দেশ
পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে! প্রতিশোধে মেয়ের চারটে আঙুল কেটে নিল বাবা-ভাই।
নিজস্ব প্রতিনিধি : একবিংশ শতাব্দীতে এসেও আমাদের দেশে মেয়েদের স্বাধীনতা যেন এখনও ১০০ বছর পিছিয়ে আছে। পরিবারের অমতে বিয়ে করার জন্য ‘শাস্তি’ (honour killing) দেওয়া আমাদের দেশে নতুন না। সময় সময় বর্বরতার সীমা ছাড়িয়ে যায় কিছু ঘটনা। এমনি এক হাড় হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের চামারাজনগর জেলার হানুর তালুকে। পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে করার জন্য মেয়েরা আঙ্গুল কেটে নিল পরিবারের লোকেরা! মেয়েটির নাম ধনলক্ষ্মীর তার ‘অপরাধ’ ছিল তিনি এমন এক জনকে ভালবাসতেন, যাকে নিয়ে তার পরিবারের আপত্তি ছিল।
বছর চব্বিশের ওই যুবতী কিন্তু শত বিরোধিতা-লাঞ্ছনা-গঞ্জনা সত্ত্বেও নিজের ভালবাসাকে ছাড়তে চাননি। তাই তার হাতের চারটি আঙুল কেটে দিয়েছেন বাবা ও ভাইয়েরা। এ ঘটনার পর কর্নাটকের পুলিশ জানিয়েছে, সত্য নামে এক যুবককে ভালবাসেন ধনলক্ষ্মী। গত দু’বছর ধরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এ বার তারা বিয়ে করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু বাদ সাধেন ধনলক্ষ্মীর পরিজনেরা। অনেক বোঝানো, বকাবকি-হুমকির পরেও টলানো যায়নি ওই যুবতীকে। ধনলক্ষ্মী ও সত্য ঠিক করেছিলেন, সোমবার তারা বিয়ে করবেন। সেই খবর পেয়ে গিয়েছিল যুবতীর পরিবার।
ধনলক্ষ্মী ইতিমধ্যেই বাড়ি ছেড়েছিলেন। গত শনিবার তার বাবা ও ভাইয়েরা ধনলক্ষ্মীকে স্থানীয় একটি ওষুধের দোকানে দেখতে পান। সেখানে গিয়ে মেয়েকে একপ্রস্থ বোঝানোর চেষ্টা করেন বাবা ও ভাইয়েরা কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কিছু ক্ষণের মধ্যেই উভয় পক্ষের বাদানুবাদ শুরু হয়। আচমকা দুই ব্যক্তি ওই যুবতীর দু’হাত চেপে ধরে এবং ভাই ও বাবা মিলে তার চারটি আঙুল কেটে দেন।
পরিস্থিতি লাগামের বাইরে যাচ্ছে দেখে সেই সময় ঘটনা স্থলে এলাকার লোকজন সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়ে ওই যুবতীকে উদ্ধার করেন। স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
দেশ
কৃষি আন্দোলনে মৃতের তথ্য দিতে ব্যর্থ কেন্দ্র, মিলবে না ক্ষতিপূরণও!
নিজস্ব প্রতিনিধি : বেশ কিছু মাস ধরে দেশে চলছে কৃষি আন্দোলন। নতুন কৃষি আইন তুলে নেওয়ার দাবিতেই কৃষকদের এই বিরোধ। নানান সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে কৃষকদের আলোচনা সভা হলেও মেলেনি কোন সমাধান। কেন্দ্র বা কৃষক কেওই নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই আন্দোলন রুখতে মরিয়া সরকার। কাজের বহু কৃষক নিজেদের প্রাণ ত্যাগ করেছেন এই আন্দোলনে।
কিন্তু দিল্লির সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের কতজন এখনও পর্যন্ত মারা গিয়েছেন সে বিষয়ে কোন নথি নেই মোদি সরকারের কাছে। গত মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। আন্দোলনে যে সমস্ত কৃষক প্রাণ ত্যাগ করেছেন তাদের কৃষকেরা ‘শহিদ’ বললেও কেন্দ্রের কাছে তারা তা নন। কাজেরই মৃতদের পরিবারকে সরকারের তরফে দেওয়া হবে না কোনও রকম ক্ষতিপূরণ।
মূলত গত মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন দিল্লি সীমানায় চলতে তাহলে কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-সহ ২৯ সাংসদ বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তাদের সেই প্রশ্নের উত্তরেই কেন্দ্রের তরফে এই সমস্ত তথ্য গুলি জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, এখন অব্দি ১১ দফা কেন্দ্র-কৃষি বৈঠক হয়ে গেলেও কতগুলি কৃষি সংগঠন এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত সেই বিষয়েও তথ্য নেই কেন্দ্র সরকারের কাছে।