দেশ
“দেশের সবার ভোটাধিকার থাকা উচিত নয়…”-মত প্রকাশ বিজয় দেভারাকন্ডার।
নিজস্ব প্রতিনিধি : গণতন্ত্রের সংজ্ঞা কী? দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের অভিনেতা বিজয় দেভারাকণ্ড সম্প্রতি ফিল্ম কোম্পানিয়ন কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাজনীতি বিষয়ক কিছু মতামত প্রকাশ করলেন। তাঁর কথায় উচ্চস্তরের নেতা মন্ত্রীদের নির্বাচনে দেশের সমস্ত জনগণের নিজস্ব কোনো ভোট দানের অধিকার থাকাই উচিত নয়।
হঠাৎ বিজয়ের এরকম মত প্রকাশের কি কারণ? আমাদের দেশ যেখানে একটি গণতান্ত্রিক দেশ বলে পরিচিত। একটি নির্দিষ্ট বয়েসের উর্দ্ধে সবার ভোট দেওয়ার অধিকার আছে সেখানে এমন ভিন্ন মত প্রকাশের কোনো গভীর কারণ?দেভারকণ্ড আলোচনা করতে করতে বলেন যে, “রাজনীতি ব্যপারে তার বরাবরই ধৈর্য কম। এই সম্পূর্ণ ব্যবস্থাটি যে কখন কোন মোড় নিয়ে বসে সেটাই বোঝা কঠিন। আর কী বিষয়ে দাড়িয়ে আমরা নেতা নির্বাচনকরে থাকি সেটাও অর্থহীন”।
নিজের কথাটি আরো পুঙ্খানপুঙ্খভাবে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন যে “উদাহরণ স্বরূপ ধরুন, বোম্বে যাওয়ার জন্য আপনি একটি প্লেন এ বসেছেন তখন কি আমরা ঠিক করব যে কে প্লেনটি চালাবেন? প্লেন এ বসেথাকা সেই ৩০০ জন যাত্রী নিশ্চই ভোট দেবে না কে আমাদের প্লেন চালক হবেন? এয়ারলাইনস্ এর বড়ো বড়ো এজেন্সি ঠিক করে দেবে কোন ব্যক্তি দক্ষ, কার মধ্যে সেই সাহস আছে। ঠিক না?”
এই সমাজে দাঁড়িয়ে সবাই এখন সরকারের কেনা গোলাম। বিজয় দেভারাকণ্ড র কথায় সমাজে থাকা মধ্যবিত্ত মানুষদের থেকেই সমাজ পাল্টানোর আসা করা যায়। তারা শিক্ষিত সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে নিজেদের বিক্রি করে দেবে না। এদেরই একমাত্র সঠিক নেতা নির্বাচন করায় অধিকার থাকা উচিত।
রাজনীতির মধ্যে ঘটা দুর্নীতির অভিযোগ প্রায়দিনই উঠে আসে। যেখানে ভালো মানুষদেরও ভালো ভাবে কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়। এবং এখন তো ভোট বিক্রিও পর্যন্ত হয়। এই সময়ে দাঁড়িয়ে অর্জুন রেড্ডির একটাই কথা, যদি কখনো রাজনীতি জগতে তার প্রবেশ ঘটে তাহলে তিনি একনায়কতন্ত্র প্রয়োগ করবেন। তাহলেই সমাজে পরিবর্তনের প্রকাশ ঘটবে। সবাইকে শান্ত করে তিনি বলবেন হ্যাঁ, ভালো উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি এসেছেন। তার কথায় একনায়কতন্ত্র এ শাসন করাই একমাত্র পথ। তবে অবশ্যই নায়ককে অবশ্যই ভালো হতে হবে।
আজ গোটা দেশ গণতন্ত্রের মৃত্যু নিয়ে শঙ্কিত, এমতাবস্থায় এরকম মতামত বিতর্কের সৃস্টি করবে না তো?
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।