তিলোত্তমা
পরিবেশ কে সাথে নিয়ে e-গতিশীলতার জন্য তিলোত্তমা টুপিতে নতুন পালক।
• কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে কলকাতার মুকুটে নতুন পালক সংযোজন
•৮০ টি ই-বাস চলছে কলকাতায়নিজস্ব
প্রতিনিধি : তিলোত্তমা কলকাতার টুপিতে নতুন পালক। করোনার দাপট কে দূরে সরিয়ে এক নতুন সুখবর। International Energy Agency (IEA) – Global Electric Vehicle Outlook (GEVO) 2020 সোমবার প্যারিসে এটি ঘোষণা করে, যে কলকাতা ভারতবর্ষের মধ্যে একমাত্র শহর যারা দক্ষতার সঙ্গে ইলেকট্রিক বাস গুলিকে গ্রাহকদের মধ্যে চালনা করছে।আপাতত বিভিন্ন রুটের আশিটা ইলেকট্রিক বাসের সমাহার West Bengal Transport Corporation (WBTC) এ।
রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী সুভেন্দু অধিকারী জানান, “আমরা রাজ্যে একটি স্মার্ট, পরিষ্কার, এবং পরিবেশ বান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা সরবরাহ করতে এবং ক্লিনার জ্বালানীতে চালিত যানবাহন চালু করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার ফলে কার্বন পদচিহ্ন হ্রাস পেয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে এই পদক্ষেপটি পার্টিকুলেট ম্যাটারকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবেএবং নাগরিকদের পরিষ্কার বায়ু শ্বাস নিতে সহায়তা করবে “।
পরিবহন করপোরেশন সূত্রে খবর ২০৩০ এর মধ্যে সমস্ত বাস গুলিকে প্রায় ৫০০০ ইলেকট্রিক বাসে পরিণত করতে তারা প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। যা দিয়ে কলকাতাকে আরো দূষণমুক্ত করে তোলা যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
রাজ্য পরিবহন বিভাগের প্রধান সচিব প্রভাত কুমার মিশ্র আরও জানিয়েছেন, “কলকাতা ই-গতিশীলতার দিকে এগিয়েছে এবং আমরা উন্নত পরিবেশের জন্য এটি বাড়িয়ে তুলতে চাই। আমি IEA এবং TERI ভারতের একমাত্র শহর হিসাবে কলকাতা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এবং তার বৈদ্যুতিক সিটি বাসগুলির সফল অপারেশন প্রদর্শনের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
রিপোর্ট থেকে আরও জানা যায় যে কলকাতায় সুদক্ষ ভাবে এই ৮০ টি ইলেকট্রিক বাস চালানোর পেছনে রয়েছে তার চার্জিং ব্যবস্থা। যা দ্রুত এবং চার্জিং ব্যবস্থাকে আরও সুস্থ করে তুলেছে। কলকাতায় প্রথম নিউটাউনে এই ইলেকট্রিক্যাল বাসের যাত্রা শুরু। সেই রুটে তিনটে বাস সমানভাবে তার পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে।
তিলোত্তমা
পোষ্যদের রক্তের তথ্য ব্যাংক তৈরি হল কলকাতায়।
নিজস্ব প্রতিনিধি : মানুষের মতো পশুরাও প্রাণী, তাদেরও বিপদ হয়, রোগ হয়, দরকার পড়ে চিকিৎসার। তবে পোষ্যদের চিকিৎসা করতে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। তার মধ্যে জরুরি ক্ষেত্রে রক্তের অভাবের সমস্যা হয়। এবার সেই সমস্যার কিছুটা হলেও সমাধান হল কলকাতায়।
বিএই ১.১, বিএই ১.৭, বিএই ২.২, এগুলো সবই রক্তের গ্রুপ। এগুলি সারমেয়দের রক্তের গ্রুপ। তাদের শরীরে মিলেছে এমনই তেরোটি গ্রুপের রক্ত। আর এই রক্তের গ্রুপের জন্যই ডেটা ব্যাংক তৈরি হল কলকাতায়। মঙ্গলবার থেকেই এই তথ্য ব্যাংকের কাজ শুরু হয়েছে। এই অভিনব পদক্ষেপ নিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার অনিল রায় রোডের একটি বেসরকারি পশু হাসপাতাল।
সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, “পোষ্যরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে বা অন্য কোনও কারণে “ব্লাড লস” হতে পারে, সেক্ষেত্রে ঘাটতি মেটাতে মানুষের মতোই রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু কুকুরদের ক্ষেত্রে রক্তের গ্রুপ বেশি হওয়ায় চটজলদি সঠিক গ্রুপের রক্ত খুঁজে পাওয়া কঠিন। রক্তের তথ্য ব্যংক হাতে থাকলে রক্তদাতার জন্য আর ছোটাছুটি করতে হবে না। পোষ্যের মালিককে ফোন করলেই সমাধান মিলবে। সেই চিন্তাভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, পোষ্যদের ক্ষেত্রে মান্ধাতার আমলের পদ্ধতি অবলম্বন করা হতো। অর্থাৎ দাতা ও গ্রহীতার রক্তের দু ফোঁটা স্লাইডে নিয়ে সেগুলো মিশিয়ে দেখা হতো জমাট বাঁধছে কি না। এই ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর’ পদ্ধতি সময় সাপেক্ষ।