জেনে রাখুন, ২৩ মে নবান্নে বসবেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীই।”
এরপর তিনি কার্যত বলে বসেন, “লোকে আমাকে দুর্মুখ বলেন। শুধু মুখ কেন, প্রয়োজনে আমি হাতও চালাতে পারি।”
রাজ্য বিজেপি নন্দীগ্রামে মমতার জনসভার পালটা হিসেবে টালিগঞ্জ থেকে রাসবিহারি পর্যন্ত মহামিছিল করে। সামনের সারিতে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতারা মিছিল শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো আক্রমণ শানিয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য, শুভেন্দু অধিকারীও নিজের গর নন্দীগ্রামে মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন।
রাজ্য
চিটফান্ড-কাণ্ডে এবার পিসি সরকার জুনিয়রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি!
নিজস্ব প্রতিনিধি : শুক্রবার সকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা হাজির হলেন পিসি সরকার জুনিয়রের মুকুন্দপুরের বাড়িতে। তল্লাশি চালানোর জন্যেই তাদের ওই বাড়িতে যাওয়া। তবে কী কারণে এই তল্লাশি অভিযান, তা অবশ্য সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়নি। মুখে কুলুপ এটেছেন পিসি সরকারের পরিবারের সদস্যরাও।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্তে ৪টি জায়গায় তল্লাশি চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই ৪টি বাড়ির মধ্যে একটি হল জুনিয়র পিসি সরকারের বাড়ি।
একটি রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে জুনিয়র পিসি সরকারের ব্যবসায়িক চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তির সময় তিনি টাওয়ার গোষ্ঠী থেকে টাকাও নিয়েছিলেন। রেস্তরাঁ নিয়ে টাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে যে চুক্তি, তার বাইরে অন্য কোনও ভাবে টাকা লেনদেন হয়েছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সিবিআই সূত্রে খবর, শুক্রবার মুকুন্দপুরের পূর্বালোকের বাড়িতে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। টাওয়ার গ্রুপের সঙ্গে কী ভাবে তার চুক্তি হয়েছিল, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।