Uncategorized
ফেভারিট কেবিন ও উত্তুরে আবেগ : কিছু কথা
অনুপম চৌধুরী : কয়েক’শো দশক ধ’রে অগণিত ইতিহাসের সাক্ষী উত্তর ও মধ্য কোলকাতা আভিজাত্যের পীঠস্থান। বিশালকায় বাড়ি, প্রাসাদোপম সে বাড়ির অন্দরমহল। সে বাড়ির দালান, হেঁসেল, বৈঠকখানা, কলতলা বাচ্চাদের,মায়েদের, কর্ত্তাদের, পরিচারক-পরিচারিকাদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে থাকত। সে বাড়ির বাইরে ‘রোয়াকে’ বসত পাড়ার বিদ্বজনেদের ঠেক, যেখানে চলত খেলা, সিনেমা, রাজনীতি, সমাজব্যবস্থা, পুস্তক সমালোচনা প্রভৃতি বহুবিধ গুরুতর বিষয়ে গুরুগম্ভীর আলোচনা।
আরও কিছু মানুষ, যাঁদের আড্ডার সাথে চা-বিস্কুট বা নোনতার প্রয়োজন পড়ত, তাঁরা ধারেকাছের ‘কেবিনে’ যেতেন। প্রায় প্রতিটি পাড়াতেই একটি দুটি এ জাতীয় কেবিন ছিল। কিছু কেবিনে মিলত চা-বিস্কুট-কেক-টোষ্ট, আবার কিছু কেবিনে এসব ছাড়াও চপ-কাটলেটের ব্যবস্থা থাকত। এই স্থানগুলিতে বহু খ্যাতনামা বিপ্লবী, সাহিত্যিক, গায়ক, নাট্যকার, সুরকার, চিত্রপরিচালক, বিজ্ঞানীদের আনাগোনা ছিল।
এই জায়গাগুলিতেই চায়ের কাপে চুমুকের সাথে সাথে বিদেশী শাসকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষিত হয়েছে, বহু কালজয়ী গান সুরারোপিত হয়েছে, বহু নাটকের সংলাপ লেখা ও সম্পাদিত হয়েছে, বহু বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব দৃঢ় ভিত্তি লাভ করেছে। সহস্রাধিক বিচ্ছেদ ও মিলনের সাক্ষী থেকেছে এই সুপ্রাচীন বিশ-ইঞ্চির গাঁথনি ও কড়ি বর্গার ছাদওয়ালা ঘরগুলি।
এই কেবিনগুলির অধিকাংশই আজ বন্ধ হয়ে গেছে, যেগুলি টিকে আছে সেগুলিও বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে। সম্প্রতি, বইপাড়া সংলগ্ন ফেভারিট কেবিন সম্বন্ধেও এমন কথা শোনা যাচ্ছে যে সেটিও নাকি উঠে যাওয়ারমুখে।
প্রায় শতাব্দী প্রাচীন এই কেবিনে নয়-দশটি ছোটো মাপের চৌকোণা টেবিল দেওয়াল ঘেঁষে পর পর লাগানো রয়েছে। তার তিন দিকে পাতা রয়েছে তিনটি চেয়ার, কিছু কাঠের আর কিছু প্লাস্টিকের। দোকানটির একদমভিতর দিকটা খানিকটা আলো-আঁধারি, সেখানে জনা পাঁচেক কর্মচারী চা, টোষ্ট বানিয়ে চলেছে।
এখানকার আরও এক বিখ্যাত ও সুস্বাদু খাবার হ’ল পান-কেক, অর্থাৎ পান পাতার আকৃতির কেক। সন্ধ্যা হলেই প্রতিটি টেবিল জুড়ে বসে আড্ডা। কোনোটিতে প্রবীণ-প্রবীণারা, কোনোটিতে প্রেসিডেন্সি বা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা বা অধ্যাপক অধ্যাপিকারা আবার কোনোটিতে অন্য একটি দল যারা কলেজষ্ট্রীট গেছিল বই কিনতে। কাপ-ডিশে চা পরিবেশন থেকে শুরু করে ক্যাশ-টেবিলে রাখা মুখসুদ্ধি, সবকিছুতেই রয়েছে আভিজাত্যের ছাপ।
৬৯বি, সূর্য্য সেন ষ্ট্রীটের এই ঐতিহ্যশালী ফেভারিট কেবিনের সাথে আমার পরিচয় যাঁর হাত ধ’রে, তিনি হলেন বিরল পুস্তক সংগ্রাহক ও বিক্রেতা শ্রী পরিতোষ ভট্টাচার্য্য মহাশয়। তিনিই বলেছিলেন যে- কোলকাতার বুকে এসব আর তেমন একটা নেই, এটা চিনে রাখো। তাঁর কাছেই শোনা, কালান্তরে বহু শরিক হয়ে যাওয়া ও তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকার প্রভাব পড়েছে দোকানগুলির উপর।
শুধুমাত্র ব্যবসাক্ষেত্রেই নয়, উত্তর ও মধ্য কোলকাতার অধিকাংশ সেকালের বাড়িই শরিকদের মধ্যে বাড়বাড়ন্ত মনোমালিন্যের কারণে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভগ্নপ্রায়। সে বৈঠকখানার পাখায় ঝুল জমেছে, হেঁসেলে আর ভাত চাপে না, খাবার আসে রেস্তোরাঁ থেকে। আর, বাঙালি পারিবারিক ঝুট-ঝামেলা মেটাবার পশ্চিমী পন্থা অবলম্বন করে বাড়িগুলি তুলে দেয় প্রোমোটারদের হাতে। সেখানে তৈরী হয় দশ-বারো তলার অ্যাপার্টমেণ্ট। সমস্ত অংশীদার নিজ নিজ পাওনা বুঝে নিয়ে ক্ষান্ত হয়। বাসা পরিণত হয় খাঁচায়, কুলায় পরিণত হয় পিঞ্জরে।
কিছু বাড়ি এখনও অবশিষ্ট রয়েছে। সেকালের বিদ্বজনেদের যাঁরা জীবিত আছেন, তাঁরা এখনও কোনো একসময় এসে সেই রোয়াকে বসেন।আড্ডাও চলে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আড্ডার বিষয়বস্তুও বিস্তর পরিবর্তিত হয়েছে। এখন তাঁরা নবীনচন্দ্র সেন’কে অনুসরণ করে বলেন – “কালি যেই স্থানে ছিল বৈজয়ন্ত ধাম, আজি দেখি সেই স্থানে বিজন কানন”।
Uncategorized
মে পল দো পল কা শায়ের হু…
সৌমেন্দু বাগ : ২০০৭। রক্তক্ষয়ী একটা বিশ্বকাপ অতিক্রম করে দেশে আসছে একটা ক্রিকেট দল। জনতার রোষ, মিডিয়ার চাবুকের আঘাতে ভারতের ক্রিকেটবিধাতার দেহ থেকে চুইয়ে পড়ছে রক্ত।সেই রক্তফোঁটা কুড়িয়ে নিচ্ছেন ভারতের বুকে নীরবে বেড়ে চলা একটা ছেলে, কাছ থেকে দেখেছেন অনেককিছু, চুপ করে শিখছেন লড়াই এর বানান। তারপর… তারপর তিনি লড়েন। সমস্ত কটূক্তি, বিদ্বেষ, সমালোচনা কে মাঠের বাইরে ফেলে এসে বল তুলে দেন যোগীন্দর শর্মাদের হাতে, বিশ্বকাপ তুলে দেন ভারতবাসীর হাতে, জার্সি টা খুলে দেন এক বাচ্চাকে আর নিজে রেখে দেন অফস্টাম্পের উইকেটটি।
হ্যাঁ, তিনি অধিনায়ক। কপিল-রাহুল -সৌরভ এর এঁকে যাওয়া বৃত্তচাপের শেষবিন্দু থেকে যেদিন তিনি শুরু করলেন তাঁর যাত্রা, তিনি জানতেন এই মাঠ কুরুক্ষেত্র। সে যেমন যুধিষ্ঠিরের রথের চাকা কে আকাশে ভাসায়, তেমনই কর্নের চাকা বসিয়ে দেয়। তাই তিনি হয়ে উঠতে চাইলেন কৃষ্ণ। তাঁর একহাতে ভারতের রথের দড়ি , অন্যহাতে রক্ষক ব্যাট।
২০০৭ এর দুর্ঘটনার পর থেকে দু-দুটো বিশ্বকাপ জয়, টেস্ট ক্রিকেটে এক নম্বর স্থান, ম্যাচ ফিক্সিং এর অভিযোগের মধ্যেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, উইকেট কিপিংয়ে বিশ্বসেরা হয়ে ওঠা, দলে ফিটনেসের গুরুত্ব আরোপ করা -এককথায় এত সব কৃতিত্বের অধিকারী হয়ে একটা মানুষের ‘ messiha’ হয়ে ওঠা খুব স্বাভাবিক নয় কি? যা ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের চিরাচরিত প্রথা। কিন্তু সেখানেই তো তিনি আলাদা। সবকিছুই যার ‘ habitually paradoxical’ তিনি তা মানেবন কেন? যিনি বলতে পারেন, ‘ স্টার, বড় প্লেয়ার এসব কোনো শর্ত হতে পারে না, একমাত্র যোগ্যতা হলো তুমি ফিট কিনা!’ তিনি কেন আঁকড়ে পরে থাকবেন স্বীকৃতির জন্য। বনস্পতি ক্লান্ত পথিককে ছায়া দান করে প্রতিদানের প্রত্যাশা করে না।
তাইতো বিশ্বকাপ জয়ের পরের দিন ন্যাড়া হয়ে যেতে পারেন,কাউকে কিছু না বলে বিয়ে করে নিতে পারেন, দেশের কোচ কে অবধি অবাক করে অবসর নিয়ে নিতে পারেন, মানুষের বুকে একটু একটু করে আশার সৃষ্টি করে হঠাৎ রান আউট হয়ে যেতে পারেন… “I won’t be surprised if he just walks away from the game and never comes back.” তবু কোথাও মনে হয় যেন পুরোটা এক্সটেম্পোর নয়, জাস্ট মাঠে গিয়ে ঘটে যাওয়া হতে পারে না। নইলে কোনো অনভ্যস্ত কবি এভাবে ছন্দ মিলিয়ে একটা কবিতা লিখতে পারে? জন আব্রাহাম একবার বলেছিলেন , ” মাহি নিজেকে ইন্ডিয়ান আর্মির একজন লেফটেন্যান্ট হিসেবে ভাবে। যে সীমান্তে দেশের জন্য যুদ্ধ করছে।” আমরাও তার সংকেত তাঁর ক্যামফ্লাজ কিটব্যাগ, ট্রাউসার, গ্লাভস;বন্দুক, বাইকের প্রতি অবসেশন এসব আচার আচরণে লক্ষ্য করেছি। তাইতো লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত হওয়ার রাতে তিনি সারারাত উনিফর্ম পরেই থাকেন। লাইসেন্স করানো বন্দুক নিয়ে সবসময় ঘোরেন।খুব স্বাভাবিকভাবেই সৈন্যদলের শৃঙ্খলা,কঠোর অনুশীলন, ফিটনেস থেকে অবশ্যই লড়াকু মনোভাব তাঁর জীবনে প্রভাব বিস্তার করেছে।
দুহাজার ছয়ের ফয়সালাবাদ টেস্ট। সবুজ গালিচায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন শোয়েব। চার উইকেট পর যখন লম্বা সোনালী চুলের মাহি নামছেন, উল্টোদিকে তখন সচিন। এসময় সিনিয়রের কাজ হয় পেস আট্যাক সামলে নতুন ব্যাটসম্যান কে নন স্ট্রাইকে রাখা। কিন্তু সচিন তা করেননি সেদিন। সবাই ভেবেছিল এই অবস্থায় কয়েকটা হুক, হয়ত একটা ছয়, তারপর মিস টাইমিঙ্গে বোল্ড। অথচ ধোনি কামড়ে পরে থাকলেন,শেষ করলেন সেঞ্চুরিতে। সবাইকে অবাক করে দেওয়ার সেই শুরু বোধহয়। দ্রাবিড় বলেছিলেন, “জীবনে যত কাউন্টার পানচিং হান্ড্রেড দেখেছি, এটা অন্যতম সেরা ।”কমান্ডো দের মতোই তার লড়াই। মরো বা মারো। পালানোর কোনো পথ নেই। তাই কখনো কোমড়ে ব্যাথা বা ভাঙা আঙ্গুল লড়াইয়ের পথে অজুহাত হয়ে দাঁড়ায়নি।
আজ এত সাফল্য, স্টারডম থাকলেও মাহির শুরুর পথটা মোটেও মসৃন ছিল না। শুধুমাত্র দলে ঢোকা অবধি নয়, তার পরেও। লম্বা লম্বা সোনালী চুলের এক ডানপিটে ছেলে, যে সেঞ্চুরি সেলিব্রেট করে ব্যাটকে বন্দুকের মতো করে দেখিয়ে, যার কিপিংয়ে ফুটস্টেপ ঠিক নেই, তার প্রতি কোনো সনাতনপন্থীরই বিশ্বাস ছিল না। নাঃ, সেসবে মাথা ঘামলেন না। পরিবর্তন আনলেন ক্যাপ্টেন্সির ধরণে, পরিবর্তন আনলেন বোলারদের ব্যবহারে, ভারতের চিরাচরিত নড়বড়ে মিডিল অর্ডারকে শক্ত করতে 7 নম্বরে নেমে সৃষ্টি করলেন নতুন ক্রিকেটীয় শব্দের, ‘ফিনিশার’। ব্যাট টা তুলে যেন বললেন, ” জব তক বল্লা চালেগা, তব তক ঠাট চলেগা।” সমস্ত অতীত কে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে তৈরি করলেন এক নতুন রাস্তা,যে পথে আগামী কিছু দশক ক্রিকেট ছুটবে। আজকের তরুণ প্রজন্ম তুলে আনার প্রবণতা কিংবা ফিটনেস নির্ভরতা -সবকিছুই যে তাঁর সৃষ্টি।
তার ক্যাপ্টেন্সি আলাদা কোথায়? আসলে আলাদা নয়, তিনি যেন এতদিনের ভারতীয় অধিনায়কত্বের লেগাসি কে মিশিয়ে দিয়েছিলেন নিজের অধিনায়কত্বে। পতৌদির ঠান্ডা মেজাজ, কপিল পাজির লড়াকু মনোভাব, সৌরভের আগ্রাসন আর তাঁর মিলিটারি মন। তাঁর স্টাইল খুব সহজ। কিছু দেব না, কিছু চাইবো না। যে যার নিজের দায়িত্ব মন দিয়ে সামলাও। এজন্যই হয়তো টেস্ট ক্রিকেটের সমুদ্রে দিশা হারিয়ে ফেলেছেন। এত বহুমুখী পরিকল্পনার মানুষ তিনি ছিলেন না যে। ধোনির টেস্ট খেলতে ভালো লাগতো না। অথচ গোটা বিশ্বের কাছে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি হলো টেস্ট ক্রিকেট। মাঝেমধ্যে নাকি বোর হয়ে যেতেন! অভিজাত! এই কথাটা কি মানায়? নাহলে ৯০ টেস্টের গোড়ায় খেলা, ১৯৯ ম্যাচের পর ক্যাপ্টেন্সি ছাড়াকে আর কি নামে অভিহিত করা যায়? ধোনি, মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিনি এমনই। কোচ কে বলতে পারেন , আমি ১৩ বল যদি ঠিকঠাক খেলি, ম্যাচ জিতিয়ে দেব। যিনি বলতেন ব্যাংকে 63লাখ টাকা জমলে খেলা ছেড়ে দেবো। তাঁর ব্যক্তিত্ব যে ব্যাকরণ বহির্ভুত হবে না, তা বলাই বাহুল্য। ক্রিকেটে এসেছিলেন সম্পূর্ণ আউটসাইডার হিসেবে। ফিরেও যাবেন সেই আউটসাইডার হয়ে।তাঁর একসময়ের ম্যানেজার অরুন পান্ডে বলতেন খেলা ছাড়ার পর মাহিকে আপনারা খুঁজে পাবেন না।
কয়েকটা পয়সার জন্য কমেন্ট্রি বক্সে বসবেন? নৈব নৈব চ।রাজনীতি? এতবড় লকডাউন পিরিয়ডে যখন প্রায় সমস্ত পেশার মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইমলাইট টুকু পেতে ব্যস্ত( এখনকার পৃথিবীর সবথেকে বড় রোগ) , সেই সময়েও সম্পূর্ণ প্রচারবিমুখ একটা মানুষের রাজনীতির মঞ্চে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা কল্পনা করতে পারছি না। তাহলে কি তিনি শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন! বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচের রান আউট থেকে বিশ্বকাপ ফাইনালে দু ইঞ্চির তফাতে স্বপ্নভঙ্গের মাঝেই কি টেনে ফেললেন অনন্ত স্প্রিন্ট? নাকি আবার ফিরে আসবেন তাঁর শত যুদ্ধের অস্ত্র টিকে নিয়ে, শিকারির মতো তীক্ষ্ণ চোখে জরিপ করবেন বিপক্ষের ফিল্ডিং। মাহি অধ্যায়ের শেষ পর্বে রোমাঞ্চিত আসুমদ্র হিমাচল। “সচিন আছে এখনো…তাহলে জিতবো” থেকে “ধোনি শেষ ওভার অবধি খেললে জিতে যাবো” একটা প্রজন্মকে শিখিয়ে দিয়ে ফিরে চলেন ম্যাজিশিয়ান।
তাঁবু ফেলতে হবে অন্য কোনো জগতে। তাঁর বুকের পাঁজর থেকে জন্ম নিয়েছে যে ইশতেহার তাই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বিলি করে দিয়ে হেঁটে চলেন অনন্তের দিকে। I am the master of my fate.I am the captain of my soul. তাঁর গল্প হিরোর নয়, ভিলেন হওয়ার ধৈর্য্য ছিল না। তাঁর গল্প এক অভিযাত্রীর। সমস্ত দিনের শেষে যিনি রাঁচির “খালি বোর দোপহর”( গুলজার সাহেবের ভাষা) এ মেয়েকে নিয়ে সূর্যাস্ত দেখবেন কিংবা হয়তো অগম্য কোনো গিরিপথে তাঁর প্রিয় স্নাইপার নিয়ে টহল দিয়ে বেড়াবেন সতীর্থ দের সঙ্গে। আমরা মনে মনে গাইবো,” বেহতি হাওয়া সা থা উওউড়তা পতঙ্গ সা থা উওকাহ গায়া উসে ঢুন্দও…”