দেশ
সম্পদ ঘোষণাপত্র প্রকাশ, সম্পদ মূল্য বৃদ্ধি প্রধানমন্ত্রী-র, তবে হ্রাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।
নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেওয়া সর্বশেষ সম্পদ ঘোষণাগুলি প্রকাশ করেছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিট সম্পদ গত বছরের তুলনায় এ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সম্পদ হ্রাস পেয়েছে।২০ শে জুন, ২০২০-তে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিট সম্পদ প্রায় ২.৮৫ কোটি টাকা,যা ২০১৯ সালে ঘোষিত সম্পদের প্রায় ২.৯৯ কোটি টাকার চেয়ে বেশি। গত এক বছরে প্রায় ৩.৩ লক্ষ টাকার ব্যাংক আমানত এবং ৩৩ লক্ষ টাকার নিরাপদ বিনিয়োগে রিটার্নের কারণে তাঁর সম্পদ প্রাথমিকভাবে বেড়েছে, বলে জানা গেছে।
২০২০ সালের জুনের শেষদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতে নগদ হিসাবে কেবল ৩১,৪৫০ টাকা এবং এসবিআই গান্ধীনগর এনএসসি শাখার কাছে ৩,৩৩,১৭৩ টাকা ব্যাংক ব্যালেন্স ছিল। ব্যাঙ্কের একই শাখায় এফডিআরএবং এমওডির-এ ১,৬০,২৮,৯৩৯ টাকা ছিল। প্রধানমন্ত্রী কোনও লোন নেননি এবং তাঁর নামের বিরুদ্ধে কোনও ব্যক্তিগত যানবাহন নেই । তাঁর হাতে প্রায় চারটি সোনার আংটি রয়েছে, যার ওজন প্রায় ৪৫ গ্রাম এবং মূল্য দেড় লাখ টাকার কাছাকাছি।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর ঘোষণাপত্রে আরও প্রকাশিত হয়েছে যে, তিনি যৌথভাবে গান্ধীনগরের সেক্টর -১ এ একটি প্লটটের মালিক, যার পরিমাপ ৩,৫৩১ বর্গফুট। এই ঘোষণার শেষে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেনযে গান্ধীনগর সম্পত্তি অন্য তিনজন যৌথ মালিকের অধীনে রয়েছে, যাতে প্রত্যেকেরই সমান অংশ ২৫ শতাংশ রয়েছে। গত বছরের তুলনায় প্রধানমন্ত্রী মোদী কিছুটা সমৃদ্ধ হলেও ধনী গুজরাটি পরিবারের অন্তর্ভুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মোট মূল্য হ্রাস পেয়েছে।শেয়ারের বাজারে অস্থিরতা এবং বাজার দুর্বল থাকার কারণে শাহের ইক্যুইটি কমে গেছে।
২০২০ সালের জুন পর্যন্ত শাহের সম্পদের পরিমাণ ছিল ২৮.৬৩ কোটি টাকা, তবে গত বছর ঘোষণা করা সম্পদের পরিমাণ ছিল ৩২.৩ কোটি টাকা। বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।শাহের ১০ টি অস্থাবর সম্পত্তি আছে এবং সেগুলি সব গুজরাটে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় বলা হয়েছে, তাঁর মালিকানাধীন সম্পত্তি এবং তার মায়ের কাছ থেকে ভাগ করা উত্তরাধিকারের মূল্য ১৩.৫৬ কোটি টাকা।
অমিত শাহের হাতে নগদ ১৫,৮১৪ কোটি টাকা, ব্যাংক ব্যালেন্স ও বীমা হিসাবে ১.০৪ কোটি টাকা, পেনশন পলিসি ১৩.৪ লক্ষ টাকা, ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমগুলিতে ২.৭৯ লক্ষ টাকা এবং ৪৪.৪৭ লক্ষ টাকার গহনারয়েছে।তাঁর স্ত্রী সোনাল অমিত শাহের সম্পদ গত বছর নয় কোটি টাকা থেকে কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে এখন ৮.৫৩ কোটি টাকা। এখন তাঁর হাতে থাকা উদ্ধৃত সিকিওরিটির বাজার মূল্য ৪.৪ কোটি টাকা থেকে কমে ২.২৫কোটি টাকা হয়েছে। এই দম্পতির কাছে এখন তাদের নামের নতুন সম্পত্তি রয়েছে তার মূল্য ১.৩৬ কোটি টাকা।
তাঁর হাতে থাকা উদ্ধৃত সিকিওরিটির বাজার মূল্য হ্রাসের কারণে এ বছর শাহের সম্পদের নেট মূল্যও হ্রাস পেয়েছে।তবে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নিট সম্পদের মূল্য গত বছর ছিল ২.৯৭ কোটি টাকা, এ বছরও তা একই রয়েছে।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।